বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭


।আধুনিক গণমাধ্যমের আধুনিক সংবাদ মাধ্যম অনলাইন নিউজপোর্টাল। এর বদৌলতে গড়ে উঠেছে   অফিসবিহীন অনলাইন নিউজপত্রের প্রতিষ্ঠান । চটকাদার বিজ্ঞাপনে প্রতিনিধি নিয়োগের নামে অনলাইন লেখকদের "সাংবাদিক" পাবলিসিটি বাড়লেও, তাদেরকে কোন রুপ আর্থিক বা সম্মানি দেয় না অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।যার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রেস কার্ড নির্ভর রমরমা প্রতিষ্ঠানের । আর অনলাইন সাংবাদিক নামধারীরাও তাদের মেধা ও যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন নয়।

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭


কালচক্র!♦♦
                           (বর্ণক্রমিক তিন শব্দে রচিত)              
                           বি.কে
   নগরে নগণ্য নাগরিক,
                    সমস্যা সমাধান সাময়িক।

   চলমান চর্চিত চালচিত্র,
                    মানব  মহীয়ান      মাত্র।

   লোকে লোকারণ্য লোকালয়,
                    নির্ধারণ    নির্মিত    নির্ণয়।

   সভ্যতা সংস্কৃতি সমাজ,
                    কল্পিত কলরব    কাজ।

   রাষ্ট্রে রচিত রম্য,
                    কাঙ্ক্ষিত  কল্পনা কাম্য।

   যথার্থ যথাযথ  যতন,
                     মহত্ত্ব মহানুভব মতন।

   রাজকূট রাজেন্দ্র রাজ্য,
                     নীতি নৈতিকতা নৈরাজ্য।

   আদর্শ আজন্ম আদান,
                     পরীক্ষিত পরিকল্পনা প্রদান।

    হত্যা হরণ হতাহত,
                     অন্যায় অনবরত অবিরত।

     ক্ষমতা ক্ষণিক ক্ষত,
                      গর্জন গহীনে    গত।

শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

যে অল্পতে সন্তুষ্ট সে অনেক কিছু পায়, আর যে অল্পতে সন্তুষ্ট নয় সে অনেক কিছু হারায়।।।।

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

ডার্ক ওয়েব'' থেকে ব্লু হোয়েল" গেম ": পেছনের গল্প!


"ডার্ক ওয়েব'' থেকে     ব্লু হোয়েল" গেম ": পেছনের গল্প!

ডার্ক ওয়েব, যেটার মাধ্যমে, সময়ের আলোচিত ব্লু হোয়েল গেম খেলা হয়। এটা এক প্রকার সাইবার ক্রাইম।
। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেটের এমন একটি অংশ, যেখানে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অথবা ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এর জন্যে লাগে বিশেষ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন। যেমন টর এবং অনিয়ন। তবে সেসবের ডিটেইলসে আর যাচ্ছি না। বাংলাতেই অনেক ভালো ভালো আর্টিকেল আছে, খুঁজে পড়ে নিয়েন।

কী থাকে ডার্ক ওয়েবে?
প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত, কী থাকে না ডার্ক ওয়েবে! জাল পাসপোর্ট চান? পেয়ে যাবেন। পেশাদার খুনী চান? পেয়ে যাবেন। পাইরেটেড বই, সিডি লাগবে? কোনো ব্যাপারই না! আর দুর্ধর্ষ সব হ্যাকিং টুল তো খুবই সহজলভ্য! যেকোন ধরণের ড্রাগস, চলবে? আছে! খুন, টর্চার, রেপ, এনিমেল কিলিং, জ্বী সবই আছে তাতে।
এসব তো ছেলেখেলা। আরো গভীরে ঢোকা যাক। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, অস্ত্র বেচাকেনা, এসবও কিন্তু ডার্ক ওয়েবে আছে। তবে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার এসবের হদিস পায় না, আপনি যদি মনে করেন যে ডার্ক ওয়েবে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াবেন, কেউ কিছুই টের পাবে না, বড় ভুল করবেন। বিশাল বিপদে পড়ে যাবেন। এই তো কিছুদিন আগেই ডার্ক ওয়েবের কুখ্যাত চোরাই বাজার সিল্ক রুট বন্ধ হয়ে গেলো। এ পর্যন্ত পড়ে হয়তো আপনি খুব এক্সাইটেড হয়ে গেছেন। ভাবছেন, যাই ঢুকে দেখি ব্যাপারটা কী! একেবারে ধুন্ধুমার লাগিয়ে দিই! আসলে ব্যাপারটা সেরকম না।
ডার্ক ওয়েব অনেক স্লো একটি নেটওয়ার্ক। এখানে একটি সাধারণ মানের ভিডিও বাফার হতেও অনেক সময় লেগে যায় মাঝে মধ্যে। আর নিষিদ্ধ জিনিসের সমাহার আছে বলেই যে তা একদম তাকে সাজিয়ে রাখা আছে এমনটাও না ব্যাপারটা। ডার্ক ওয়েব নিয়ে প্রচলিত আছে নানারকম মিথ। এগুলোর কিছু সত্য, কিছু অর্ধ সত্য, কিছু মিথ্যা। এগুলো নিয়ে ব্লগে, ফোরামে নানারকম আলোচনা চলে, কিন্তু সত্যিকারের সত্যিটা কিছুটা অস্পষ্টই এখনও।
আসুন জেনে নেই এমন কিছু মিথের কথা।

