রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

চাকরি পাচ্ছেন সেই ভ্যান চালক


জাতীয়:চাকরি
পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী কিশোর ভ্যানচালক ইমাম শেখ। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে তাকে বিমান বাহিনীতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া এলাকার নির্বাচনী প্রতিনিধি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন লিডার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল ইমাম শেখের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী সরাদার পাড়ার বাড়ি পরিদর্শন করে।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে ইমাম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে বাংলানিউজকে বলে, ‘খুব ভালো লাগতাছে। চাকরি হওয়ার বিষয়টি আমি বিশ্বাসই করতে পারতেছি না| আমি খুব খুশি, সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হইতাছে।’

মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার রাতে যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ইমাম শেখকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে| সেই লক্ষ্যে তাদের একটি দল রোববার ইমামের বাড়িতে আসতে চায়| এজন্য সকালে ইমামকে টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাসায় ডেকে আনেন আব্দুল্লাহ। রোববার সকালে ইমামের সঙ্গে সাক্ষ‍ৎ হয় বিমান বাহিনীর ওই দলটির সঙ্গে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তাফাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে সবাই মিলে ইমাম শেখের বাড়ি যান এবং ইমামের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

রোববার বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে ভ্যানগাড়ি এবং ইমাম শেখ নিয়ে প্রতিনিধি দলটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির উদ্দেশে রওয়ানা হয়। খুব শিগগিরই ইমাম তার নতুন চাকরিতে যোগদান করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন☆☆☆☆☆
জা

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

বাসিরন খাতুনের পর দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হলেন চকরিয়ার  ৪৫ বছরের রেজিয়া বেগম

শহিদুর রহমান,  চকরিয়া:ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব তা আবার  প্রমাণ করলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার রেজিয়া বেগম। আমার (প্রতিবেদকের)ঠিক ডানপাশে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম রেজিয়া বেগম, বয়স ৪৫ বছর।সে দ্বিতীয় শ্রেনীতে ভর্তি  হয়েছে পূর্ব বড় ভেওলা  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,রোল ১৪১।তাহার স্বামী আব্দুল কাদের স্থানীয় চা দোকানদার।রেজিয়া বেগমের ছেলেমেয়ে ৭জন।তার বড় মেয়ে জিসান চকোরিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, জিহান, G N A মিশনারী হাই স্কুলে ৯ম শ্রেনীতে,জিফান একই স্কুলে ৬ষ্ঠ শেনীতে,  ফারজানা, পূর্ব বড় ভেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীতে,এবং ছেলে জিসাদ ৩য় শ্রেনী পর্যন্ত,কারিফ ৪র্থ শ্রেণি  পর্যন্ত,জিহাদ ৫ম  শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছে। রেজিয়া বেগমের হাতে বিদ্যালয়ের টিচারদের সাথে বই তুলে দিচ্ছেন  দিগন্ত পাবলিকেশনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি শহিদুর রহমান। দেশবাসীকে  রেজিয়া বলেন, জানার কোন বয়স নেই। ইচ্ছা থাকলে যেকোন বয়সে লেখাপড়া করা যায়। আমিও পড়ালেখা করে একজন শিক্ষিত নাগরিক হতে চাই। আমি যেন  লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারি,সবাই দোয়া করবেন।

নূর হোসেনের অজানা কাহিনী

Posted by B.K
নিউজ ২৪ ডেস্ক:নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতের কলকাতার স্ট্রিটে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ বছর পালিয়ে ছিলেন। দেশটিতে থাকার সময় ‘গোপাল’ নাম ধারণ করে রাধা নামে এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই সংসারে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

আলোচিত ৭ খুনের ঘটনার পরই উঠে আসে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের উচ্ছৃঙ্খল জীবনের যত চিত্র। তার বেপরোয়া জীবনের চিত্র তুলে ধরে সাবেক বান্ধবী ও সাবেক মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছেন।

যদিও নীলা বরাবরই দাবি করে আসছেন, তার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও নূর হোসেন তাকে বিয়ে করেছিলেন। একপর্যায়ে নূরকে ভালও বেসেছিলেন নীলা।

নূর হোসেনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, নূর হোসেন ট্রাক হেলপার থেকে অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি টাকার মালিক বনে যান। নারীদের প্রতি আলাদা নেশা ছিল তার। সুন্দরী নারী দেখা মাত্রই তার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দখলে নেওয়ার একটা নেশা ছিল তার। তার জীবনের অনেক নারী এলেও কেবল ৫ জনকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন নূর হোসেন।

