শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর কলাম, একটি বিয়ে ও রাজনীতিক প্রেক্ষিত





গণজাগরণ মঞ্চের নেতা ইমরান সরকার বিয়ে করেছেন। এরকম বিয়ে তো দেশে রোজই হয়। পাঠক বলতে পারেন, একজন রাজনীতিকের বিয়ে নিয়ে লেখালেখির কী আছে? ইমরান সরকার রাজনীতিক হলে কী হবে, বয়সে তরুণ। বিয়ে তো তাকে করতেই হবে। এই পাঠকদের বলি, রোজই তো তৃতীয় মতে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লিখি। আজ না হয় একটা লঘু বিষয় নিয়েই লিখলাম। পাঠকরাও একটু হালকা বোধ করবেন। বিয়ে তো সবই সমান; কিন্তু কোনো কোনো বিয়ের পেছনে একটা রাজনৈতিক প্রেক্ষিত থাকে। ইমরান সরকারের বিয়েতে সেই প্রেক্ষিতটার কথাই মনে পড়ল। তাই লোভ সামলাতে পারলাম না।

 

আরও একটা কারণ আছে এই বিয়ে সম্পর্কে লেখার। বহু আওয়ামী লীগ নেতার কাছে ইমরান সরকার এবং তার বর্তমান রাজনীতি অপছন্দের। এই ইমরান সরকার একেবারে আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ সাহেবের মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছেন। তাতে শিক্ষামন্ত্রীর ভবিষ্যৎ ভেবে অনেকে শংকিত। জামাইয়ের বদৌলতে তিনিও দলের হাইকমান্ডের কাছে অচ্ছুৎ না হয়ে পড়েন! এক বয়োকনিষ্ঠ আওয়ামী নেতা আমার কাছে এই শংকা প্রকাশ করতেই তাকে বলেছি- বৎস, তিষ্ট ক্ষণকাল! এই জামাইয়ের বদৌলতেই আমাদের প্রিয় শিক্ষামন্ত্রীর ভাগ্য আরও খুলে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন অনেক পরিপক্ব এবং দূরদর্শী। কথায় আছে, ‘প্রাণে যদি বাঁচতে চান, সাপের মাথায় ব্যাঙ খেলান।’ এই গুণটি শেখ হাসিনা এখন আয়ত্ত করেছেন।

 

ইমরান সরকার এবং তার গণজাগরণ মঞ্চকে আমি খুব পছন্দ করি। গণজাগরণ মঞ্চ তার আগের অতিস্ফীত জনপ্রিয়তা হারিয়েছে বৈকি; কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা যে ঐতিহাসিক ভূমিকাটি পালন করেছে, সেটি সঠিকভাবে ধরে রাখতে পারলে এই রাজনৈতিক প্লাটফরমটির এখনও একটি ভবিষ্যৎ আছে। আমি ঢাকায় গেলে ইমরান সরকার আমার কাছে আসেন (এবার ডিসেম্বর মাসেও এসেছিলেন)। তার সঙ্গে আসেন আমার প্রিয় অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত। থ্রি মাস্কেটিয়ার্সের অন্যতম ড. জাফর ইকবালের সঙ্গেও শাহবাগের মঞ্চে দেখা হয়েছে। আমরা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করি।

 

ইমরান সরকারকে বলেছি, দেশে বাম গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারা এখন স্তিমিত। জাগরণ মঞ্চের প্রধান কর্তব্য এই ধারাটিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালানো। তরুণ প্রজন্মের বিপথগামী অংশকে হিংস্র মৌলবাদের মোহ থেকে দূরে সরিয়ে এনে এই ধারার সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি একটা সুস্থ সেক্যুলার সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা। যে কাজটি পঞ্চাশের দশকে শক্তিশালী বামপন্থী সংগঠনগুলো করেছিল।

 

এ ব্যাপারে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেন সাংঘর্ষিক না হয়, বরং পরিপূরক হয়। এই মুহূর্তে দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব নেই। এ কথাটা ইমরান সরকারও স্বীকার করেন। দেশে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির নিভু নিভু বাতি আওয়ামী লীগ। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করার অর্থ হবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের শত্রু রাজনৈতিক অপশক্তির বাহুতে শক্তি জোগান। যে কাজটি আওয়ামী লীগের বিরোধিতার নামে ড. কামাল হোসেন, ড. ইউনূস, ডা. বদরুদ্দোজারা করেছেন এবং রাজনৈতিক ফসিল হয়ে গেছেন।