রেড রুম–
রেড রুম হলো ডার্ক ওয়েবের কিছু গোপন আস্তানা। এখানে মানুষকে টর্চার, খুন, রেপ ইত্যাদির লাইভ স্ট্রিমিং হয়। কাউকে কাউকে ধরে আনা হয়, এবং কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় নিজেকে রেড রুমে সঁপে দেয় অতিশয় দারিদ্রের কারণে, পরিবারকে বাঁচাতে। এসব লাইভ স্ট্রিমিং নাকি মানুষ পয়সা দিয়ে দেখে। এ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে। কিন্তু এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর যিনি নিজের চোখে এসব দেখেছেন। সবাই অমুক তমুকের বরাত দিয়ে বলে। আর ডার্ক ওয়েব নেটওয়ার্কের যে গতি, তাতে রেডরুম চালানো অবাস্তব কল্পনা বলেই মনে হয়।
মারিয়ানাস ওয়েব–
কথিত আছে মারিয়ানা ওয়েব হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের গভীরতম জায়গা। সেখানে অতিশয় এক্সপার্ট হ্যাকাররা ছাড়া কেউ যেতে পারে না। খুব কম লোকই এর সন্ধান জানে, ইত্যাদি। এই মারিয়ানাস ওয়েব নাকি ইলুমিনাতিদের দ্বারা প্রচলিত, এখানে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন সত্যগুলি লিপিবদ্ধ আছে, এটি নিউরাল নেটওয়ার্ক দ্বারা তৈরি, ইত্যাদি। বেশ চমকপ্রদ একটি গল্প, তবে এর কোনো সত্যতা নেই তা নিশ্চিত হয়েই বলা যায়।
বিশালত্ব-
বলা হয়ে থাকে, আমরা সাধারণভাবে যে ওয়েব দেখি, তা ইন্টারনেটের মোট আকারের মাত্র দশ শতাংশ, বাকিটুকু হলো ডার্ক ওয়েব। এটা একদমই ভুল কথা। ডার্ক ওয়েব আদতে ইন্টারনেটের ক্ষুদ্র একটি অংশ।
আর সবচেয়ে বড় কথা, এখন যা বলবো তা পড়ার পর আপনি এতক্ষণ যা পড়েছেন তা মিথ্যে মনে হতে পারে! ডার্ক ওয়েব মানেই নৃশংস খুনী, বর্বর ক্রিমিনাল আর ড্রাগসের আস্তানা নয়। এখানে আপনি রেডিও শুনতে পারেন, ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনি টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সবখানেই ঢুকতে পারবেন। ফেসবুক থেকে ইউটিউব সব!
মুষড়ে পড়েছেন? এবার তবে শুনুন হতভাগী ডেইজির গল্প। এই একটি ঘটনা স্তম্ভিত করে দিয়েছে মানুষকে। বুঝিয়েছে ডার্ক ওয়েবের অন্ধকারের ঘনত্ব, যেখানে বাস করে শয়তানের ঘনিষ্ঠতম দোসরেরা।
এটি একটি ভিডিও। এর একটি বাহারি নামও আছে। ডেইজিস ডেস্ট্রাকশন। কী এই ডেইজিস ডেস্ট্রাকশন? নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কারণ কেউ বলে এটি একটি সিঙ্গেল ভিডিও, কেউ বলে ভিডিও সিরিজ, যেখানে কিছু নাবালিকাকে অবর্ণনীয় অত্যাচার এবং যৌন নীপিড়ন করা হয়। তাদের বয়স হলো ১৮ মাস, ১০ এবং ১১।
আপনি যদি ডেইজিস ডিস্ট্রাকশন দেখে থাকেন, আপনি আইন ভেঙেছেন। জ্বী, এটা দেখা নিষিদ্ধ।"ডার্ক ওয়েব'' থেকে     ব্লু হোয়েল" গেম ": পেছনের গল্প!

ডার্ক ওয়েব, যেটার মাধ্যমে, সময়ের আলোচিত ব্লু হোয়েল গেম খেলা হয়। এটা এক প্রকার সাইবার ক্রাইম।
। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেটের এমন একটি অংশ, যেখানে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অথবা ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এর জন্যে লাগে বিশেষ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন। যেমন টর এবং অনিয়ন। তবে সেসবের ডিটেইলসে আর যাচ্ছি না। বাংলাতেই অনেক ভালো ভালো আর্টিকেল আছে, খুঁজে পড়ে নিয়েন।

