বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

নৈতিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার ভূমি

নৈতিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার ভূমি

কা।

শিক্ষা মানুষকে শিক্ষিত করে ;কিন্তু সর্বদা সুশিক্ষিত করতে পারে না, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য নৈতিকতা থাকাটা জরুরী নৈতিকতা প্রত্যেক মানুষের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এই নৈতিকতার উন্নয়নের মূল্যবান সময় হল শৈশবকাল।  কেননা শৈশবকাল হল সবচেয়ে কমনীয় সময় যা যেকোনো মানুষের ব্যাক্তিত্বের  সামগ্রিক বিকাশকে সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত করে।  একজন অভিভাবক হিসেবে আপনার শিশুটি কী শিখছে?কোথা থেকে শিখ্ছে? সে বিষয়ে প্রত্যেক অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।প্রত্যেক শিশু জন্মের পর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্ব পর্যন্ত তাদের অভিভাবকদের সান্নিধ্যে থাকে এবং সেই সময়টুকু প্রত্যেক অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। সুশিক্ষা ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরিতে অভিভাবকদের পাশাপাশি একজন শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। নৈতিকতার উন্নয়নের বড় হাতিয়ার হল প্রাথমিক শিক্ষা। একজন শিশুর মধ্যে নৈতিকতার যথাযথ বিকাশ হলে তা পরিণত বয়সে যথেষ্ট কার্যকর হবে এবং সুফল বয়ে আনবে। কিন্তু নৈতিকতা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন সুশীল সমাজ। কেননা এখনো প্রায়শই দেখা যায় স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট সর্বত্রই শিক্ষিত বখাটেদের আনাগোনা যাদের মধ্যে নেই কোন নীতি-নৈতিকতার চিহ্ন। তারা হয়তো নীতি নৈতিকতার কোন শিক্ষাই পায়নি।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের নৈতিক চরিত্র গঠনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার কোন বিকল্প নেই।  জীবনের শুরুতেই শিশুদের মননে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বীজ বপন করলে তা এক সময় মহীরুহে পরিণত হতে বাধ্য।  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈতিকতা  ও মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।  প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নৈতিকতায় আলোকিত হলে সমগ্র বাংলাদেশ আলোকিত হবে। আজকের শিশুরাই আগামীদিনের জাতির কর্ণধার।  তাদের হাতেই থাকবেই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব।তাই দেশের উন্নয়নে প্রত্যেক শিশুকে নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া উচিত। তাই  হয়তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে নৈতিক শিক্ষাকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয় হিসেবে ক্যারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তা হয়তো একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রত্যেক শ্রেণিতে প্রতিটি পিরিয়ডে যদি কিছুটা সময় কোমলমতি শিশুদের নৈতিকতার বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেক শিশু নৈতিকতায় বেড়ে উঠবে এবং নিজেকে দেশের আলোকিত সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
লেখকঃ সুমন মজুমদার,  সহকারি শিক্ষক,  উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...