 

মঞ্চ এখন ছোট প্ল্যাটফরম হলেও তাকে সাহসের সঙ্গে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। শেখ হাসিনার বিরোধিতা নয়, আবার আওয়ামী লীগকে ঢালাও সমর্থন দানও নয়। আওয়ামী লীগে যাতে সুযোগসন্ধানী ডানপন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে, আওয়ামী লীগ আপস ও সুবিধাবাদী রাজনীতির পথে চলে না যায়, সেজন্য আওয়ামী লীগ ও তার সরকারের ওপর বাম গণতান্ত্রিক রাজনীতির চাপ অব্যাহত রাখতে হবে; অন্যদিকে হাসিনার নেতৃত্বের ভিত্তিটি যাতে দুর্বল না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এটি অত্যন্ত দুরূহ কাজ; কিন্তু মঞ্চ যদি এ কাজটি সাফল্যের সঙ্গে করতে পারে, তাহলে এখন তার অবস্থান যতই দুর্বল হোক, বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর শক্তিশালী বিকল্পধারাটি তৈরিতে তার সাফল্য লাভের সম্ভাবনা বারো আনা।

 

এখন বর্তমানের বাস্তবতায় এবং বিয়ের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট অনেকেই ভাবছেন, এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের শত্রু হিসেবে বিবেচিত ইমরান সরকারের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর মেয়ের বিয়ে দলের হাইকমান্ড ভালো চোখে দেখবে না। এই বিয়েতে শিক্ষামন্ত্রী হয়তো মনে মনে বিব্রত হয়েছেন, যদিও প্রকাশ্যে মেয়ের ইচ্ছার বিরোধিতা করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ মহলের একশ্রেণীর নেতার এই ধারণাটি সঠিক নয় বলেই আমার বিশ্বাস, কেন সঠিক নয় সেই কথাটি বলার জন্যই এই বিয়ে সম্পর্কে আমার আজ কলম ধরা। কারণ, এই বিয়ে যত স্বাভাবিক ও সাধারণ বিয়ে হোক, এর একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষিত তৈরি হয়ে গেছে।

 

পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত এবং প্রয়াত ঔপন্যাসিক মনোজ বসুর ‘শত্রুপক্ষের মেয়ে’ অথবা ব্রিটিশ উপন্যাস ‘আইভান হো’ যারা পড়েছেন, তাদের কাছে এই রাজনৈতিক প্রেক্ষিতের কথা আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। আওয়ামী লীগের অনেকের কাছে এখন ইমরান সরকার হয়তো শত্রুপক্ষ। এই শত্রুপক্ষকে ঘরে স্থান দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ভালো কাজ করেননি বলেও অনেকে মিছামিছি চিন্তিত হতে পারেন। আমার এই ধরনের বিয়ের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ এই বিয়েতে সম্মত হয়ে অত্যন্ত ভালো কাজ করেছেন। নিজের দলের উপকার করেছেন। মন্ত্রিত্বের টোপে যে শত্রু বশ হতে চায়নি, এখন প্রেমের ফাঁদে পড়ে সেই শত্রু (আমি ইমরান সরকারকে আওয়ামী লীগের শত্রু মনে করি না) সহজেই বশ হতে পারে। অতীতের অনেক ঘটনা তারই সাক্ষ্য দেয়।

 

আমি দেশ-বিদেশের বড় বড় ঘটনা নয়, দেশেরই দুটি ছোট ঘটনা উদাহরণ হিসেবে টানব। রাজনৈতিক নেতা মাহমুদ আলীর কথা আমরা এখনও নিশ্চয়ই ভুলিনি। এককালে ছিলেন জাঁদরেল বামপন্থী, ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা, ইয়ুথ লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ’৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। পাকিস্তানে তার মৃত্যু হয়। এই মাহমুদ আলী প্রথম যৌবনে ছিলেন একজন দুর্দান্ত তরুণ রাজনৈতিক সংগঠক; কিন্তু চরিত্রে ও স্বভাবে ছিলেন ডানপন্থী। অবিভক্ত বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টি তখন বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ মুসলমানদের মধ্যে তাদের ক্যাডার সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। মাহমুদ আলীর দিকে সহজেই তাদের দৃষ্টি পড়ে।

