সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

একজন ম্যাজিস্ট্রেটের আকুতি , একটি মানবিক আবেদন

Posted by B.K
নিউজ ডেক্স::"ব্রেইনে এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে আরেকটা অপারেশন! নানা আশংকায় হাত-পা জমে যাচ্ছে, মুখে কথা সরছে না। একদিকে রশিদ সাহেবের জীবনের ঝুঁকি, অন্যদিকে এতো টাকার সংকুলান! আমি চোখে অন্ধকার দেখছি। শোনার পর থেকে কেঁদে চলেছে আমার মেয়েটা। মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন। জানি না, আমার অবুঝ সন্তানদের জন্যে সামনে কী দিন অপেক্ষা করছে?"
ফেসবুক দেওয়ালে সাঁটা জীবন-সাহিত্যের এই অন্তর্বেদনা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস আলেয়া'র। প্রিয়তম স্বামী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর রশীদ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। আলেয়া মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীকে নিয়ে সিংগাপুরে অপেক্ষায় আছেন আরেকটি সফল অপারেশনের। একটি অপারেশন হয়েছিল এ বছরের জুন মাসেই, সিংগাপুরে। সে দফায় সফল অপারেশনই ছিল ওটা। কিন্তু ডাক্তারদের আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে সেখানে আগের চেয়ে বড়ো আরেকটি টিউমার দানা বেধেছে এর মধ্যেই। শীঘ্রই আরেকটি অপারেশন করতে হবে। ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশনে আলেয়া আবারো স্বামীকে নিয়ে সিংগাপুর গেছেন এ মাসের ১২ই ডিসেম্বর। অদ্যাবধি অবস্থান করছেন সেখানেই, আর দিন গুণছেন চিকিৎসাশাস্ত্রের আরেকটি সফল অপারেশনের।
কিন্তু বাধ সেধেছে অর্থ। সাকুল্যে প্রয়োজন পঞ্চাশ লাখ টাকার। সংগ্রহে আছে মাত্র দশ লাখ টাকার মতো। লাগবে আরও প্রায় চল্লিশ লাখ টাকা। অপারেশনের উদ্দেশ্যে হাসপাতালে এডমিশন নিতে সর্বমোট অর্থের যে আশিভাগের আবশ্যক হয়, তাও যোগাড় হয়নি এখনো। নিরূপায় বিচারক-দম্পতি প্রথমবার অপারেশনের সময় একবার হাত পেতেছিলেন বলে লাজে-সংকোচে আর বলছেন না কিছুই। বিচারক তবে স্বভাবে কবি অভিমানিনী আলেয়া মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীর শিয়রে বসে না-বলা কথাগুলোকে গদ্য-পদ্যের মালায় গেঁথে সন্তাপে ফেসবুকের দেওয়ালে সেঁটে দিচ্ছেন অসহায় জীবন-সাহিত্যের একের পর এক শোকগাথা বা elegy; আর অসহায়ত্বকে সমর্পণ করেছেন বিধাতার কাছে।  'প্রশ্নের ভীড়' শিরোনামে ১৭ই ডিসেম্বরের এক পদ্যে নিরূপায় আলেয়া এভাবেই সকল অভাব ঘুচানোর ভার সপেছেন বিধাতার দরবারে-
"প্রশ্নের পর প্রশ্ন আসে
জানিনে তার জবাব
