শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৭

আগামীকাল শুরু হচ্ছে বান্দরবানে পার্বত্য লোকজ মেলা

বি.কে বিচিত্র, নিজস্ব প্রতিবেদক,বান্দরবান:বান্দরবান  জেলা শহরের রাজারমাঠে  ৭ই জানুয়ারি   পার্বত্য লোকজ মেলা শুরু হচ্ছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়,  পার্বত্য জেলা পরিষদ, চ্যানেল আই ও  কিউট'র  যৌথ ব্যবস্থাপনায় এ লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা জানান, বান্দরবানে আগামীকাল ৭ই জানুয়ারি  এই মেলা শুরু হচ্ছে। অনুষ্ঠেয় এ লোকজ মেলায় থাকছে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসরত ১১টিসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আরও ৩টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীদের নৈপণ্য প্রদর্শন, পোশাক শিল্পসহ নানাকরমের কারুকার্যের সামগ্রী প্রদর্শন। দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা বান্দরবান জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ও স্বকীয়তাসহ জীবন ধারার চিত্র নিয়েই এ লোকজ মেলায় রকমারী স্টল বসবে। পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও দেশের নানাস্থান থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ প্রদান এবং সম্প্রীতির বান্দরবান জেলায় সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের দৃশ্যাবলী মূলত এ লোকজ মেলায় প্রদর্শিত হবে। লোকজ মেলাকে আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই জেলা শহরের রাজারমাঠে বসানো হয়েছে স্টল।  লোকজ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হবে সকালে।

চ্যানেল আই- এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে। বিকেল ৪টায় শহরের রাজারমাঠে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে।  এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হল পার্বত্য অঞ্চলের প্রিয়দর্শনী নির্বাচন। তিন পার্বত্য অঞ্চলের রমনীদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে।কিউট ও চ্যানেল আই'র যৌথ সহযোগিতায়  অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও কিউট'র কর্ণধার চিত্রনায়িকা মৌসুমী   উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।





 

সাবমেরিন ক্ষতিগ্রস্ত : ইন্টারনেটের গতি কমেছে বাংলাদেশে

টেক ২৪ ডেক্স:ভারতের দুটি সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। রাজধানী ঢাকাসহ অনেক এলাকায় কমে গেছে ইন্টারনেটের গতি।

বিশেষ করে দেশের যেসব ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল) অপারেটরদের ব্যান্ডউইডথের ওপর নির্ভরশীল তাদের গ্রাহকরা সংকটে পড়েছে। আইটিসি অপারেটররা মূলত ভারত থেকেই ব্যান্ডউইডথ সংগ্রহ করে।

ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমরা জেনেছি, গতকাল ভারতের টাটা ইনডিকম কেবল বা টিআইসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কয়েক দিন আগে কাটা পড়ে ভারতি এয়ারটেলের ‘আই ২ আই’ সাবমেরিন কেবল। গত মাসে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘আইমিউই’সহ ভারতের কয়েকটি সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক। এসব কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেটের গতি অনেক কমে গেছে। আজ (গতকাল বুধবার) এ অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। গতি স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। ”

এ বিষয়ে দেশের একমাত্র নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কেবলে কোনো সংকট নেই এবং যাঁরা আমাদের ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করছেন তাঁরা স্বাভাবিক গতির ইন্টারনেটই ব্যবহার করতে পারছেন। ’

মনোয়ার হোসেন জানান, ‘দেশে বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানি করা ১০ জিবিপিএসসহ প্রায় ৩০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে আমরা সরবরাহ করছি ১৭৭ জিবিপিএস। বাকিটা ছয় আইটিসি অপারেটরের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। ’

প্রসঙ্গত, দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা গত দেড় বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৫ সালের আগস্টে ভারতে ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি বা লিজের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে বিএসসিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা ১২৬ জিবিপিএস। এর মধ্যে এসসিসিএলের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩৩ জিবিপিএস। আর বাকি ৯২ জিবিপিএস আসছে ভারত থেকে আইটিসি অপারেটরদের মাধ্যমে। অর্থাৎ দেশে নিজেদের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি ব্যবহার হচ্ছে ভরতীয় ব্যান্ডউইডথ। এ বাস্তবতায় অব্যবহৃত পড়ে থাকছে বিএসসিসিএলের প্রায় ১৬৭ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ। এই মূল্যবান সম্পদ কোনো কাজেই লাগছে না।

