সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

লোহাগাড়ার সনেট কবি বিকাশ আলফ্রেডের সাড়া জাগানো কবিতা "টাকা"

সাহিত্য ও সংস্কৃতি : Posted by B.K
নিধি(টাকা)
                    
               
নিধি তোমাকে পাঠিয়েছে মনে হয় বিধি
পৃথিবীর সকল প্রান্তে দেখি তোমাকে নিরবধি
নিধি পৃথিবীর যতকিছু যত আছে জাতি
সবারি সাথে দেখি তোমারি সম্প্রীতি ।
নিধি তোমার জন্য পরায় মালা অক্কা
রক্ত দেব তবু তোমাকে করব রক্ষা।
নিধি তোমার জন্য উঠি বসি তোমার জন্য হাসি
তোমার জন্য বিনা দোষে হয় অনেকের ফাঁসি । নিধি তুমি ধর্ম,তুমি কর্ম,  তুমি মহানীতি
তুমি বিহীন ঠিক  জীবনের পায়না খুঁজে গতি।
তুমি দেশের অবকাঠামো তুমি দেশের রাজনীতি
তুমি নাকি জীবন মরণ তুমি সকলের সাথী ।
নিধি তুমি নাকি চাকুরি ক্ষেত্রে আসল সার্টিফিকেট
তুমি বিহীন সিনেমার হলে দেয়না তো টিকেট। তুমি বেতনের অতিরিক্ত,তুমি আসল জিনিস
তুমি  বিহীন দেশটাকে আর করবে কেবা ফিনিস
?
তুমি চোখে আদরের পানি,তুমি আন জিহ্বায় পানি।
তুমি বিহীন খাওয়ার পরে হোটেল মালিক কানটা দেয় টানি।
তোমার দ্বারা করছে তারা আয়ত্ত্ব এই দেশ
তোমার জন্য করছে  বর্জন লাজলজ্জা হেৃষ।
তোমার জন্য মানুষ তথা চলে যে সমাজ
তোমার জন্যই করে বসে অধর্মীয় কাজ।
তোমার জন্য চালায় চুরি,চালায় যে গুলি
তোমার জন্য শূন্যে উঠে অনেকের মাথার খুলি তোমার জন্য করছে পাপ, করছে সর্বনাশ
তোমার জন্য ধরে চলে আধার জীবনের পাশ।
তোমার জন্য মারামারি,কাটাকাটি,খুনাখুনি হয়
তুমি বিহীন এসব কিছু হয় না নিশ্চয়  ।
তুমি ছাড়া পদে পদে জীবনের ব্যর্থতা
তুমি ছাড়া জীবনের নেইতো সার্থকতা।
তোমার জন্য বিদ্যার্জন, সুনাম অর্জন হয়
এজন্য তোমায় ধন্যবাদ দেয় যে নিশ্চয় ।
তুমি আলো, তুমি আধাঁর, তুমি সুখ দুঃখ
তোমার অভাবে অনেক জীবন দেখছে মৃত্যুমূখ।
তুমি আনন্দ,তুমি বেদনা তুমি আশার আলো
তুমি ছাড়া নিমিষেই  জীবন  হয়ে য়ায় কালো।
তুমি ছাড়া জীবনে যে নেমে আসে অন্ধকার
তাই জীবনে সবচেয়ে বেশী তোমাকে দরকার।
        


রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৭

এসএমএস পাঠিয়ে স্মার্টকার্ড পাবেন যেভাবে


 

Posted by B.K

জাতীয় 24 ডেক্স:দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই অনেকে নিজেদের কার্ড বুঝে পেয়েছেন।

তবে সবার হাতে এখনো পৌঁছায়নি স্মার্টকার্ড। কিন্তু যারা এখনও পাননি তারা নিজেই জেনে নিতে পারেন কখন হাতে পাবেন আপনার কার্ডটি। ১০৫ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে বা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন এ তথ্য।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের https://services.nidw.gov.bd/voter_center লিংকে গিয়ে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ অথবা ফরম নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ জানা যাবে। তবে যাদের স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি তাদেরকে পরবর্তীতে আবার অনুসন্ধান করার কথা বলা হবে।

এসএমএসের মাধ্যমেও বিতরণের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে জানতে SC লিখে স্পেস দিয়ে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। আর যাদের এনআইডি ১৩ ডিজিটের তাদের এনআইডির নম্বরের প্রথমে জন্ম সাল যোগ করতে হবে।