জানি, শুধু তুমি চাইলেই ঘুচতে পারে
আমার সকল অভাব।"
নিয়তির অমোঘ বিধান মানছে আলেয়া, মানছি আমরাও। না মানার কোনো অবকাশও যে নেই! বিধাতা সকলেরই ভাগ্যলিপি নির্ণয় করে রেখেছেন। কিন্তু বিধাতা তো সে-লিপিতে থাকা কারো মৃত্যুক্ষণ তাঁর কোনো দেবদূতের কাছে আগে থেকে প্রকাশ করে রাখেননি। মৃত্যুক্ষণ-সংক্রান্ত এই কঠোর গোপনীয়তা-বিষয়ক বিধাতার একচ্ছত্র মহিমার কথা তো আমরা সবাই জানি। তাই বলে বিধাতার এই গুপ্ত নির্ণয়ের উপর ভর করে উদ্যোগ বা প্রচেষ্টাকে পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠিয়ে কুঁড়েমিতে জপমালা জপার অবকাশ আছে কি? বিধাতা ভাগ্যলিপিতে যা নির্ণয় করে রেখেছেন, রাখুক না! আমরা নয় দিনশেষে ভগ্নচিত্তে বিধাতার সাথে অভিমান-ই করবো! তবে বিধাতার সাথে অভিমান করতেও যে উদ্যোগ বা প্রচেষ্টার নিতান্ত আবশ্যক হয়!
চলুন না আবার একটা উদ্যোগ নিই, নেমে পড়ি আরেকবার। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বা বাংলাদেশ আইন সমিতি [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের (এই দম্পতিসহ) সংগঠন] কিংবা ব্যক্তিবিশেষের সমষ্টিগত উদ্যোগ আর সহৃদয়বানদের স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ কি পারবে না এই কয়েক লক্ষ টাকার বন্দোবস্ত করতে? আমরা কি পারি না নিরূপায় রশিদ-আলেয়া দম্পতির সাঁঝের বাতিতে প্রত্যুষের দীপ্যমান আলো জ্বালাতে? আমরা কি পারি না এই দম্পতির শিশুকন্যা রাইসা'র অঝোর কান্না কিঞ্চিৎ প্রশমিত করতে? ভূপেন হাজারিকার কালজয়ী গানের "মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে" পঙক্তিগুলো কি যুগেযুগে কেবল সুরের ক্ষুধাই মেটাবে, শ্রোতার  মানবতাবোধের উন্মেষ ঘটাবে না? 
হাঁ, জগতে বারংবার মানবতাবোধের উন্মেষ ঘটছে বলেই টিকে আছে এ জগৎসংসার। নিশ্চয়ই আমরাও পারি আমাদের পরিমণ্ডলে এ বোধের সঞ্চার ঘটাতে আবার। সে প্রতীতি এবং সামর্থ্য আমাদের আছে। একটা সমবেত ও প্রত্যয়ী উদ্যোগের কাছে এই চল্লিশ লক্ষ টাকা অধরা কোনো অংক হতে পারে না। প্রয়োজন কেবল সে-রকম একটা উদ্যোগ আর আন্তরিক অংশগ্রহণের। আর তাতে অন্তত বিনা-চিকিৎসায় অসহায়-অনুভবে মৃত্যুর ক্ষণ গুণবেন না বিচারক আব্দুর রশিদ; শিয়রে শমনে বসে সৃষ্টির কবিতার বদলে কেবল সৃষ্টিনাশা শোকগাথা রচিবেন না পত্নী আলেয়া; অঝোরে কেঁদে বুক ভাসাবে না এই বিচারক-দম্পতির দীপ্তিমতী কন্যা রাইসা; পিতৃবিয়োগের তেতো স্মৃতি আজনম তাড়িয়ে বেড়াবে না অবুঝ শিশুপুত্র মনন মাহাথির-এর অস্পষ্ট স্মৃতিপটকে। এই হতভাগ্য পরিবারের ভাগ্যের অন্তিম লিপিটা নয় জগদ্বিধাতার বিধানেই হোক!
 
