বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬
ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুক্ত হল ‘ইভেন্ট রিমাইন্ডার’
সিএ’র বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে মোস্তাফিজ
স্পোর্টস২৪ ডেস্ক: ২০১৬ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এই বছরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় তারা এই একাদশ তৈরি করেছে।
এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। একাদশে অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে রাখা হয়েছে ইংল্যান্ডের জস বাটলারকে।
এই বছর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে মোট ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৩৭টি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বোলিং গড় ১৮.১০। ইকোনোমি রেট ৬.৬৮। বেস্ট বোলিং ফিগার ৫-২২।
এই বছর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের হয়ে খেলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ:ডেভিড ওয়ার্নার, জ্যাসন রয়, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), এবি ডি ভিলিয়ার্স, আন্দ্রে রাসেল, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ফারহান বিহারডাইন, শহীদ আফ্রিদি, জ্যাসপ্রীত বুমরাহ, অ্যাডাম জাম্পা, মোস্তাফিজুর রহমান।--সূত্র-বিডি২৪টাইমস.কম
চট্টগ্রামে হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প
Posted by ctg24bd.com Desk::
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পার্বত্য ফটিকছড়ির দাঁতমারি এলাকায় দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এ প্রকল্প স্থাপনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। এরই আলোকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন গত ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে তা থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলবে। সূত্র মতে, চট্টগ্রামে বড় ধরনের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য চাওয়া প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ইতিমধ্যে জমা দিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। যা বর্তমান উৎপাদনের তুলনায় দ্বিগুণ। এরই অংশ হিসেবে সরকার জরুরি ভিত্তিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছে।
সূত্র মতে, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের জন্য ১১৮ একর পতিত খাস জমি বন্দোবস্তের বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নের উত্তর বারমাসিয়া মৌজায় উল্লেখিত ভূমির অবস্থান।
ফটিকছড়ির সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) প্রস্তুত করা এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর বারমাসিয়া মৌজার ১১৭ দশমিক ৫৯ একর টিলা শ্রেণীর ভূমি বিএস ১নং খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনারের নামে রেকর্ড করা। এই ভূমি বনবিভাগের পিএফ (প্রোটেক্টেড ফরেস্ট) এর অন্তর্ভুক্ত। কিছু জমিতে বিভিন্ন ব্যক্তি আকাশী ও অন্যান্য গাছ রোপণ করেছেন। উল্লেখিত টিলা শ্রেণির জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে এসি (ল্যান্ড) কর্তৃক দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদিকে দেশের সবচেয়ে বড় এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ৮১ শতাংশই আসে সৌরবিদ্যুৎ থেকে। বর্তমানে দেশে মোট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২০ মেগাওয়াট। এর অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। উল্লেখিত ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত সৌর প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ আসে ৫ মেগাওয়াট। আর আমদানি করা সৌর প্যানেল থেকে উৎপাদন করা হয় ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সরকার ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সৌর ও বিকল্প ব্যবস্থা থেকে উৎপাদন করার টার্গেট ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশে সরকারি হিসেবে প্রায় ৪০ লাখ বাড়িতে সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। উদ্যোক্তারা মনে করছেন আগামী চার বছরে তা দ্বিগুণ হবে। কারণ জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের আওতার বাইরে এখনো বহু মানুষ রয়ে গেছে।
পিডিবির তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। আর চট্টগ্রামের ১৩৫৮ মেগাওয়াটের উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারি বেসরকারি ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে রয়েছে। যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় চাহিদার অর্ধেকেরও কম।
এদিকে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপারে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, সৌরবিদ্যুৎ খুব কম খরচে উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এ বিদ্যুৎ পরিবেশসম্মতও।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছাতে এর বিকল্প নেই। কৃষিতে মোক্ষম সুবিধা হিসেবেও এ বিদ্যুৎকে কাজে লাগানো যাবে
গাইবান্ধায় ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল ১২ মার্চ
জাতীয় ডেক্স:♦মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ (৮৬) ছয়জনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের জন্য আগামী ১২ মার্চ ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যর ট্রাইব্যুনাল বুধবার এই আদেশ দেন। প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর এই ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। এ মামলায় অন্য পাঁচ আসামি হলেন- জাছিজার রহমান অরফে খোকা (৬৪), আজগর হোসেন খান (৬৬), মোন্তাজ আলী ব্যাপারী (৬৮), আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল (৬২) ও মো: রনজু মিয়া (৫৯)। এদের মধ্যে শুধু রনজু মিয়া গ্রেপ্তার রয়েছেন। বাকী সবাই পলাতক। এরা সবাই জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
চার অভিযোগ:
এক নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাকিস্তান দখলকার সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য গাইবান্ধা জেলার সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামে হামলা করে। তারা অম্বিকা চরন সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নিয্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনা রানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নিয্যাতন করে। মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিদুর এবং হাতের শাখা ভেঙ্গে দিয়ে ছেরে দেয় তারা।
দ্বিতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
তৃতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে।
চতুর্থ অভিযোগ: গাইবান্ধার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়
Ctg24bd.com: প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি রায়হানের জীবন।♦♦রায...