এর মধ্যে প্রথম স্ত্রী লিলির বাড়ি ঢাকার মিলব্যারাক এলাকায়। তিনি এখন নূরের সংসারে নেই। দ্বিতীয় স্ত্রী লিপির বাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে। তার সংসারে বিপ্লব নামে এক ছেলে ছিল। কলেজপড়ুয়া এ ছেলে বাপের বসানো মদের দোকান থেকে মদ পান করতে করতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়েও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মদ সেবন করতে করতে নির্মমভাবে তার মৃত্যু হয়।

তৃতীয় স্ত্রী পারুলের বাড়ি ডেমরার সারুলিয়ায়। তিনিও এখন নূরের সংসারে নেই। আর চতুর্থ স্ত্রী কাঁচপুরের রুমা। তার সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। রুমার সঙ্গেই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বসবাস করতেন নূর হোসেন। তার এই স্ত্রীর নামে অনেক সম্পদ গড়ে তোলেন।

এছাড়া পঞ্চম স্ত্রী রাধার বাড়ি ভারতের কলকাতার সদর স্ট্রিটে ২০০১ থেকে প্রায় ৬ বছর ভারতে পালিয়ে থাকার সময় ‘গোপাল’ নাম ধারণ করে রাধাকে বিয়ে করেন নূর হোসেন। তখন ভারতের সবাই নূর হোসেনকে গোপাল বলেই জানতেন।

তার ঘনিষ্ঠ সূত্র আরও জানায়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের দিন ১ অক্টোবর রাতে নূর হোসেন পালিয়ে যান ভারতে। তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপুলে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়।

ভারতে ছয় বছরের মতো থেকে নূর হোসেন। সেখানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে ‘গোপাল’ নাম পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান হয়। শেষপর্যন্ত ওই নারীকে সেখানে রেখেই দেশে ফিরেন নূর হোসেন।

মূলত বিএনপি-জামায়াত সরকারের ক্ষমতা শেষে ২০০৭ সালে তত্ত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে নূর হোসেন দেশে চলে আসেন। এরপর ফিরে যান তার আগের সাম্রাজ্যে। শুরু হয় তার সেই আগের রাজত্ব।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের লেখা ‘অতি জরুরি’ উল্লেখ করা একটি চিঠি পাল্টে দেয় নূর হোসেনের জীবন। চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে মেয়র মর্যাদায় পৌরসভার প্রশাসক পদে বসাতে এলজিআরডিমন্ত্রীকে তিনি এ চিঠি দেন।

২০০৯ সালের ৮ জুন লেখা এ চিঠির জোরে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্ট থেকে নূর হোসেনের নামকাটা হয়। চিঠিতে এইচ টি ইমাম নবগঠিত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভায় নূর হোসেনকে প্রশাসক পদে নিয়োগ দিতে এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানান।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ হওয়ার পরই পাল্টে যায় পরিবেশ। অপহৃতদের স্বজনরা ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেন একসময়ের সন্ত্রাসীর গডফাদার নূর হোসেনকে।

২০১৪ সালের ১৪ জুন দুই সহযোগীসহ কলকাতায় গ্রেফতার হন নূর হোসেন। শেষ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাকে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠান।

২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার নূর হোস্সেহ ৩৫ আসামির বিচার শুরু হয়। এর ১১ মাসের মাথায় রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন, তাতে নূর হোসেনসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় আসে।

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

শত সংগ্রাম -শত বাঁধা পেরিয়ে

Biography - সংগ্রাম -শত বাঁধা পেরিয়ে
উত্তর আমিরাবাদের কৃতি সন্তান  নয়নমণি
--------------------------------------------------
আমাদের নয়ন, এলাকার নয়নমণি।
নাম নয়ন। পুরো নাম নয়ন সুশীল। লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ গ্রামের কৃতি সন্তান।  শত দারিদ্র, দুর্দশা অতিক্রম করে আজ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহতম  সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। কিন্তু এতটুকু যাওয়া তার পক্ষে সহজ ছিল না। বাবার একজনের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন ছিল, তবুও ছেলের চেষ্টা, প্রত্যাশা, আগ্রহ সব ভুলিয়ে দিত।  প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয়,  স্থানীয় স্কুল উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।  সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পিএসসিতে জিপিএ ৫ পায় এবং ট্যালেন্টপুুলে বৃত্তি লাভ করে।  তারপর মাধ্যমিক শুরু হয়  উত্তর আমিরাবাদ এম বি উচ্চ বিদ্যালয়ে,  সেখানেও মেধার স্বাক্ষর রাখে নয়ন।  জেএসসিতেও জিপিএ ৫,  এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে  জিপিএ ৫ পায়। উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হয় বান্দরবান সরকারি কলেজে। সেখানেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচ এস সি পাস করে। তারপর স্বপ্নের পথ চলা শুরু হয় University of Chittagong, Dept. of Mathematics,  আমাদের সবার প্রিয়, সবার অহংকার,  অদম্য মেধাবী,  শিক্ষার্থীদের আইডল, নয়ন একদিন বিসিএস ক্যাডার হবে এই প্রত্যাশায়। আগামীর পথ চলা হোক সুন্দর, সংকামুক্ত, আমরা সব সময় আছি, থাকব।