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- জান্নাতুল ফেরদৌস, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১, চট্টগ্রাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১০০৭০০২১৩০৭০৭, সোনালী ব্যাংক, কোর্টহিল শাখা, চট্টগ্রাম।
বিকাশ নাম্বার: ০১৯১২ ৪২৪৭০৫ (ব্যক্তিগত)।
সূত্র- ক্যাশব রায়'র ফেসবুক ওয়াল।

কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে ১২৮ পদে চাকরি


Posted by B.K

জব 24 ডেক্স:নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন। বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের কাছ থেকে ‘সহকারী ক্যাশিয়ার’ পদে ১২৮ জনকে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

যোগ্যতা
উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এতিমখানা নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা ব্যতীত ফরিদপুর, ফেনী, মাগুরা ও পটুয়াখালী জেলার প্রার্থীরা পদটিতে আবেদন করতে পারবেন না।

বয়স
০৮ জানুয়ারি, ২০১৭ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন
নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে প্রতি মাসে ১০ হাজার দুইশত টাকা থেকে ২৪ হাজার ছয়শত ৮০ টাকা পর্যন্ত।

আবেদন প্রক্রিয়া
টেলিটকের ওয়েবসাইট (badc.teletalk.com.bd) থেকে অনলাইনে পদটিতে আবেদন করা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করার পর টেলিটকের প্রিপেইড নম্বরের মাধ্যমে ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ০৮ জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।

বিস্তারিত জানতে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ০৬ জানুয়ারি, ২০১৭ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন-

লোহাগাড়ার সনেট কবি বিকাশ আলফ্রেডের সাড়া জাগানো কবিতা "টাকা"

সাহিত্য ও সংস্কৃতি : Posted by B.K
নিধি(টাকা)
                    
               
নিধি তোমাকে পাঠিয়েছে মনে হয় বিধি
পৃথিবীর সকল প্রান্তে দেখি তোমাকে নিরবধি
নিধি পৃথিবীর যতকিছু যত আছে জাতি
সবারি সাথে দেখি তোমারি সম্প্রীতি ।
নিধি তোমার জন্য পরায় মালা অক্কা
রক্ত দেব তবু তোমাকে করব রক্ষা।
নিধি তোমার জন্য উঠি বসি তোমার জন্য হাসি
তোমার জন্য বিনা দোষে হয় অনেকের ফাঁসি । নিধি তুমি ধর্ম,তুমি কর্ম,  তুমি মহানীতি
তুমি বিহীন ঠিক  জীবনের পায়না খুঁজে গতি।
তুমি দেশের অবকাঠামো তুমি দেশের রাজনীতি
তুমি নাকি জীবন মরণ তুমি সকলের সাথী ।
নিধি তুমি নাকি চাকুরি ক্ষেত্রে আসল সার্টিফিকেট
তুমি বিহীন সিনেমার হলে দেয়না তো টিকেট। তুমি বেতনের অতিরিক্ত,তুমি আসল জিনিস
তুমি  বিহীন দেশটাকে আর করবে কেবা ফিনিস
?
তুমি চোখে আদরের পানি,তুমি আন জিহ্বায় পানি।
তুমি বিহীন খাওয়ার পরে হোটেল মালিক কানটা দেয় টানি।
তোমার দ্বারা করছে তারা আয়ত্ত্ব এই দেশ
তোমার জন্য করছে  বর্জন লাজলজ্জা হেৃষ।
তোমার জন্য মানুষ তথা চলে যে সমাজ
তোমার জন্যই করে বসে অধর্মীয় কাজ।
তোমার জন্য চালায় চুরি,চালায় যে গুলি
তোমার জন্য শূন্যে উঠে অনেকের মাথার খুলি তোমার জন্য করছে পাপ, করছে সর্বনাশ
তোমার জন্য ধরে চলে আধার জীবনের পাশ।
তোমার জন্য মারামারি,কাটাকাটি,খুনাখুনি হয়
তুমি বিহীন এসব কিছু হয় না নিশ্চয়  ।
তুমি ছাড়া পদে পদে জীবনের ব্যর্থতা
তুমি ছাড়া জীবনের নেইতো সার্থকতা।
তোমার জন্য বিদ্যার্জন, সুনাম অর্জন হয়
এজন্য তোমায় ধন্যবাদ দেয় যে নিশ্চয় ।
তুমি আলো, তুমি আধাঁর, তুমি সুখ দুঃখ
তোমার অভাবে অনেক জীবন দেখছে মৃত্যুমূখ।
তুমি আনন্দ,তুমি বেদনা তুমি আশার আলো
তুমি ছাড়া নিমিষেই  জীবন  হয়ে য়ায় কালো।
তুমি ছাড়া জীবনে যে নেমে আসে অন্ধকার
তাই জীবনে সবচেয়ে বেশী তোমাকে দরকার।
        


রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৭

এসএমএস পাঠিয়ে স্মার্টকার্ড পাবেন যেভাবে


 