 

হাজেরা বেগম তখন কলকাতায় মুষ্টিমেয় আলোকিত মুসলিম তরুণীদের একজন। তিনি বামঘেঁষা। তাকে মাহমুদ আলীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হল। মুগ্ধ অথবা বিদ্ধ হতে মাহমুদ আলীর বেশি দেরি হল না। প্রেম থেকে পরিণয়। মাহমুদ আলী জাঁদরেল বামনেতায় পরিণত হলেন। পাকিস্তান হওয়ার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রগতিশীল যুব আন্দোলন গড়ে তোলায় তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। হয়েছিলেন গণতান্ত্রিক দলের নেতা এবং হক মন্ত্রিসভার সদস্য। যদিও ’৭১ সালে তার পদস্খলন হয়।

 

আরেকটি উদাহরণ আমার বন্ধু, পঞ্চাশের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন হাসান হাফিজুর রহমানের বিয়ে। হাসান ছিলেন পঞ্চাশের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের একজন অগ্রনায়ক। গড়ে তুলেছিলেন এস্টাবলিশমেন্টবিরোধী শক্তিশালী সাহিত্য আন্দোলন। চিন্তা-চেতনায় ছিলেন চরম বামপন্থী। আওয়ামী লীগকে মনে করতেন পেটি বুর্জোয়া দল এবং এই দল থেকে দূরে অবস্থান করতেন। ষাটের দশকে তিনি প্রচণ্ডভাবে চীনপন্থী বাম বুদ্ধিজীবী হয়ে ওঠেন।

 

ঢাকায় তৎকালীন আর্ট কলেজের এক তরুণী শিল্পীর সঙ্গে ছিল তার প্রেম। হয়তো বিয়েও হতো। ঠিক এ সময় আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য যশোরের মশিউর রহমানের সুন্দরী শ্যালিকার সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। হাসান হাফিজুর রহমান আমাদের বিস্মিত করে এই বিয়েতে সম্মত হন। মশিউর রহমান তখন ছিলেন প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর হাতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন।

 

এই বিয়ের পর হাসান ধীরে ধীরে বদলাতে থাকেন। আওয়ামী লীগের প্রতি তার বিরূপতা কমে যায়। ১৯৭২ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক দেয়া চাকরি গ্রহণ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে চলে যান। পরে তার অকাল মৃত্যু ঘটে। এই বিয়ে নিয়ে পাঠান আমলের একটি গল্প বলে আজকের আলোচনা শেষ করি। সুলতানা রাজিয়া ছিলেন পাঠান আমলে দিল্লির সম্রাজ্ঞী। সে যুগের ‘ইন্দিরা গান্ধী’ ছিলেন অবিবাহিত। দোর্দণ্ড প্রতাপে সাম্রাজ্য চালাতেন। তার এক প্রভাবশালী সেনাপতি বিদ্রোহী হয় এবং কৌশলে সম্রাজ্ঞীকে বন্দি করে ফেলে। মুক্তির উপায় না দেখে সুলতানা রাজিয়া কৌশল খাটান এবং বিদ্রোহী সেনাপতিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

 

সেনাপতি সানন্দে রাজি। এই বিয়ের পর সেনাপতিই হয়ে ওঠেন সুলতানা রাজিয়ার সবচেয়ে বড় সমর্থক। দরবারে কূটকৌশলী আমির ওমরাহের অনেক চক্রান্ত থেকে তিনি রাজিয়াকে রক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধীর মতোই সুলতানা রাজিয়া চক্রান্তের বলি হয়ে নিহত হন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার সঙ্গে আত্মবলিদান করেন তার স্বামী সেনাপতিও। দুই শত্রুপক্ষের পরম শত্রুতাকে বিয়ে কী করে পরম মিত্রতায় পরিণত করেছে, সে সম্পর্কে এরকম অসংখ্য কাহিনী আছে দেশ-বিদেশের ইতিহাসে। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার টোরি সমর্থক থেকে লেবার পার্টির সমর্থক এবং শেষ পর্যন্ত লেবার গভর্নমেন্টের প্রধান হয়েছিলেন, তাও বিয়ের কারণে- অর্থাৎ স্ত্রী চেরি ব্লেয়ারের প্রভাবে।