কিন্তু গতকাল মনোয়ার হোসেন জানান, চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে নিজস্ব ব্যান্ডউইডথের ব্যবহারও বেড়েছে। আমাদের বর্তমান সাবমেরিন এসএমডাব্লিউ-৫-এর ক্ষমতা এখনো ৩০০ জিবিপিএস সরবরাহের। বাংলাদেশ এরই মধ্যে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল এসএমডাব্লিউ-৫-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এখন পটুয়াখালীর ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ঢাকায় সংযোগের বিষয়টি অপেক্ষমাণ। আশা করা হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে এটা চালু হবে। ৫৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ওই সাবমেরিন কেবল থেকে প্রথম পর্যায়ে পাওয়া যাবে আরো ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ। পরে পাওয়া যাবে প্রায় এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ।

দেশে ব্যান্ডউইডথ এভাবে অব্যবহৃত থাকার পরও কেন ভারত থেকে আমদানি করতে হচ্ছে—এমন প্রশ্নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সাবমেরিন কেবলটি মেরামত বা অন্য কোনো বিপর্যয়ের কারণে মাঝে মাঝে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করতে পারে না। তখন বিকল্প কোনো ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ নিতে হয়। এ কারণেই দেশে ছয়টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইটিসি অপারেটরকে বাইরে থেকে ব্যান্ডউইডথ আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হয়। এসব অপারেটর মূলত ভারত থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করছে এবং বিএসসিসিএলের চেয়ে অনেক কম দামে তারা ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে পারছে। ’

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও গণসমাবেশে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালিত

বি.কে বিচিত্র, নিজস্ব প্রতিবেদক,বান্দরবান:বান্দরবানে  ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩য় বছর পূর্তি ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে বান্দরবান  জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিশাল  গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, সুধাংশু বিমল চক্রবর্তী, দীপ্তি কুমার বড়ুয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য শফিকুর রহমান, কাজল কান্তি দাশ,পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মং কৈ চিং চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যা সা প্রু, লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ম্রা সা খ্যায়াং, ফিলিপ ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত দাশ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশসহ অনেকে ।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশগ্রহন না করে তাহলে দলটি মুসলিমলীগে পরিনত হবে। তাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন করা নয়, তাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন বর্জন করা। আমরা যারা গনতন্ত্র বিশ্বাস করি তাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় যাবে। প্রধানমন্ত্রী বারবার চেষ্টা করেছেন, মানুষ জানেন। সেই দিন টেলিফোন করেছিলেন কিন্তু তিনি ফোনে কি বলেছিলেন তা বাংলার জনগন জানে।
এসময় জেলা শহরের ৯টি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে এসে সমাবেশে অংশ নেয় ।
বি

চট্টগ্রাম বন্দর এ ৬৬৬টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত

জব ২৪  নিউজ:
চট্টগ্রাম বন্দরে শুন্যপদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন অনলাইনে ২৫.০১.২০১৭ তারিখ পর্যন্ত করা যাবে।



লোহাগাড়ার তরুণ কবি নাছির উদদীনের কবিতা"ফেরিওয়ালার ডাক"

Posted by B.K
# ফেরিওয়ালার ডাক #
নাছির উদদীন পুটিবিলা
--------------------
দিন দুপুরে ঘুম পাড়িলে
ফেরিওয়ালার ডাক,
ঔষুধ ঢেলে খালি বোতল
নিয়ে দিতাম লাফ।
রাতের বেলায় মা যখনি
পায়না ঔষুধ খুঁজে,
কাঁথার ভিতর মুখ লুকিয়ে
বসেছিলাম চুপে।
সকাল হলে পায়না যখন
বাবার পুরান জুতা,
খেয়ে নিছি চম্পা পুরি
জুতা পাবে কোথা ?
পাকা আমে  ডিল মারিতাম
ঢিল পড়িত চালে,
বাবা মায়ের ঘুম ভাঙ্গিলে
দৌড়ে আড়ালে।
দুদিন আগে বলে দিতাম
পরশু শুক্রবার,
স্কুলে না যাওয়ার লাগি
কত কি কারবার।
যাইনি ভুলে নদীর কূলে
মাছ ধরিবার শখ,
গোল পাহাড়ের জাম কাননে
বৃষ্টি ভেজা পথ।

