বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অভিজ্ঞ শিক্ষক কেন নয়:হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এসএসসি ও এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক কেন নয় জানতে চেয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

যোগ্য শিক্ষক দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করানো এবং তা করতে পর্যাপ্ত সময় কেন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

শিক্ষাসচিব ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর ‘পরীক্ষার খাতা দেখায় নৈরাজ্য’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন একটি দৈনিকে ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ১ জানুয়ারি একটি রিট করে।

রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস

Posted by B.K
                    

জাতীয় ২৪ ডেক্স:বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( Bangladesh Student League – BSL / Bangladesh Chatro League ) বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । এটি ভারত বিভক্তিক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের  উদ্ভবের কিছু পর গঠিত হয়। ছাত্রলীগ  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠানিক অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির জন্ম আওয়ামী লীগের এক বছর আগে। [ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস ]
শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন, জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন, সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ  ছাত্রলীগ অতিক্রম করেছে পথচলার ৬৮ বছর।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সময়ের দাবিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়ের প্রয়োজন মেটাতেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( Bangladesh Student League – BSL / Bangladesh Chatro League ) ।

ছাত্রলীগ লোগো-ChatroLeague Logo
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় রাজপথে ছিলেন সদা সোচ্চার। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘটে তিনি ও কয়েকজন সহকর্মীসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলন জোরালো করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল প্রণিধানযোগ্য।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় অগ্রণী ভূমিকা  পালন করে।   ১৯৬২ সালে তৎকালীন আইয়ুব খান সরকার কর্তৃক গঠিত শরিফ কমিশন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্য ও স্বার্থের অনুকূলে একটি গণবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিল। সেই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গণআন্দোলন ও গণজাগরণ তৈরি করে। সেই বাষট্টির রক্তঝরা দিনগুলোতে রক্ত ঝরেছে অসংখ্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর।
১৯৬৬ সালে বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার সনদ ছয় দফা বাস্তবায়নে শেখ মুজিবুর রহমান আস্থা রেখেছিলেন তরুণ ছাত্রনেতাদের ওপর। তিনি সে সময়কার ছাত্রনেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, জেলায় জেলায় অবস্থান সুদৃঢ় করে ছয় দফার সপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সারা বাংলার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফা দাবির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছিল রাজপথের প্রমিথিউস। ছয় দফা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বিভেদ ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে ছাত্রলীগের শক্ত অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সেদিন আওয়ামী লীগের বৈঠকের বাইরে কঠোর পাহারা বসাতে হয়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীদেরই।
১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুস জয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে  গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।   একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রলীগ হারিয়েছে তার সহস্র্রাধিক নেতাকর্মীকে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের সমাবেশে বলেছিলেন, ‘দানবের সঙ্গে লড়াইয়ে যে কোনো পরিণতিকে মাথা পেতে বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ২৩ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজনবোধে বুকের রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। তবু সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করব না।’ তাই তো মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রাণের সংগঠনের ১৭ হাজার বীর যোদ্ধা তাদের বুকের তাজা রক্তে এঁকেছেন লাল-সবুজের পতাকা, এঁকেছেন ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এক সার্বভৌম মানচিত্র। সেসব বীর যোদ্ধাই আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের শক্তি, আমাদের সাহস।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে আছে তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা ও আদর্শ, আছে কাজী নজরুলের বাঁধ ভাঙার শৌর্য, আছে ক্ষুদিরামের প্রত্যয়, আছে সুকান্তের অবিচল চেতনা। তাই তো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার অধিকার রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থ সুরক্ষায় সবসময় মঙ্গলপ্রদীপের আলোকবর্তিকা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চার দিগন্তে।
যখন বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছি।

মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৭

লোহাগাড়ায় "সাকসেস প্লাস" কোচিং এর উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধণা অনুষ্ঠিত