 

আওয়ামী লীগের মন্ত্রীকন্যাকে বিয়ে করে ইমরান সরকার কতটা বদলাবেন বা বদলাবেন না তা আমি জানি না। তবে বদলালে বিস্মিত হব না। তবু এই বিয়ের সার্থক দিকটাই আমি দেখছি এবং নববিবাহিত দম্পতির শুভ কামনা করছি। এই বিয়ের একটা রাজনৈতিক প্রেক্ষিত আছে। তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য শুভ হবে বলেই আমার ধারণা। এই বিয়েতে আওয়ামী লীগের কারও চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। বিয়েটি আওয়ামী লীগের শত্রু নয়, মিত্রের সংখ্যা বাড়াবে।
  সূত্র-যুগান্তর
 




বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

বীর বাহাদুরের জন্মদিন উপলক্ষে বান্দরবান সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ'র দুস্থ শিশুদের খাবার বিতরণ

বি.কে বিচিত্র, নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:বান্দরবান সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে  বীর বাহাদুরের জন্মদিন  কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায়  এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানে কলেজ হল রুমে দোয়া কামনা ও  দুস্থ শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ  করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্র নেতা রাজু বড়ুয়া,  আরো উপস্থিত ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু, যুগ্ন আহবায়ক টিপু দাশ,  সদস্য রাজু, সুরিত,নাজমুল, নারায়ণ, সিকিম,  সুজন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাসের সভাপতি রুবেল দাশ,  সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া, ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রধান অতিথি  বলেন, পার্বত্য জনপদের অবিসংবাদিত নেতা, অপ্রতিরোধ্য কন্ঠস্বর,  আপামর জনগণের প্রিয় নেতা,  পার্বত্য বীর, বীর বাহাদুরের আজ জন্মদিন,  যার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে বান্দরবানের প্রত্যন্ত জনপদ, হাজার বছর বেঁচে থাকুক প্রিয় বীর,

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭

বীরের জন্ম দিনে বীর বাহাদুরের সংক্ষিপ্ত জীবনি

Posted by B.K

              
                         

★এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন(সাংবাদিক)- লামা★
         
             পার্বত্য জনপদের অপ্রতিরোধ্য কন্ঠস্বর, পার্বত্য বীর, আপামর জনসাধারণের প্রিয় নেতা, বর্ষীয়মান রাজনীতিবিদ,  বান্দরবানের রুপকার বীর বাহাদুর উশৈসিং এম পি' র শুভ জন্মদিন শুভ হোউক....!!!
          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আমাদের প্রিয়নেতা জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং এম,পি জন্মদিনে শুভেচ্ছাসিক্ত হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। 
দাপ্তরিক কাজ শেষে সভাকক্ষে জন্মদিনের আয়োজনে অংশ নিয়ে কেক কাটেন তিনি। এ সময় সংসদ সদস্য জনাব উষাতন তালুকদার, সচিব জনাব নববিক্রম  কিশোর ত্রিপুরাসহ মন্ত্রণালয়ের  কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত জীবনিঃ
★★★★★★
বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং , এম পি মহোদয়  ১৯৬০ সালের ১০ জানুয়ারী বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদরের একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম প্রয়াত লালমোহন বাহাদুর এবং মাতা মা চ য়ই, তিনিএকজন গৃহিনী।
বীর বাহাদুর ঊশৈসিং ১৯৬৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে এবং পরে বান্দরবান সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
ছাত্র জীবনেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্র জীবনে তিনি বান্দরবান ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯২ সালে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা স্কাউটের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বীর বাহাদুর ঊশৈসিং ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংসদীয় দলের হুইপ নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সময়ে তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগে সংগঠনকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করেন। তিনি বান্দরবান প্রেস ক্লাব ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য। তিনি ১৯৭৯ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পূর্বে এ সংক্রান্ত সংলাপ কমিটির অন্যতম সদস্য এবং তৎকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রথম বারের মত এবং ২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় দ্বিতীয় বারের মত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙ্গামাটি-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এর ফলে তিনি সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি তথা ভৌত অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় সুযোগ
পান।
এছাড়া বীর বাহাদুর ঊশেসিং নবম জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ঐ সংসদের একজন প্যানেল স্পীকার ছিলেন যার ফলে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই তিনি খন্ডকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছাত্র জীবন থেকেই খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চায় গভীর মনোযোগী ছিলেন। তার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফুটবল রেফারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দক্ষতার সাথে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে ফিফা বিশ্বকপ ফুটবল কোয়ালিফাই রাউন্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া গমন করেন এবং বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া অষ্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অলিম্পিক ২০০০-এ বাংলাদেশ দলের চীফ অব দ্য মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
স্বরূপ ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বীর বাহাদুর ঊশৈসিং ফ্রান্স গমন করেন। বাংলাদেশ বিমানের লন্ডন-নিউইয়র্ক ফ্লাইট উদ্বোধনের জন্য এবং জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আমেরিকা এবং ২০০৬ সালে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে চীন গমন করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের জন্য জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মায়ানমার ও কম্বোডিয়া সফর করেন।
বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জাতীয়ভাবে পুরস্কার প্রাপ্ত একজন ব্যক্তিত্ব। একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবেও তার খ্যাতি সমধিক। তিনি ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হন এবং বর্তমানে এ পদে আসীন আছেন।
বীর বাহাদুর ঊশৈসিং ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে সপ্তম, ২০০১ সালে অষ্টম, ২০০৮ সাালে নবম এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে ০৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান সংসদীয় আসন (৩০০ নং আসন) থেকে টানা পঞ্চম বারের মত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধিকার বীর বাহাদুর ঊশৈসিং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ১২.০১.২০১৪ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বীর বাহাদুর ঊশৈসিং ১৯৯১ সালে মে হ্লা প্রু’র সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক। তার বড় ছেলে উসিং হাই (রবিন) বার-এট-ল এ অধ্যায়নরত ও ছোট ছেলে থোয়াইং শৈ ওয়াং (রোমিও) এ লেভেলের ছাত্র এবং একমাত্র কন্যা ম্যা ম্যা খিং (ভ্যানাস) ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।

লেখক-
          এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন(সাংবাদিক),
                সাংগঠনিক সম্পাদক-
                      লামা প্রেসক্লাব,
                            বান্দরবান।

লোহাগাড়ায় যৌতুক মুক্ত বিয়ে করার ঘোষণা দিলেন আব্বাস উদ্দিন

Posted by B.K
লোহাগাড়া:সব ভাল কাজের শুরু গুলো একে একে বা বিন্দু বিন্দুতে এভাবেই শুরু হয়ে থাকে।
পুটিবিলা ইউনিয়ণ এর নুরুল আমিন ভাই এর পর এবার যৌতুক মুক্ত বিয়ে করার ঘোষণা  দিয়ে আনুষ্টানিক বিয়ে সম্পন্ন করলেন পুটিবিলা ইউনিয়নের আরও এক ভাই আব্বাস উদ্দিন।
লোহাগাড়া উপজেলা সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ফোরাম এর প্রতিষ্টাতা,রূপকার ও সভাপতি মিসেস রিজিয়া চৌধুরী'র পক্ষ থেকে আমরা ফোরামের সকল সদস্যগণ  আব্বাস উদ্দিন ভাই এর প্রতি অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানাচ্ছি। সাথে আরো শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

পুটিবিলা_যৌতুক_ও_মাদক_বিরোধী_সম্মিলিত_সচেতন_নাগরিক_পরিষদ কে।
আশা করি নুরুল আমিন ভাই ও আব্বাস উদ্দিন ভাই এর ভূমিকাটি লোহাগাড়ার শত যুবকের যৌতুক মুক্ত বিয়ে করার অনুপ্রেরনার উৎস হিসাবে কাজ করবে।
কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন,লোহাগাড়ায় কি এর আগে কোন যৌতুক মুক্ত বিয়ে হয়নি?
তার উত্তর হয়েছে।তবে আমাদের উদ্দেশ্য লোহাগাড়ায় শতভাগ যৌতুক মুক্ত করা।
সৌজন্যেঃ- লোহাগাড়া উপজেলা সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ফোরাম।
সূত্র-মো: ওমর ফারুক এর ফেসবুক ওয়াল।