প্রতিকুল পরিবেশে নিজেকে উত্তরণ,  সেটা শিখলাম আমরা নয়ন থেকে।
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি

       কবিতা-  রাজকূট ( বর্ণক্রম-তিন শব্দ)
                  -বি.কে
রাজ্যে রঞ্জিত রাজকূট,
ভূবনে ভোলাল ভোট।
নেতা নৈতিকতা নীতি,
প্রভাব প্রতীভূ প্রীতি।
মানুষ মনুষ্যত্ব মানবিক,
সম্প্রীতি স্বভাব সমদিক।
কথিত কথা কর্তব্য,
বর্ণিত বিভিন্ন বক্তব্য।
শিক্ষা শোণিত শোভিত,
অনবদ্য অবাধ্য অবিরত।
সমাজ সমন্বয় সাধিত,
প্রবাহ পরিনত প্রণীত,
চাকরি চর্চা চরিত।

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবান সরকারি কলেজে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বি.কে বিচিত্র, নিজস্ব প্রতিবেদক,বান্দরবান:সম্প্রতি বাংলাদেশের অনেক বেসররকারি কলেজকে সরকারিকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বেসরকারি শিক্ষকরা ক্যাডারভুক্ত হওয়ার অঙ্গীকার করে সরকার। কিন্তু  বিসিএস শিক্ষক সমিতি তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি হল সরকারিকৃত শিক্ষকরা ক্যাডারভূক্ত হতে পারবে না। তাদের আলাদা মর্যাদা দিতে হবে। অন্যান্য কলেজের মতো বান্দরবান সরকারি কলেজের শিক্ষকরা কিছুদিন আগে মানববন্ধন করে। সোমবার সকালে শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষে দাবির প্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়। এতে  অধ্যক্ষ মহোদয়ের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক পরিষদ সভাপতি,  বিভাগীয় প্রধানগণ,  অন্যান্য শিক্ষকরা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
শিক্ষকরা বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতি- ২০১০  বিরোধী। শিক্ষানীতিতে তাদের অন্তর্ভূক্ত করার কোন বিধান বা সংশোধন নেই। আলাদা প্রজ্ঞাপন,  স্বতন্ত্র নীতির ভিত্তিতে তাদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান।

চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক জমির আলমের ইন্তেকাল

আলাউদ্দিন, লোহাগাড়া:

লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবীন শিক্ষক জমির আলম ১৫ জানুয়ারী রাত ৯ টায় চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন ।( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ...রাজিওন ) মত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর । তিঁনি গত  কয়েকদিন যাবত জ্বর এবং বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন । মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই কন্যসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।  আগামিকাল (১৬ জানায়ারী) বাদে যোহর  চুনতি ফাতেমা বতুল মহিলা মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
শিক্ষক জমির আলমের মৃত্যুতে  চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের  শিক্ষক-শিক্ষাকবৃন্দ  ও  প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদসহ বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন।

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭

তিনটি পদে ২২৭৬ জনকে নিয়োগ দেবে সোনালী ব্যাংক



সরকারি ব্যাংকগুলোতে যাঁরা ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী, তাঁদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এলো সোনালী ব্যাংক। শীর্ষস্থানীয় এ বাণিজ্যিক ব্যাংকটিতে সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ পদে দুই হাজার ২৭৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পদগুলোতে আবেদনের জন্য দেখে নিন বিস্তারিত :

সিনিয়র অফিসার

সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৭০১ জনকে। চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন পদটিতে। শিক্ষাজীবনে ন্যূনতম একটি প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণি থাকলে আবেদন না করার আহ্বান জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

আবেদনকারীদের বয়স ১ জানুয়ারি-২০১৬ তারিখে অনূর্ধ্ব-৩০ বছর হতে হবে। শুধু মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসার বেতন পাবেন ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা। তবে শিক্ষানবিশকালে বেতন দেওয়া হবে সর্বসাকল্যে ৩২ হাজার ৩০০ টাকা। এ ছাড়া থাকবে ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা।