Posted by B.K

জাতীয় 24 ডেক্স:দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই অনেকে নিজেদের কার্ড বুঝে পেয়েছেন।

তবে সবার হাতে এখনো পৌঁছায়নি স্মার্টকার্ড। কিন্তু যারা এখনও পাননি তারা নিজেই জেনে নিতে পারেন কখন হাতে পাবেন আপনার কার্ডটি। ১০৫ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে বা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন এ তথ্য।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের https://services.nidw.gov.bd/voter_center লিংকে গিয়ে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ অথবা ফরম নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ জানা যাবে। তবে যাদের স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি তাদেরকে পরবর্তীতে আবার অনুসন্ধান করার কথা বলা হবে।

এসএমএসের মাধ্যমেও বিতরণের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে জানতে SC লিখে স্পেস দিয়ে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। আর যাদের এনআইডি ১৩ ডিজিটের তাদের এনআইডির নম্বরের প্রথমে জন্ম সাল যোগ করতে হবে।

এখনও যারা এনআইডি পাননি তারা SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখে স্পেস দিয়ে নিবন্ধন স্লিপের ফরম নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে D লিখে স্পেস দিয়ে জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে।

পথশিশুর ফুল বিক্রি করে দিচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থী


Posted by B.K
 শিক্ষা ২৪ ডেক্স:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হয়েও পথের ফুল বিক্রেতার কাজে সহায়তা করছেন ফাহমিদা নূর! ফুল বিক্রেতা নাজমুলের খুশি আর ধরেনা! তার ফুলের বিক্রি যে বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
ঢাবির ২০১০-২০১১ সেশনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী ফাহমিদা সুযোগ পেলেই ক্যাম্পাসে এসে নাজমুলকে সহযোগিতা করেন। ছাত্রজীবনে ছিল শখ, এখন যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
টিএসসির মূল ফটকের সামনে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন কিছু শিক্ষার্থী। লাল গোলাপের ঝুড়ি হাতে ফাহমিদা যখন তাদের কাছে ফুল বিক্রি করতে আসলেন, সকলে যেন একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। ফাহমিদা বলছিলেন, ‘একটা ফুল নিন, দাম মাত্র ১০ টাকা!’
দেখতে সুশীল এমন পথের ফুল বিক্রেতা সাধারণত দেখা যায় না! খোঁজ নিতেই জানা গেল আসল ঘটনা। পেছনেই ছিল নাজমুল। নাজমুলের মুখে এবং কাপড়ে দারিদ্রের স্পষ্ট ছাপ। পারলে সব জবাব সে একাই দিয়ে দেয়!
মিষ্টি হাসিতে ফাহমিদা জানালেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী। রোকেয়া হলে থাকতেন। হলের কাজে এসেছিলেন ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। নাজমুলের সাথে পরিচয়টা তার পুরনো।
ফাহমিদা বলেন, ফুল কেনার মাধ্যমেই নাজমুলের সাথে পরিচয়। পরে শখের বশে ওর ফুল বিক্রিতে সহযোগিতা করা। অন্যদিকে প্রত্যাশার বেশি ফুল বিক্রির আনন্দে তৃপ্ত মুখে নাজমুল বলল, ‘আপায় ফুল বিক্রি কইরা দিলে একসাথে আমরা দুপারে খাইমু।’
নাজমুল তিন বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রি করে যাচ্ছে। কত মানুষ তার ফুল কেনে, কথা বলে। কিন্তু ফাহমিদা’র মতো ‘আপু’ আর পায়নি সে।  সে বলল, ‘কয়েকটা বড় ভাই আগেও ফুল বেইচ্চা দেওনের কথা কইসিলো। কিন্তু দেয়নাই। আপায় ফুল বিক্রি কইরা দিসে।’
নাজমুল জানায়, এমনিতে ঘণ্টায় পাঁচটা ফুল বিক্রি করা কঠিন হয়ে যায়; কিন্তু ফাহমিদা ‘আপু’ থাকলে অল্প সময়েই ২০টি ফুল বিক্রি হয়ে যায়।
এমন অভিনব উপায়ে সহযোগিতা করার পথ কেন বেছে নিলেন ফাহমিদা? বললেন, তার নিজের সামান্য সময় ব্যয় করে নাজমুলদের মতো গরিব মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলেই তার জীবনের সার্থকতা।
সূত্র- ঢাকাটাইমস24.কম