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

একজন ম্যাজিস্ট্রেটের আকুতি , একটি মানবিক আবেদন

Posted by B.K
নিউজ ডেক্স::"ব্রেইনে এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে আরেকটা অপারেশন! নানা আশংকায় হাত-পা জমে যাচ্ছে, মুখে কথা সরছে না। একদিকে রশিদ সাহেবের জীবনের ঝুঁকি, অন্যদিকে এতো টাকার সংকুলান! আমি চোখে অন্ধকার দেখছি। শোনার পর থেকে কেঁদে চলেছে আমার মেয়েটা। মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন। জানি না, আমার অবুঝ সন্তানদের জন্যে সামনে কী দিন অপেক্ষা করছে?"
ফেসবুক দেওয়ালে সাঁটা জীবন-সাহিত্যের এই অন্তর্বেদনা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস আলেয়া'র। প্রিয়তম স্বামী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর রশীদ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। আলেয়া মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীকে নিয়ে সিংগাপুরে অপেক্ষায় আছেন আরেকটি সফল অপারেশনের। একটি অপারেশন হয়েছিল এ বছরের জুন মাসেই, সিংগাপুরে। সে দফায় সফল অপারেশনই ছিল ওটা। কিন্তু ডাক্তারদের আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে সেখানে আগের চেয়ে বড়ো আরেকটি টিউমার দানা বেধেছে এর মধ্যেই। শীঘ্রই আরেকটি অপারেশন করতে হবে। ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশনে আলেয়া আবারো স্বামীকে নিয়ে সিংগাপুর গেছেন এ মাসের ১২ই ডিসেম্বর। অদ্যাবধি অবস্থান করছেন সেখানেই, আর দিন গুণছেন চিকিৎসাশাস্ত্রের আরেকটি সফল অপারেশনের।
কিন্তু বাধ সেধেছে অর্থ। সাকুল্যে প্রয়োজন পঞ্চাশ লাখ টাকার। সংগ্রহে আছে মাত্র দশ লাখ টাকার মতো। লাগবে আরও প্রায় চল্লিশ লাখ টাকা। অপারেশনের উদ্দেশ্যে হাসপাতালে এডমিশন নিতে সর্বমোট অর্থের যে আশিভাগের আবশ্যক হয়, তাও যোগাড় হয়নি এখনো। নিরূপায় বিচারক-দম্পতি প্রথমবার অপারেশনের সময় একবার হাত পেতেছিলেন বলে লাজে-সংকোচে আর বলছেন না কিছুই। বিচারক তবে স্বভাবে কবি অভিমানিনী আলেয়া মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীর শিয়রে বসে না-বলা কথাগুলোকে গদ্য-পদ্যের মালায় গেঁথে সন্তাপে ফেসবুকের দেওয়ালে সেঁটে দিচ্ছেন অসহায় জীবন-সাহিত্যের একের পর এক শোকগাথা বা elegy; আর অসহায়ত্বকে সমর্পণ করেছেন বিধাতার কাছে।  'প্রশ্নের ভীড়' শিরোনামে ১৭ই ডিসেম্বরের এক পদ্যে নিরূপায় আলেয়া এভাবেই সকল অভাব ঘুচানোর ভার সপেছেন বিধাতার দরবারে-
"প্রশ্নের পর প্রশ্ন আসে
জানিনে তার জবাব
জানি, শুধু তুমি চাইলেই ঘুচতে পারে
আমার সকল অভাব।"
নিয়তির অমোঘ বিধান মানছে আলেয়া, মানছি আমরাও। না মানার কোনো অবকাশও যে নেই! বিধাতা সকলেরই ভাগ্যলিপি নির্ণয় করে রেখেছেন। কিন্তু বিধাতা তো সে-লিপিতে থাকা কারো মৃত্যুক্ষণ তাঁর কোনো দেবদূতের কাছে আগে থেকে প্রকাশ করে রাখেননি। মৃত্যুক্ষণ-সংক্রান্ত এই কঠোর গোপনীয়তা-বিষয়ক বিধাতার একচ্ছত্র মহিমার কথা তো আমরা সবাই জানি। তাই বলে বিধাতার এই গুপ্ত নির্ণয়ের উপর ভর করে উদ্যোগ বা প্রচেষ্টাকে পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠিয়ে কুঁড়েমিতে জপমালা জপার অবকাশ আছে কি? বিধাতা ভাগ্যলিপিতে যা নির্ণয় করে রেখেছেন, রাখুক না! আমরা নয় দিনশেষে ভগ্নচিত্তে বিধাতার সাথে অভিমান-ই করবো! তবে বিধাতার সাথে অভিমান করতেও যে উদ্যোগ বা প্রচেষ্টার নিতান্ত আবশ্যক হয়!
চলুন না আবার একটা উদ্যোগ নিই, নেমে পড়ি আরেকবার। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বা বাংলাদেশ আইন সমিতি [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের (এই দম্পতিসহ) সংগঠন] কিংবা ব্যক্তিবিশেষের সমষ্টিগত উদ্যোগ আর সহৃদয়বানদের স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ কি পারবে না এই কয়েক লক্ষ টাকার বন্দোবস্ত করতে? আমরা কি পারি না নিরূপায় রশিদ-আলেয়া দম্পতির সাঁঝের বাতিতে প্রত্যুষের দীপ্যমান আলো জ্বালাতে? আমরা কি পারি না এই দম্পতির শিশুকন্যা রাইসা'র অঝোর কান্না কিঞ্চিৎ প্রশমিত করতে? ভূপেন হাজারিকার কালজয়ী গানের "মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে" পঙক্তিগুলো কি যুগেযুগে কেবল সুরের ক্ষুধাই মেটাবে, শ্রোতার  মানবতাবোধের উন্মেষ ঘটাবে না? 
হাঁ, জগতে বারংবার মানবতাবোধের উন্মেষ ঘটছে বলেই টিকে আছে এ জগৎসংসার। নিশ্চয়ই আমরাও পারি আমাদের পরিমণ্ডলে এ বোধের সঞ্চার ঘটাতে আবার। সে প্রতীতি এবং সামর্থ্য আমাদের আছে। একটা সমবেত ও প্রত্যয়ী উদ্যোগের কাছে এই চল্লিশ লক্ষ টাকা অধরা কোনো অংক হতে পারে না। প্রয়োজন কেবল সে-রকম একটা উদ্যোগ আর আন্তরিক অংশগ্রহণের। আর তাতে অন্তত বিনা-চিকিৎসায় অসহায়-অনুভবে মৃত্যুর ক্ষণ গুণবেন না বিচারক আব্দুর রশিদ; শিয়রে শমনে বসে সৃষ্টির কবিতার বদলে কেবল সৃষ্টিনাশা শোকগাথা রচিবেন না পত্নী আলেয়া; অঝোরে কেঁদে বুক ভাসাবে না এই বিচারক-দম্পতির দীপ্তিমতী কন্যা রাইসা; পিতৃবিয়োগের তেতো স্মৃতি আজনম তাড়িয়ে বেড়াবে না অবুঝ শিশুপুত্র মনন মাহাথির-এর অস্পষ্ট স্মৃতিপটকে। এই হতভাগ্য পরিবারের ভাগ্যের অন্তিম লিপিটা নয় জগদ্বিধাতার বিধানেই হোক!
 