আগ্রহী প্রার্থীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ-২০১৬ তারিখ পর্যন্ত পদটিতে আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের (www.bb.org.bd) মাধ্যমে।

বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন :

অফিসার

অফিসার পদে নিয়োগ পাবেন ৮২০ জন। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন পদটিতে। আবেদনকারীদের শিক্ষাজীবনে ন্যূনতম একটি প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে এবং কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না।

আবেদনকারীদের বয়স ১ জানুয়ারি-২০১৬ তারিখে অনূর্ধ্ব-৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ বেতন পাবেন ১৬ হাজার থেকে ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা। তবে শিক্ষানবিশকালে বেতন দেওয়া হবে সর্বসাকল্যে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা।

আগ্রহী প্রার্থীরা ৩ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ-২০১৬ তারিখ পর্যন্ত পদটিতে আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের (www.bb.org.bd) মাধ্যমে।

বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন :

অফিসার ক্যাশ

অফিসার ক্যাশের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৭৫৫ জনকে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন পদটিতে। আবেদনকারীদের শিক্ষাজীবনে ন্যূনতম একটি প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে এবং কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না।

আবেদনকারীদের বয়স ১ জানুয়ারি-২০১৬ তারিখে অনূর্ধ্ব-৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ বেতন পাবেন ১৬ হাজার থেকে ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা। তবে শিক্ষানবিশকালে বেতন দেওয়া হবে সর্বসাকল্যে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা।

আগ্রহী প্রার্থীরা ১০ থেকে ৩০ মার্চ-২০১৬ তারিখ পর্যন্ত পদটিতে আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের (www.bb.org.bd) মাধ্যমে।

বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন :

 

টিসুর জীবন বাচাঁতে এগিয়ে আসুন, মানবি সাহায্যের আবেদন


২টি কিডনী অকেজো হওয়া একজন রোগীর জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন করেছেন তার পরিবার। রোগীর নাম টিসু দাশ (২৭)।
তিনি উপজেলার পদুয়া জলদাশ পাড়ার হিমাংশু দাশের পুত্র।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী বিভাগের (ওয়ার্ড নং- ১৭, বেড নং- ৬) ডাঃ ছৈয়দ মাহতাবুল ইসলামের তত্ত্বাধানে চিকিৎসাধীন আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাহিরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার।
উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা দরকার হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। কিন্তু অসহায় পরিবারের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সমাজের সকল শ্রেণীর লোকজনের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন তার পরিবার।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : রতন কান্তি দাশ (রোগীর বড় ভাই) ০১৮১৫-০২১০৪১, বিকাশ একাউন্ট নং- ০১৮৩২৬৬৮৭৯০ (ওয়াসিম হায়দার), ব্যাংক হিসাব নং- S/A 1101120027861, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, পদুয়া শাখা, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম। সূত্র- লোহাগাড়ানিউজ২৪.ক

সাত খুন: সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশায় নিহতদের পরিবার

Posted by B.K

জাতীয় ২৪ ডেক্স:তিন বছর আগে নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায় হতে যাচ্ছে সোমবার; স্বজন হারানো পরিবারগুলো বলছে, খুনিদের প্রাণদণ্ড হলেই বিচার পাবেন তারা। 

কেবল নিহতদের পরিবার নয়, নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সোমবার সকালে কী রায় দেন, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো বাংলাদেশ।

সাত খুনের ঘটনায় নিহত দুইজনের পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি আলদা মামলা হয়েছিল ২০১৪ সালে। দুই মামলার বিচার চলে একসঙ্গে; বিচারক গত ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শুনে রায়ের দিন ঠিক করে দেন।

রায়ের আগের দিন রোববার নারায়ণগঞ্জের সাবেক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তাসহ অন‌্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই তার চাওয়া।

“দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে আর কেউ এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাতে সাহস পাবে না। আর কেউ স্বামী হারা হবে না, আর কোনো সন্তান বাবা হারা হবে না, আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না।

সেলিনা ইসলাম বিউটি

“আমরা আদালতের কাছে প্রত্যাশা করছি, আসামিদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়,” বলেন তিনি।
কারাগারে থাকা আসামিদের পাশাপাশি পলাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বিউটি, যিনি স্বামীর মৃত‌্যুর পর কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও গত ডিসেম্বরের ভোটে হেরে যান।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়।

একই সময়ে একই স্থানে আরেকটি গাড়িতে থাকা নারায়ণগঞ্জ আদালতের প্রবীণ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার চালককে অপহরণ করা হয়।