প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি রায়হানের জীবন।
♦♦রায...: প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি রায়হানের জীবন। ♦♦রায়হান একজন উজ্জিবক।চকরিয়ার ছেলে।জন্মের সময় সবার মত ওরও দুটো বলিষ্ঠ হাত ছিল।মার্বেল খেল...
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের মাশরাফিদের প্রশংসা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেগলি ওভালে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
৩৪২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারলেও শেষ অবধি লড়াই করে গেছে টাইগাররা। বাংলাদেশ দলের এমন ইতিবাচক মনোভাবের কথা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের ওয়েব সাইডে মাশরাফিদের প্রশংসা করে লিখেছে, পরে ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
মাশরাফি-সাকিবদের প্রশংসা করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট লিখেছে, ‘নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েও মনোবল হারায়নি তারা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দারুণ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে।
সাকিব আল হাসান (৫৯), মুশফিকুর রহীম (৪২), মোসাদ্দেক হোসেন (৫০)। এ তিনজন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যেমন করেছে। তাতে অবশ্য পরিষ্কার যে, সামনে তারা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’
যদিও হারের কারণ হিসেবে বাজে ফিল্ডিং-বোলিংকে কাঠগড়ায় তুলছেন দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। বোলিংয়ে শর্ট বল বেশি হয়েছে। এই উইকেটে ২৮০-৩০০ রান হবেই। বোলিং-ফিল্ডিং ভালো হলে তাদের ৪০ রান কম হতে পারতো।
আকাশের খুব কাছে নীলগিরি।
নীলাদ্রি শেখর । বান্দরবান প্রতিনিধি।♦♦আকাশ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছা পূরণ করতে চাইলে যেতে হবে নীলগিরি।নীলগিরি পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে আকাশ নিজে এসে ধরা দেবে আপনার হাতে। মাথার উপর নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা খেলা করে নীলগিরি পাহাড়ে। অপরূপ সৌন্দর্য্যের এক নীলাভূমি এই নীলগিরি। নীলগিরির কারণে বান্দরবানকে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলা হয়।শীতকাল এবং বর্ষাকাল দুই ঋতুতেই এইখানে ভ্রমণে অনেক বেশি আনন্দ। তবে বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশী মজা পাওয়া যায়। কারণ এই সময়ে মেঘের অপরূপ নৃত্য দেখতে দেখতেই দিন বয়ে যায়।
জেলা সদর থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের চূড়ায় নীলগিরির অবস্থান। অল্প সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত পর্যটন স্পট নীলগিরি সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা পথে বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়ি কিংবা জীপ-মাইক্রো বাসে নীলগিরিতে যাওয়া যায়।
দুর্গম পাহাড়ে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে আকাশ নীলা, মেঘদূত, নীলাতানা নামে পর্যটকদের জন্য সকল সুবিধা সম্বলিত তিনটি কটেজ। কটেজগুলো রাত্রি যাপনের জন্য ভাড়া পাওয়া যায় এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক একটি রেস্টুরেন্টও। পাহাড়ি পথ পেরিয়ে নীলগিরিতে পৌঁছেই রেস্টুরেন্টে পেট পুরে খাওয়া যায়।
নীলগিরি যেন প্রকৃতির এক অনন্য দান। নীলগিরির চূড়া থেকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় কেওক্রাডং, প্রাকৃতিক আশ্চর্য বগালেক, কক্সবাজারের সমুদ্র, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের আলো-আঁধারি বাতি এবং চোখ জুড়ানো পাহাড়ের সারিও দেখতে পাওয়া যায়।