Posted by B.K
শিক্ষা ২৪ ডেক্স:লোহাগাড়া উপজেলার সুনামধন্য কোচিং সেন্টার, Success Plus কোচিংসেন্টার থেকে জে,এস,সি পরীক্ষায় A+  প্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও মিষ্টি বিতরণ অনুষ্টিত।কোচিং সেন্টারের অফিস রুমে ৩রা জানুয়ারি সকালে  এই সংবর্ধণা দেওয়া হয়।Success Plus কোচিংসেন্টারের উত্তর আমিরাবাদ শাখায় অনুষ্ঠিত  অনুষ্ঠান উক্ত কোচিংসেন্টারের পরিচালক মো:মিনহাজ উদ্দীন  মিজবাহ র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উক্ত কোচিংসেন্টারের তত্বাবধায়ক ও বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যায় কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক জনাব আক্তার উদ্দীন।উক্ত অনুষ্ঠানে  A+ প্রাপ্ত তৌহিদকে এবং A+ প্রাপ্ত তাশফিয়া সহ সবাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পরিচালক মো:মিনহাজ উদ্দীন মিজবাহ ও অধ্যাপক আক্তার উদ্দীন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির  বক্তব্যে অধ্যাপক আক্তার বলেন অন্যান্য কোচিং এর ১০ বছরে ও একজন A+ পাওয়ার নজির নাই সেখানে Success Plus কোচিংসেন্টার ১ম বছরেই ৬ জনের A+ পাওয়া এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।এটি প্রমান করে Success Plusকোচিংসেন্টার ভাল ছাত্র তৈরির এক অনন্য প্রতিষ্ঠান।অনুষ্ঠানে A+ প্রাপ্তরা তাদের অনুভূতি শেয়ার করেন।যেখানে হাজারও স্বপ্ন বস্তবে পরিনত হয়।

উৎসবমুখর পরিবেশে উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ

লোহাগাড়া উপজেলার    ঐতিহ্যবাহী  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তর আমিরাবাদ  সরকারি বিদ্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যেদিয়ে " বই বিতরণ উৎসব-২০১৭"  সকাল ১০টায় স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়, নতুন বছরের নতুন বই বিতরণ। এতে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও  কমিটির সদস্যরা। অফিস সহকারি সত্যজিৎ রায়, সিটিজি২৪বিডি.কম কে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ক্লাস শুরু হয়েছে।

সেই বাসিরন এখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে

Posted by B.K

শিক্ষা ২৪ ডেক্স:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর এম এইচ এ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বছরের প্রথম দিনেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে বই নিলেন ৬৩ বছর বয়সী সেই বাসিরন খাতুন। রোববার (১ জানুয়ারি) সকালেই ভর্তি হতে স্কুলে পৌঁছে যান তিনি।

সেখানে ভর্তি শেষে তাঁর হাতে বই তুলে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সোহেল আহমেদ। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বই পেয়ে বাসিরন খাতুন বলেন, ‘প্রাথমিক পাস করে মাধ্যমিকে ভর্তি হয়িছি। খুবই ভালো লাগছি। এখন স্বপ্ন দেখছি বেঁচি থাকলে মাধ্যমিক পাস করার।’

ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ বলেন, ‘বাসিরনকে যতই দেখছি, ততই অভিভূত হচ্ছি। এই বয়সে তাঁর লেখাপড়ার প্রতি স্পৃহা দেখে খুব ভালো লাগছে। তাঁর লেখাপড়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ৬৩ বছরের বয়সী বাসিরনের লেখাপড়ার প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে। তাঁকে প্রথম দিনেই বই দেওয়া হয়েছে। স্কুল থেকে তাঁকে এক সেট পোশাক উপহার দেওয়া হবে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের মাঠপাড়ার রহিল উদ্দিনের (মৃত) স্ত্রী ৬৩ বছর বয়সী বাসিরন খাতুন গত বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

মালদ্বীপকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ



স্পোর্টস  ২৪ ডেক্স:মালদ্বীপের বিপক্ষে কখনও না হারার রেকর্ড বজায় রাখল বাংলাদেশ। গত সাফে ৩-১ আর এসএ গেমসে ২-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল কৃষ্ণারা।ফলে ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে ফাইনালে উঠল নারী ফুটবল দল।গত তিন আসরের দুটিতে (২০১০ ও ২০১৪ সাল) নেপালের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিলেও চতুর্থ আসরে সেই অধরা ফাইনালের দেখা পেল বাংলাদেশের মেয়েরা।

সাফ ফুটবলে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুলতে হ্যাটট্রিক করেছেন সিরাত জাহান স্বপ্না। জোড়া গোল সাবিনা খাতুনের। এই দুই ফরোয়ার্ডের সঙ্গে গোলের খাতায় নাম লেখালেন ডিফেন্ডার নার্গিস খাতুনও। ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে স্বপ্ন পূরণের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। সেখানে প্রতিপক্ষ তিন বারের চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারত, যাদের রুখে দিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাবিনারা

ভারতের বিপক্ষে সব শেষ ম্যাচের রক্ষণাত্মক কৌশল ছেড়ে বেরিয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলে ফেরার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ কোচ। শেষ পর্যন্ত সেই কৌশলেই  এল সাফল্য।