ঘটনার তিন দিন পর বন্দর উপজেলা শান্তির চর এলাকায় শীতলক্ষ্যা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেকের পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন; প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তায় বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

সেখানে চার সহযোগীসহ নজরুল লাশ মেলার পর সেলিনা ইসলাম বিউটি পাঁচজনকে অপহরণের পর হত‌্যার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

সপ্তাহখানেক পর একই অভিযোগে অপর মামলাটি করেন আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিজয় পাল বলেন, “আমরা আমাদের স্বজনদের হারিয়েছি। যে কোনো হত্যাকাণ্ডেরই শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা চাই, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি- মৃত্যুদণ্ড হোক।”

একজন ‘ভালো নাগরিক’ হিসেবে চন্দন সরকারের ‘সুনাম ছিল’ মন্তব‌্য করে তার জামাতা বলেন, “যতদূর জানতে পেরেছি, তার সামনে একটা ঘটনা ঘটছিল, তিনি সেটার প্রতিবাদ করতে গিয়েই হত্যার শিকার হন।”

বিজয় বলেন, “আদালতের উচিত, এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা, যেন কেউ আর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর চিন্তাও করতে না পারে।”

আরেক মামলার বাদী বিউটি বলেন, মামলার কারণে তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।

“আগেও হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি,” বলেন তিনি।

সাত খুনের দুই মামলার তদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল।

নূর হোসেন

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার এই পরিকল্পনা করেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র‌্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
মামলার আসামিদের মধ‌্যে র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনের পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ঘটনার ১৭ মাস পর মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তিনিসহ মোট ২৩ আসামি এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন; পলাতক ১২ জনের মধ‌্যে আটজনই র‌্যাব সদস্য।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আসামিদের মধ‌্যে ২১ জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৬৪ জনের সাক্ষ‌্য শুনেছে আদালত; যাদের মধ‌্যে ৬০ জন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামিদের মধ‌্যে র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা। ২০১৪ সালের এপ্রিলে ওই হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক ছিলেন।

তারেক সাঈদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণের ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি

Posted by B.K

নিউজ ডেক্স:প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, আবেদনকৃত ও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিরীক্ষণ এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে উপজেলা, জেলা/মহানগর যাচাই-বাছাই কমিটি করেছে সরকার।

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ১২ জানুয়ারি এসব কমিটি গঠনের আদেশ জারি করে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে এর আগে গঠিত সব কমিটি বাতিল করেছে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলার সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হলে তিনি নিজে এই কমিটির সভাপতি হবেন। যেখানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য নেই সেসব এলাকার কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মনোনীত করবে।

কোনো উপজেলার সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা না হলে তার মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে কমিটির সদস্য করা হবে। তবে সংসদ সদস‌্য মনোনীত প্রতিনিধিকে কমিটির সভাপতি করা হলে ওই সংসদ সদস‌্য কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।

সংসদ সদস্য এবং তার মনোনীত প্রতিনিধির বাইরে উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা তার মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি কমিটি সদস্য হিসেবে থাকবেন।

এই কমিটির সদস‌্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

জেলা/মহানগর কমিটির সভাপতি নির্বাচনেও একই বিধান রাখা হয়েছে।

এই কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা/মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা তার মনোনীত জেলা/মহানগর এলাকার একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (জ্যেষ্ঠতম) কমিটিতে সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

আদেশে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাইয়ের আওতাধীন কোনো মুক্তিযোদ্ধা/প্রতিনিধি এসব কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি (সংসদ সদস্য ছাড়া) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত হবেন।

“এই কমিটিকে ইতোপূর্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক প্রেরিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তথ্যাবলী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা ২০১৬ অনুরসণ করে যাচাই-বাছাই করতে হবে।”

কোনো কারণে কোনো কমিটির সভাপতি অনুপস্থিত থাকলে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সদস্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটির সদস্য সংখ্যার অধিকাংশের উপস্থিতিতে কমিটির কোরাম হয়েছে বিবেচনা করে কমিটি কার্যসম্পাদন করার নির্দেশনা দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্তৃপক্ষ যে কোনো কমিটির আংশিক বাতিল বা সংশোধন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

যাচাই-বাছাই কমিটিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঘোষিত তারিখ ও স্থানে (সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) যাচাই-বাছাই করতে হবে।

কমিটিগুলো ‘মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা- ২০১৬’ অনুযায়ী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রতিবেদন পাঠাবে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা নোটিস বোর্ডে একটি কপি টাঙিয়ে রাখতেও বলা হয়েছে।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...