এখনও যারা এনআইডি পাননি তারা SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখে স্পেস দিয়ে নিবন্ধন স্লিপের ফরম নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে D লিখে স্পেস দিয়ে জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে।

পথশিশুর ফুল বিক্রি করে দিচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থী


Posted by B.K
 শিক্ষা ২৪ ডেক্স:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হয়েও পথের ফুল বিক্রেতার কাজে সহায়তা করছেন ফাহমিদা নূর! ফুল বিক্রেতা নাজমুলের খুশি আর ধরেনা! তার ফুলের বিক্রি যে বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
ঢাবির ২০১০-২০১১ সেশনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী ফাহমিদা সুযোগ পেলেই ক্যাম্পাসে এসে নাজমুলকে সহযোগিতা করেন। ছাত্রজীবনে ছিল শখ, এখন যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
টিএসসির মূল ফটকের সামনে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন কিছু শিক্ষার্থী। লাল গোলাপের ঝুড়ি হাতে ফাহমিদা যখন তাদের কাছে ফুল বিক্রি করতে আসলেন, সকলে যেন একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। ফাহমিদা বলছিলেন, ‘একটা ফুল নিন, দাম মাত্র ১০ টাকা!’
দেখতে সুশীল এমন পথের ফুল বিক্রেতা সাধারণত দেখা যায় না! খোঁজ নিতেই জানা গেল আসল ঘটনা। পেছনেই ছিল নাজমুল। নাজমুলের মুখে এবং কাপড়ে দারিদ্রের স্পষ্ট ছাপ। পারলে সব জবাব সে একাই দিয়ে দেয়!
মিষ্টি হাসিতে ফাহমিদা জানালেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী। রোকেয়া হলে থাকতেন। হলের কাজে এসেছিলেন ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। নাজমুলের সাথে পরিচয়টা তার পুরনো।
ফাহমিদা বলেন, ফুল কেনার মাধ্যমেই নাজমুলের সাথে পরিচয়। পরে শখের বশে ওর ফুল বিক্রিতে সহযোগিতা করা। অন্যদিকে প্রত্যাশার বেশি ফুল বিক্রির আনন্দে তৃপ্ত মুখে নাজমুল বলল, ‘আপায় ফুল বিক্রি কইরা দিলে একসাথে আমরা দুপারে খাইমু।’
নাজমুল তিন বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রি করে যাচ্ছে। কত মানুষ তার ফুল কেনে, কথা বলে। কিন্তু ফাহমিদা’র মতো ‘আপু’ আর পায়নি সে।  সে বলল, ‘কয়েকটা বড় ভাই আগেও ফুল বেইচ্চা দেওনের কথা কইসিলো। কিন্তু দেয়নাই। আপায় ফুল বিক্রি কইরা দিসে।’
নাজমুল জানায়, এমনিতে ঘণ্টায় পাঁচটা ফুল বিক্রি করা কঠিন হয়ে যায়; কিন্তু ফাহমিদা ‘আপু’ থাকলে অল্প সময়েই ২০টি ফুল বিক্রি হয়ে যায়।
এমন অভিনব উপায়ে সহযোগিতা করার পথ কেন বেছে নিলেন ফাহমিদা? বললেন, তার নিজের সামান্য সময় ব্যয় করে নাজমুলদের মতো গরিব মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলেই তার জীবনের সার্থকতা।
সূত্র- ঢাকাটাইমস24.কম

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৭

৩৮ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি মার্চে, দুই হাজার পদে নিয়োগ


Posted by B.K

জব ২৪ ডেক্স;‍দুই হাজারেরও বেশি শূন্য পদে আসছে ফেব্রুয়ারির শেষদিকে অথবা মার্চের প্রথমদিকে ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে সরকারি কর্ম কমিশন। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত পদসংখ্যা চূড়ান্ত করেছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থার চাহিদাপত্রের আলোকে পদসংখ্যা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের আগামী সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ সম্বলিত একটি সারসংক্ষেপ বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ‘পিএসসি’তে পাঠাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর পিএসসি সেই সুপারিশের আলোকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