নীলগিরির কাছাকাছি রয়েছে বেশ কয়েকটি ম্রো উপজাতীয় গ্রাম। নীলগিরির একদম কাছে কাপ্রু পাড়া, আপনি সহজেই পরিদর্শন করে ম্রো আদিবাসী সম্পর্কে জানতে পারবেন। নীলগিরিতে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প। ফলে এখানে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। আপনার যে কোন প্রয়োজনে সেনা সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
নীলগিরির রাতের সৌন্দর্য আরো হতবাক করে। চারিদিকের হরিণ, শিয়ালসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর ডাক আর পাহাড়গুলোর আলো-আঁধারির খেলা দেখে আপনার জীবনকেই যেন রহস্যময় বলে মনে হবে। যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্য রাতের নীলগিরি হতে পারে উৎকৃষ্ট স্থান। নীলগিরি যাওয়ার পথে আপনি দেখে যেতে পারেন বান্দরবানের অপার সৌন্দর্যময় শৈলপ্রপাত। এখানে আদিবাসী বম তরুণীরা আপনাকে স্বাগত জানাবে। এখান থেকে কিনে নিতে পারেন আদিবাসীদের হাতের তৈরি নানা পণ্য। এর পরই চোখে পড়বে স্বপ্নচূড়া। স্বপ্নচূড়া থেকেও বান্দরবানের অবাক করা সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
স্বপ্নচূড়ার পরই বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুকে পৌঁছে যাবেন আপনি। চিম্বুকের সুনাম সারা দেশব্যাপী। এখানে রয়েছে টি এন্ড টির বিশাল টাওয়ার, উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করেছে সকল সুবিধা সম্বলিত রেস্ট হাউজ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পুরনো একটি রেস্ট হাউজও রয়েছে এখানে।
চিম্বুকে পৌঁছেই স্থানীয় আদিবাসীদের হাতের তৈরি এক কাপ চা খেয়ে নিজেকে চাঙ্গা করে রওয়ানা দিতে পারেন নীলগিরির দিকে। অথবা এর একটু দূরেই সেনাবাহিনী পরিচালিত ক্যান্টিন রয়েছে। এখানে আপনি সেরে নিতে পারেন দুপুরের খাবার অথবা হালকা খাবার।
নীলগিরির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এখান থেকে চোখে পড়ে বান্দরবানের উপর দিয়ে বয়ে চলা সর্পিল সাঙ্গু নদী। এখান থেকে মনে হবে সাঙ্গু নদী আপনার খুব কাছে। সাঙ্গু নদীর অপরূপ সৌন্দর্য এখান থেকে উপভোগ করা যায়। সাঙ্গুর বুক চিরে বয়ে চলা ছোট ছোট নৌকাগুলোকে দেখলে দূর থেকে মনে হবে স্বপ্নের কোন ডিঙি বয়ে চলছে সাঙ্গু নদী দিয়ে।
ভিআইপিদের সরাসরি অবতরণের জন্য এখানে নির্মাণ করা হয়েছে হেলিপ্যাডও। তবে সাধারণ দর্শনার্থীদের হেলিপ্যাডে প্রবেশ করা নিষেধ। নীলগিরিতে সৃষ্টি করা হয়েছে ফুলের বাগান,পাহাড়ের উপরে সুন্দর এই ফুলের বাগানও অবাক করার মত।
নীলগিরিতে যাওয়ার জন্য বান্দরবান হিলবার্ড এর সামনেই রয়েছে নানা ধরনের গাড়ি। আপনার পছন্দের গাড়িটি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন নীলগিরিতে। তবে কটেজ বুকিং এর জন্য আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে
বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
সমন্বিত সরকারি চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার দাবি চাকরি প্রার্থীদের / আহ্বান কর্তৃপক্ষকে।
সমন্বিত সরকারি চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার দাবি চাকরি প্রার্থীদের / আহ্বান কর্তৃপক্ষকে। বি.কে বিচিত্র, কলাম। বর্তমানে সরকারি চাকরি নেওয়ার পদ্ধতি ...

-
লোহাগাড়ার রত্নাগর্ভা শিক্ষক দম্পতির ৩ সন্তানই এমবিবিএস পাশ ডাক্তার। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলাধীন আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ এমবি উ...
-
সমন্বিত সরকারি চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার দাবি চাকরি প্রার্থীদের / আহ্বান কর্তৃপক্ষকে। বি.কে বিচিত্র, কলাম। বর্তমানে সরকারি চাকরি নেওয়ার পদ্ধতি ...
-
Articles, By, B.K Bichitro, Positive Thinking & Attitude can be considered as a special quality for any human being. Can lead hi...