Posted by B.K
শিক্ষা ২৪ ডেক্স:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হয়েও পথের ফুল বিক্রেতার কাজে সহায়তা করছেন ফাহমিদা নূর! ফুল বিক্রেতা নাজমুলের খুশি আর ধরেনা! তার ফুলের বিক্রি যে বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
ঢাবির ২০১০-২০১১ সেশনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী ফাহমিদা সুযোগ পেলেই ক্যাম্পাসে এসে নাজমুলকে সহযোগিতা করেন। ছাত্রজীবনে ছিল শখ, এখন যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
টিএসসির মূল ফটকের সামনে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন কিছু শিক্ষার্থী। লাল গোলাপের ঝুড়ি হাতে ফাহমিদা যখন তাদের কাছে ফুল বিক্রি করতে আসলেন, সকলে যেন একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। ফাহমিদা বলছিলেন, ‘একটা ফুল নিন, দাম মাত্র ১০ টাকা!’
দেখতে সুশীল এমন পথের ফুল বিক্রেতা সাধারণত দেখা যায় না! খোঁজ নিতেই জানা গেল আসল ঘটনা। পেছনেই ছিল নাজমুল। নাজমুলের মুখে এবং কাপড়ে দারিদ্রের স্পষ্ট ছাপ। পারলে সব জবাব সে একাই দিয়ে দেয়!
মিষ্টি হাসিতে ফাহমিদা জানালেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী। রোকেয়া হলে থাকতেন। হলের কাজে এসেছিলেন ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। নাজমুলের সাথে পরিচয়টা তার পুরনো।
ফাহমিদা বলেন, ফুল কেনার মাধ্যমেই নাজমুলের সাথে পরিচয়। পরে শখের বশে ওর ফুল বিক্রিতে সহযোগিতা করা। অন্যদিকে প্রত্যাশার বেশি ফুল বিক্রির আনন্দে তৃপ্ত মুখে নাজমুল বলল, ‘আপায় ফুল বিক্রি কইরা দিলে একসাথে আমরা দুপারে খাইমু।’
নাজমুল তিন বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রি করে যাচ্ছে। কত মানুষ তার ফুল কেনে, কথা বলে। কিন্তু ফাহমিদা’র মতো ‘আপু’ আর পায়নি সে। সে বলল, ‘কয়েকটা বড় ভাই আগেও ফুল বেইচ্চা দেওনের কথা কইসিলো। কিন্তু দেয়নাই। আপায় ফুল বিক্রি কইরা দিসে।’
নাজমুল জানায়, এমনিতে ঘণ্টায় পাঁচটা ফুল বিক্রি করা কঠিন হয়ে যায়; কিন্তু ফাহমিদা ‘আপু’ থাকলে অল্প সময়েই ২০টি ফুল বিক্রি হয়ে যায়।
এমন অভিনব উপায়ে সহযোগিতা করার পথ কেন বেছে নিলেন ফাহমিদা? বললেন, তার নিজের সামান্য সময় ব্যয় করে নাজমুলদের মতো গরিব মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলেই তার জীবনের সার্থকতা।
সূত্র- ঢাকাটাইমস24.কম
সূত্র- ঢাকাটাইমস24.কম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন