রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।



বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত,চট্টগ্রাম,  থেকে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ,  ২০২৪ইং, ওই কার্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শূন্যপদে জনবল নিয়োগের "অফিস সহায়ক " পদে  লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয় ৩টি পদের বিপরীতে ১৯ জন।একই দিন, দুপুর ২.০০টা থেকে বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালতের সভাকক্ষে উপস্থিত, ১৭ জনের  

  মৌখিক  পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।পরের দিন, রবিবার চূড়ান্ত রেজাল্ট না দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে "নির্ধারিত প্রার্থীদের"  চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার  অভিযোগ রয়েছে।এসব পদ হলো "অফিস সহায়ক, রেকর্ড সহকারী।


এই নিয়োগে সরকারি বিধি অনুযায়ী " অফিস সহায়ক পদ-৩ জনের বিপরীতে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ১ জনের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হওয়ার কথা। কিন্তু এই ৩ জনের মধ্যে ১ জনকেও  মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ  না দিয়ে সবার নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে  নিয়োগ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী, এই বিষয়ে বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালতের  কাছে এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ও সরকারি বিধি অনুযায়ী তা পূরণের দাবি জানিয়ে ৭ই মে, ২০২৪ইং একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এই প্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে সাধারণ কোটা থেকে তা পূরণ করা হয়েছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো পদের বিপরীতে আবেদন না পাওয়া গেলে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অতি দ্রুত মুক্তিযোদ্ধার কোটা পূরণের দাবি জানানো হয়েছে।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে,  বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের  কাছে একটি পত্র পাঠান। সেই পত্র থেকে জানা যায়, গত ১৬ মার্চ,২০২৪ইং, লিখিত পরীক্ষা অনুযায়ী ১৭ মার্চ, ২০২৪ইং, কোন রুপ ছাপানো, বা ওয়েবসাইট,, নোটিশে চূড়ান্ত রেজাল্ট না দিয়ে, মোবাইলের মাধ্যমে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।যা সরকারি নিয়োগ বিরুদ্ধ । এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি বিধি মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ নিরসনে অতি দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও চিঠিতে উল্লেখ হয়েছে।

নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী, বিচিত্র জলদাশ (রোল নং

২ ৮৭)বলেন, ‘সরকারি বিধি মানা হয়নি। অবিলম্বে পুনরায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণের দাবি করছি। এই দাবি পূরণে গড়িমসি করা হলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে  কার্যালয় ঘেরাও করে দাবি আদায় করা হবে।’বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত,চট্টগ্রাম, এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা,,মুহাম্মদ আজম খান, তথ্য কমিশনের, তথ্য প্রাপ্তির ফরমের উত্তরে,, কোটা অনুসরণ করা হয়েছে মর্মে লিখিত পত্র দেয়" কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণের কোন কথা উল্লেখ নেই।এতে প্রমাণিত হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা যথাযথ অনুসরণ না করে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে,যা সরকারি নিয়োগে নিয়ম বিরুদ্ধ।

 মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণ না হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা  বলেন, ‘এই নিয়োগের ব্যাপারে আমার কোনো করণীয় নেই। নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক,  মিজানুর রহমান  ভূইয়া, তার উত্তর দিতে পারবেন। কিন্তু ডাক যোগে  প্রার্থী"নিয়োগের ব্যাপারে  আবেদন করেও কোন সাড়া দেয়নি নিয়োগ কমিটি। চিঠি মারফত জানানো হলেও ।এখনো এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...