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- জান্নাতুল ফেরদৌস, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১, চট্টগ্রাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১০০৭০০২১৩০৭০৭, সোনালী ব্যাংক, কোর্টহিল শাখা, চট্টগ্রাম।
বিকাশ নাম্বার: ০১৯১২ ৪২৪৭০৫ (ব্যক্তিগত)।
সূত্র- ক্যাশব রায়'র ফেসবুক ওয়াল।

কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে ১২৮ পদে চাকরি


Posted by B.K

জব 24 ডেক্স:নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন। বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের কাছ থেকে ‘সহকারী ক্যাশিয়ার’ পদে ১২৮ জনকে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

যোগ্যতা
উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এতিমখানা নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা ব্যতীত ফরিদপুর, ফেনী, মাগুরা ও পটুয়াখালী জেলার প্রার্থীরা পদটিতে আবেদন করতে পারবেন না।

বয়স
০৮ জানুয়ারি, ২০১৭ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন
নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে প্রতি মাসে ১০ হাজার দুইশত টাকা থেকে ২৪ হাজার ছয়শত ৮০ টাকা পর্যন্ত।

আবেদন প্রক্রিয়া
টেলিটকের ওয়েবসাইট (badc.teletalk.com.bd) থেকে অনলাইনে পদটিতে আবেদন করা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করার পর টেলিটকের প্রিপেইড নম্বরের মাধ্যমে ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ০৮ জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।

বিস্তারিত জানতে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ০৬ জানুয়ারি, ২০১৭ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন-

লোহাগাড়ার সনেট কবি বিকাশ আলফ্রেডের সাড়া জাগানো কবিতা "টাকা"

সাহিত্য ও সংস্কৃতি : Posted by B.K
নিধি(টাকা)
                    
               
নিধি তোমাকে পাঠিয়েছে মনে হয় বিধি
পৃথিবীর সকল প্রান্তে দেখি তোমাকে নিরবধি
নিধি পৃথিবীর যতকিছু যত আছে জাতি
সবারি সাথে দেখি তোমারি সম্প্রীতি ।
নিধি তোমার জন্য পরায় মালা অক্কা
রক্ত দেব তবু তোমাকে করব রক্ষা।
নিধি তোমার জন্য উঠি বসি তোমার জন্য হাসি
তোমার জন্য বিনা দোষে হয় অনেকের ফাঁসি । নিধি তুমি ধর্ম,তুমি কর্ম,  তুমি মহানীতি
তুমি বিহীন ঠিক  জীবনের পায়না খুঁজে গতি।
তুমি দেশের অবকাঠামো তুমি দেশের রাজনীতি
তুমি নাকি জীবন মরণ তুমি সকলের সাথী ।
নিধি তুমি নাকি চাকুরি ক্ষেত্রে আসল সার্টিফিকেট
তুমি বিহীন সিনেমার হলে দেয়না তো টিকেট। তুমি বেতনের অতিরিক্ত,তুমি আসল জিনিস
তুমি  বিহীন দেশটাকে আর করবে কেবা ফিনিস
?
তুমি চোখে আদরের পানি,তুমি আন জিহ্বায় পানি।
তুমি বিহীন খাওয়ার পরে হোটেল মালিক কানটা দেয় টানি।
তোমার দ্বারা করছে তারা আয়ত্ত্ব এই দেশ
তোমার জন্য করছে  বর্জন লাজলজ্জা হেৃষ।
তোমার জন্য মানুষ তথা চলে যে সমাজ
তোমার জন্যই করে বসে অধর্মীয় কাজ।
তোমার জন্য চালায় চুরি,চালায় যে গুলি
তোমার জন্য শূন্যে উঠে অনেকের মাথার খুলি তোমার জন্য করছে পাপ, করছে সর্বনাশ
তোমার জন্য ধরে চলে আধার জীবনের পাশ।
তোমার জন্য মারামারি,কাটাকাটি,খুনাখুনি হয়
তুমি বিহীন এসব কিছু হয় না নিশ্চয়  ।
তুমি ছাড়া পদে পদে জীবনের ব্যর্থতা
তুমি ছাড়া জীবনের নেইতো সার্থকতা।
তোমার জন্য বিদ্যার্জন, সুনাম অর্জন হয়
এজন্য তোমায় ধন্যবাদ দেয় যে নিশ্চয় ।
তুমি আলো, তুমি আধাঁর, তুমি সুখ দুঃখ
তোমার অভাবে অনেক জীবন দেখছে মৃত্যুমূখ।
তুমি আনন্দ,তুমি বেদনা তুমি আশার আলো
তুমি ছাড়া নিমিষেই  জীবন  হয়ে য়ায় কালো।
তুমি ছাড়া জীবনে যে নেমে আসে অন্ধকার
তাই জীবনে সবচেয়ে বেশী তোমাকে দরকার।
        


বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...