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৭

৩৮ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি মার্চে, দুই হাজার পদে নিয়োগ


Posted by B.K

জব ২৪ ডেক্স;‍দুই হাজারেরও বেশি শূন্য পদে আসছে ফেব্রুয়ারির শেষদিকে অথবা মার্চের প্রথমদিকে ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে সরকারি কর্ম কমিশন। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত পদসংখ্যা চূড়ান্ত করেছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থার চাহিদাপত্রের আলোকে পদসংখ্যা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের আগামী সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ সম্বলিত একটি সারসংক্ষেপ বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ‘পিএসসি’তে পাঠাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর পিএসসি সেই সুপারিশের আলোকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

এদিকে পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাদের সুপারিশ পাঠালে পিএসসি সব প্রস্তুতি শেষ করে ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের প্রথম দিকে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, দুই হাজারেরও বেশি শূন্য পদে সাধারণের জন্য ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি হবে। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৩০০টি, পররাষ্ট্র ক্যাডারের জন্য ২০টি, পুলিশ ক্যাডারের জন্য প্রায় ১০০ টি পদ থাকবে।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, “আমরা তো কাজ করছি। ৩৫তম বিসিএসের ননক্যাডারের নিয়োগ এখনো শেষ হয়নি। এটি শেষ করে ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল দিতে হবে। এরপর ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে। আশা করছি মার্চের মধ্যে ৩৮তম বিসিএসের এর কাজ শুরু করতে পারবো”।  

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান  জানান, “বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি”। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী ৩৮তম বিসিএসেও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে ১০টি টপিক এর উপর। নম্বর বণ্টন হবে এভাবে- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫,  ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি- ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা- ১০, সাধারণ বিজ্ঞান-১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি- ১৫,  গাণিতিক যুক্তি- ১৫,  মানসিক দক্ষতা- ১৫,  নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন- ১০। সর্বমোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

নতুন নিয়মে পিএসসি পরীক্ষা নিচ্ছে ৩৫ তম বিসিএস থেকে। এর আগে ১০০ নম্বরের উপর বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়া হত।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে নিয়মিতভাবে সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান আছে। সর্বশেষ ৩৭তম বিসিএসের এক  হাজার ২২৬টি শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অপেক্ষায় আছে।

বান্দরবানে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা

Posted by B.K

নিউজ ডেস্কঃ-বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা।শুক্রবার (৬ই জানুয়ারী) সকাল দশটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ মোঃশফিকুল ইসলাম।জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নাজমা বিনতে আমীনের সঞ্চালনায় ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মোঃশফিকুল ইসলাম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আহমেদ,জেলা সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃমফিদুল আলম,জেলা কৃষি কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ইকতেখারুল ইসলাম, নেজারত ডেপুটি কমিশনার হোসাইন মুহাম্মদ আল- মুজাহিদ,আইটি প্রোগ্রামার ফরিদুল আলম,জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুম্মিতা খীসা,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি প্রমুখ।
এরআগে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়।র্যালী টি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন করেন।সরকারি-বেসরকারি ৫০টির বেশী প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাভিত পণ্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কতৃক ডিজিটাল উন্নয়নের ফলে দেশের আনাছে কানাছে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। শিক্ষা,স্বাস্থ্য,চিকিৎসাসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজ ব্যবস্থার ফলে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্বি পাওয়ায় জনগণের দোড়গোড়ায় সরকারের সকল সেবা এখন পৌছে গেছে।
এসময় বক্তারা সরকারের রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।মেলায় শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়াও বিকেল পাঁচটায় লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যা ছয়টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ৮ জানুয়ারী ডিজিটাল উদ্ভাবন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হবে।-সূত্র-সিএইচটিটাইমস.কম

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...