এদিকে পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাদের সুপারিশ পাঠালে পিএসসি সব প্রস্তুতি শেষ করে ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের প্রথম দিকে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, দুই হাজারেরও বেশি শূন্য পদে সাধারণের জন্য ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি হবে। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৩০০টি, পররাষ্ট্র ক্যাডারের জন্য ২০টি, পুলিশ ক্যাডারের জন্য প্রায় ১০০ টি পদ থাকবে।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, “আমরা তো কাজ করছি। ৩৫তম বিসিএসের ননক্যাডারের নিয়োগ এখনো শেষ হয়নি। এটি শেষ করে ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল দিতে হবে। এরপর ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে। আশা করছি মার্চের মধ্যে ৩৮তম বিসিএসের এর কাজ শুরু করতে পারবো”।  

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান  জানান, “বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি”। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী ৩৮তম বিসিএসেও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে ১০টি টপিক এর উপর। নম্বর বণ্টন হবে এভাবে- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫,  ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি- ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা- ১০, সাধারণ বিজ্ঞান-১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি- ১৫,  গাণিতিক যুক্তি- ১৫,  মানসিক দক্ষতা- ১৫,  নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন- ১০। সর্বমোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

নতুন নিয়মে পিএসসি পরীক্ষা নিচ্ছে ৩৫ তম বিসিএস থেকে। এর আগে ১০০ নম্বরের উপর বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়া হত।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে নিয়মিতভাবে সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান আছে। সর্বশেষ ৩৭তম বিসিএসের এক  হাজার ২২৬টি শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অপেক্ষায় আছে।

বান্দরবানে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা

Posted by B.K

নিউজ ডেস্কঃ-বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা।শুক্রবার (৬ই জানুয়ারী) সকাল দশটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ মোঃশফিকুল ইসলাম।জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নাজমা বিনতে আমীনের সঞ্চালনায় ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মোঃশফিকুল ইসলাম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আহমেদ,জেলা সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃমফিদুল আলম,জেলা কৃষি কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ইকতেখারুল ইসলাম, নেজারত ডেপুটি কমিশনার হোসাইন মুহাম্মদ আল- মুজাহিদ,আইটি প্রোগ্রামার ফরিদুল আলম,জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুম্মিতা খীসা,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি প্রমুখ।
এরআগে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়।র্যালী টি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন করেন।সরকারি-বেসরকারি ৫০টির বেশী প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাভিত পণ্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কতৃক ডিজিটাল উন্নয়নের ফলে দেশের আনাছে কানাছে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। শিক্ষা,স্বাস্থ্য,চিকিৎসাসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজ ব্যবস্থার ফলে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্বি পাওয়ায় জনগণের দোড়গোড়ায় সরকারের সকল সেবা এখন পৌছে গেছে।
এসময় বক্তারা সরকারের রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।মেলায় শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়াও বিকেল পাঁচটায় লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যা ছয়টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ৮ জানুয়ারী ডিজিটাল উদ্ভাবন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হবে।-সূত্র-সিএইচটিটাইমস.কম

শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৭

আগামীকাল শুরু হচ্ছে বান্দরবানে পার্বত্য লোকজ মেলা

বি.কে বিচিত্র, নিজস্ব প্রতিবেদক,বান্দরবান:বান্দরবান  জেলা শহরের রাজারমাঠে  ৭ই জানুয়ারি   পার্বত্য লোকজ মেলা শুরু হচ্ছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়,  পার্বত্য জেলা পরিষদ, চ্যানেল আই ও  কিউট'র  যৌথ ব্যবস্থাপনায় এ লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা জানান, বান্দরবানে আগামীকাল ৭ই জানুয়ারি  এই মেলা শুরু হচ্ছে। অনুষ্ঠেয় এ লোকজ মেলায় থাকছে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসরত ১১টিসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আরও ৩টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীদের নৈপণ্য প্রদর্শন, পোশাক শিল্পসহ নানাকরমের কারুকার্যের সামগ্রী প্রদর্শন। দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা বান্দরবান জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ও স্বকীয়তাসহ জীবন ধারার চিত্র নিয়েই এ লোকজ মেলায় রকমারী স্টল বসবে। পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও দেশের নানাস্থান থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ প্রদান এবং সম্প্রীতির বান্দরবান জেলায় সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের দৃশ্যাবলী মূলত এ লোকজ মেলায় প্রদর্শিত হবে। লোকজ মেলাকে আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই জেলা শহরের রাজারমাঠে বসানো হয়েছে স্টল।  লোকজ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হবে সকালে।