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অভিজ্ঞ শিক্ষক কেন নয়:হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এসএসসি ও এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক কেন নয় জানতে চেয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

যোগ্য শিক্ষক দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করানো এবং তা করতে পর্যাপ্ত সময় কেন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

শিক্ষাসচিব ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর ‘পরীক্ষার খাতা দেখায় নৈরাজ্য’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন একটি দৈনিকে ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ১ জানুয়ারি একটি রিট করে।

রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস

Posted by B.K
                    

জাতীয় ২৪ ডেক্স:বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( Bangladesh Student League – BSL / Bangladesh Chatro League ) বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । এটি ভারত বিভক্তিক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের  উদ্ভবের কিছু পর গঠিত হয়। ছাত্রলীগ  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠানিক অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির জন্ম আওয়ামী লীগের এক বছর আগে। [ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস ]
শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন, জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন, সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ  ছাত্রলীগ অতিক্রম করেছে পথচলার ৬৮ বছর।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সময়ের দাবিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়ের প্রয়োজন মেটাতেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( Bangladesh Student League – BSL / Bangladesh Chatro League ) ।

ছাত্রলীগ লোগো-ChatroLeague Logo
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় রাজপথে ছিলেন সদা সোচ্চার। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘটে তিনি ও কয়েকজন সহকর্মীসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলন জোরালো করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল প্রণিধানযোগ্য।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় অগ্রণী ভূমিকা  পালন করে।   ১৯৬২ সালে তৎকালীন আইয়ুব খান সরকার কর্তৃক গঠিত শরিফ কমিশন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্য ও স্বার্থের অনুকূলে একটি গণবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিল। সেই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গণআন্দোলন ও গণজাগরণ তৈরি করে। সেই বাষট্টির রক্তঝরা দিনগুলোতে রক্ত ঝরেছে অসংখ্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর।
১৯৬৬ সালে বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার সনদ ছয় দফা বাস্তবায়নে শেখ মুজিবুর রহমান আস্থা রেখেছিলেন তরুণ ছাত্রনেতাদের ওপর। তিনি সে সময়কার ছাত্রনেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, জেলায় জেলায় অবস্থান সুদৃঢ় করে ছয় দফার সপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সারা বাংলার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফা দাবির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছিল রাজপথের প্রমিথিউস। ছয় দফা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বিভেদ ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে ছাত্রলীগের শক্ত অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সেদিন আওয়ামী লীগের বৈঠকের বাইরে কঠোর পাহারা বসাতে হয়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীদেরই।
১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুস জয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে  গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।   একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রলীগ হারিয়েছে তার সহস্র্রাধিক নেতাকর্মীকে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের সমাবেশে বলেছিলেন, ‘দানবের সঙ্গে লড়াইয়ে যে কোনো পরিণতিকে মাথা পেতে বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ২৩ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজনবোধে বুকের রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। তবু সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করব না।’ তাই তো মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রাণের সংগঠনের ১৭ হাজার বীর যোদ্ধা তাদের বুকের তাজা রক্তে এঁকেছেন লাল-সবুজের পতাকা, এঁকেছেন ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এক সার্বভৌম মানচিত্র। সেসব বীর যোদ্ধাই আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের শক্তি, আমাদের সাহস।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে আছে তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা ও আদর্শ, আছে কাজী নজরুলের বাঁধ ভাঙার শৌর্য, আছে ক্ষুদিরামের প্রত্যয়, আছে সুকান্তের অবিচল চেতনা। তাই তো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার অধিকার রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থ সুরক্ষায় সবসময় মঙ্গলপ্রদীপের আলোকবর্তিকা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চার দিগন্তে।
যখন বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছি।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...