তবে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সোমবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে শুরুর দিকে কিছুটা অগোছালো ফুটবল খেলা ছোটনের দল ষষ্ঠ মিনিটে ধাক্কা খেতে বসেছিল। ডিফেন্ডার শিউলি আজিম ব্যাক পাস দিতে গিয়ে বল তুলে দেন শাহুলা তাউফেজের পায়ে। বিপদসীমায় ঢুকে পড়া এই মিডফিল্ডারকে শট নেওয়ার আগে বল গ্লাভসবন্দী করেন সাবিনা আক্তার।

একাদশ মিনিটে স্বপ্নার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার পর আরও দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে মাপা শটে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।

তিন ফরোয়ার্ডে সাজানো বাংলাদেশের আক্রমণভাগের মূল খেলোয়াড় সাবিনা খাতুনকে শুরু থেকে কড়া পাহারায় রাখে ডিফেন্ডাররা। তবে সাবিনা-স্বপ্নার মিলিত প্রচেষ্টায় ২২তম মিনিটে ঠিকই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বাংলাদেশ। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ দিক থেকে আক্রমণ শানানো সাবিনার নিখুঁত পাস প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে দেন স্বপ্না।

মালদ্বীপের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা বাংলাদেশ প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারত। ৩৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে কৃষ্ণা রানী সরকারের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

৪৮তম মিনিটে ম্যাচ নিজেদের মুঠোয় নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। স্বপ্নার বাড়ানো ক্রসে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাবিনা। চার মিনিট পর মালদ্বীপকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে স্বপ্নার বাড়ানো বলে ডিফেন্ডার নার্গিস খাতুনের ঝুলিয়ে নেওয়া শট ক্রসবারের ভেতরের কানায় লেগে ঠিকানা খুঁজে পায়।

প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে ওঠা মালদ্বীপের ম্যাচে ফেরার আশা ৫৮তম মিনিটে একেবারে শেষ করে দেয় বাংলাদেশ। মার্জিয়ার বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাবিনাকে বাড়ান স্বপ্না। সাবিনার ফিরতি পাস থেকে পাওয়া বল মাপা শটে জালে পৌঁছে দিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে মাতেন স্বপ্না।মার্জিয়াকে মরিয়ম ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে স্কোরলাইন ৬-০ করেন সাবিনা। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৭টি।

৬৪তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মার্জিয়ার ফ্রি কিক পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসতে পারতেন সাবিনা কিন্তু উড়িয়ে মেরে তা নষ্ট করেন।

আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলে হারিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভারতকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দেয়। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে প্রথমবারের মতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।

আগামী ৪ই জানুয়ারি (বুধবার) টানা তিন শিরোপা জয়ী ভারতের সাথে লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

মোবাইলে ভুল করে ডিলিট হওয়া ছবি উদ্ধারের উপায়

টেক ২৪ ডেক্স:ফোন ব্যবহারের সময় অসাবধানতাবশত ছবি ডিলিট হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। প্রয়োজনীয় ডেটাও ডিলিট হয়ে যায় অনেক সময়। ফোন খারাপ হতে পারে, ভাইরাসের জন্য ডিলিট হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে কিভাবে উদ্ধার করবেন সেই ডেটা?

জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১. প্রথমত, ফোন যখন সেট-আপ করবেন, তখন প্রথমেই ডিফল্ট মেমরি হিসাবে মেমরি কার্ড সিলেক্ট করে রাখুন। তাতে ছবি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোবাইল বিগড়ে যাওয়াতেই ফোন মেমরিতে থাকা ছবি এবং ডেটা ডিলিট হয়ে যায়।

২. দ্বিতীয়ত, কোন ক্লাউড ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখতে পারেন। তাতে ফোন বা মেমরি কার্ড খারাপ হলেও আপনার ডেটা এবং ছবি একেবারে ঠিকঠাক থাকবে।

৩. রাখতে পারেন কিছু সফটওয়্যারও। পিকচার রিকভারি সফটওয়্যার লিখে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে পারেন। তাতে অনেক অপশন রয়েছে। চাইলে সরাসরি Asoftech Photo Recovery সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে পারেন। ইনস্টল হলে সফটওয়্যার কম্পিউটারে রান করুন। এবার যে ফোন বা ক্যামেরার মেমরি কার্ড থেকে ছবি এবং ডেটা ডিলিট হয়েছে তা কার্ড রিডারের সাহায্যে কম্পিউটারে যুক্ত করুন। কানেক্ট হওয়ার পর সফটওয়্যারে যে নতুন ড্রাইভ দেখাবে তা সিলেক্ট করুন। সফটওয়্যারে থাকা ‘স্ক্যান অ্যাকশন’ অপশনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে ডিলিট হওয়া ছবি আপনাকে দেখিয়ে দেবে। সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...