চ্যানেল আই- এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে। বিকেল ৪টায় শহরের রাজারমাঠে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে।  এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হল পার্বত্য অঞ্চলের প্রিয়দর্শনী নির্বাচন। তিন পার্বত্য অঞ্চলের রমনীদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে।কিউট ও চ্যানেল আই'র যৌথ সহযোগিতায়  অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও কিউট'র কর্ণধার চিত্রনায়িকা মৌসুমী   উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।





 

সাবমেরিন ক্ষতিগ্রস্ত : ইন্টারনেটের গতি কমেছে বাংলাদেশে

টেক ২৪ ডেক্স:ভারতের দুটি সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। রাজধানী ঢাকাসহ অনেক এলাকায় কমে গেছে ইন্টারনেটের গতি।

বিশেষ করে দেশের যেসব ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল) অপারেটরদের ব্যান্ডউইডথের ওপর নির্ভরশীল তাদের গ্রাহকরা সংকটে পড়েছে। আইটিসি অপারেটররা মূলত ভারত থেকেই ব্যান্ডউইডথ সংগ্রহ করে।

ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমরা জেনেছি, গতকাল ভারতের টাটা ইনডিকম কেবল বা টিআইসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কয়েক দিন আগে কাটা পড়ে ভারতি এয়ারটেলের ‘আই ২ আই’ সাবমেরিন কেবল। গত মাসে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘আইমিউই’সহ ভারতের কয়েকটি সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক। এসব কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেটের গতি অনেক কমে গেছে। আজ (গতকাল বুধবার) এ অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। গতি স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। ”

এ বিষয়ে দেশের একমাত্র নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কেবলে কোনো সংকট নেই এবং যাঁরা আমাদের ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করছেন তাঁরা স্বাভাবিক গতির ইন্টারনেটই ব্যবহার করতে পারছেন। ’

মনোয়ার হোসেন জানান, ‘দেশে বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানি করা ১০ জিবিপিএসসহ প্রায় ৩০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে আমরা সরবরাহ করছি ১৭৭ জিবিপিএস। বাকিটা ছয় আইটিসি অপারেটরের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। ’

প্রসঙ্গত, দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা গত দেড় বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৫ সালের আগস্টে ভারতে ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি বা লিজের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে বিএসসিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা ১২৬ জিবিপিএস। এর মধ্যে এসসিসিএলের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩৩ জিবিপিএস। আর বাকি ৯২ জিবিপিএস আসছে ভারত থেকে আইটিসি অপারেটরদের মাধ্যমে। অর্থাৎ দেশে নিজেদের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি ব্যবহার হচ্ছে ভরতীয় ব্যান্ডউইডথ। এ বাস্তবতায় অব্যবহৃত পড়ে থাকছে বিএসসিসিএলের প্রায় ১৬৭ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ। এই মূল্যবান সম্পদ কোনো কাজেই লাগছে না।

কিন্তু গতকাল মনোয়ার হোসেন জানান, চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে নিজস্ব ব্যান্ডউইডথের ব্যবহারও বেড়েছে। আমাদের বর্তমান সাবমেরিন এসএমডাব্লিউ-৫-এর ক্ষমতা এখনো ৩০০ জিবিপিএস সরবরাহের। বাংলাদেশ এরই মধ্যে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল এসএমডাব্লিউ-৫-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এখন পটুয়াখালীর ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ঢাকায় সংযোগের বিষয়টি অপেক্ষমাণ। আশা করা হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে এটা চালু হবে। ৫৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ওই সাবমেরিন কেবল থেকে প্রথম পর্যায়ে পাওয়া যাবে আরো ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ। পরে পাওয়া যাবে প্রায় এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ।

দেশে ব্যান্ডউইডথ এভাবে অব্যবহৃত থাকার পরও কেন ভারত থেকে আমদানি করতে হচ্ছে—এমন প্রশ্নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সাবমেরিন কেবলটি মেরামত বা অন্য কোনো বিপর্যয়ের কারণে মাঝে মাঝে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করতে পারে না। তখন বিকল্প কোনো ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ নিতে হয়। এ কারণেই দেশে ছয়টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইটিসি অপারেটরকে বাইরে থেকে ব্যান্ডউইডথ আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হয়। এসব অপারেটর মূলত ভারত থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করছে এবং বিএসসিসিএলের চেয়ে অনেক কম দামে তারা ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে পারছে। ’

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...