কী থাকে ডার্ক ওয়েবে?
প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত,

শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

Tunemytour.com নিয়ে এলো অনলাইনভিত্তিক ট্যুর গাইড ও হোটেল বুকিং ব্যবস্থা


Tunemytour.com নিয়ে এলো অনলাইনভিত্তিক ট্যুর গাইড ও হোটেল বুকিং ব্যবস্থা।

বিশেষ প্রতিনিধি সাজ্জাদ: ভ্রমনপিপাসুদের জন্য দারুণ সু-খবর। Tunemytour.com নিয়ে এলো ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য অনলাইনভিত্তিক ট্যুর গাইড এবং বুকিং ব্যবস্থা।Tunemytour.com পরিচালিত হয় একটি সুদক্ষ টিমেরমাধ্যমে।মূলত ভ্রমণপিপাসুদের জন্য Tour, Hotel, Car Bookingইত্যাদি সার্ভিস নিয়ে কাজ করে থাকে ।

Tunemytour.com প্রতিষ্ঠানটি গত ১৬-ই ডিসেম্বর ২০১৫ ইং হতে যাত্রা শুরু করে ।
আমাদের দেশটা যে কতো সুন্দর তা বুঝতে হলে ঘুরতে হবে। দেশের পথে ঘুরতে গিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের নান সমস্যা সৃষ্টি হয় । তা হল যে স্থানে যাবে তার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু যানে না, কোথায় থাকবে,কি খাবে,কিভাবে যাবে, কোথায় বেড়াবে ইত্যাদি । ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা না ভেবেই তাঁরা অজানা পথে পারি দেয়। তাই ‘Tunemytour.com’ সেই সব ভ্রমন পিপাসু মানুষের জন্য নিয়ে এসেছেঅনলাইনভিত্তিক ট্যুরইজম সম্পর্কে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের তথ্য, হোটেল বুকিং, পর্যটন স্থান সমুহের তথ্য ও বুকিং করার ব্যবস্থা ।
‘Tunemytour.com’ভ্রমনপিপাসু মানুষদের কম খরচে বেড়ানোর সুযোগ করে দিতে চায়। ‘tunemytour.com’-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে‘খরচ হোক কম, ভ্রমণ হোক বেশি’। তারা চায়‘টাকা যেন কারও ভ্রমণে বাধা না হয়’ খরচ যত কমানো যায় সে চেষ্টা করে থাকে ।
নিরাপত্তার প্রসঙ্গে বললেন, ‘tunemytour.com’-প্রতিষ্ঠানটি  সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন।
Tunemytour.com এর বর্তমান অফিস হল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম এর ৪ নং গেটের দক্ষিণ পাশে, কিংশুক বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলা।
আপনাদের সুবিদার জন্য Google play store থেকে Tunemytour.com এর Apps রয়েছে।
এখান Click করুন ডাউনলোড ।



শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

ভিত্তিক রাষ্ট্র কাদের সৃষ্টি। কাদের সংস্কার প্রয়োজন


ভিত্তিক রাষ্ট্র কাদের সৃষ্টি। কাদের সংস্কার প্রয়োজন

লিখেছেন:বি.কে বিচিত্র


কেবল উপমহাদেশের কথাই যদি বলি, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্থান, শ্রীলংকা, ভূটান, মালদ্বীপ, নেপাল…। এই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চারটি রাষ্ট্র নিজেকে ‘মুসলিম’ বলে পরিচয় দেয়। বাংলাদেশ মালদ্বীপ পাকিস্তান আফগানিস্থান- এখানে আফগানিস্থান বাদে শরীয়া শাসন বা ইসলামী খেলাফত বলতে যা বুঝায় তা চালু না থাকলেও পুরোপুরি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র বললে অত্যুক্তি হবে না। আফগানিস্থানের শাসন ব্যবস্থার নাম ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র’। শতভাগ মুসলমান দেশ আফগানিস্থানে পাথরের বুদ্ধ মূর্তিগুলো পর্যন্ত তালেবানদের আক্রশ থেকে রেহাই পায়নি। মালদ্বীপের কথাই যদি বলি, এই দেশটিও নিজেকে ‘ইসলামী দেশ’ বলে দাবী করে। মালদ্বীপে অন্য কোন ধর্ম চর্চা করা নিষিদ্ধ। কোন মুসলিম মালদ্বীপে থেকে ধর্মান্তরিত হতেও পারবে না। অপূর্ব সুন্দর এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি কতখানি ধর্মীয় অসহিষ্ণু এ থেকে বুঝায় যায়। পাকিস্তান বাংলাদেশের ইতিহাস প্রায় একই রকম। পাকিস্তানে ৯৫ ভাগই মুসলমান। বাকী ধর্মীয় উল্লেখযোগ্য সম্প্রদায় ১.৫ খ্রিস্টান এবং এক পার্সেন্ট হিন্দু। খ্রিস্টান ও হিন্দু সম্পত্তি বেহাত করার জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্র মুসলিমদের উশকানি দিয়ে রেখেছে তাদের ইসলামী আইনে। জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানের মুসলমানদের শরীয়া আইনের আওতায় নিয়ে আসে। এই শরীয়া আইন খ্রিস্টান এবং হিন্দুদের উপরও কথিত নবী অবমাননায় প্রয়োগ হয়। পাকিস্তান থেকে খ্রিস্টান হিন্দুদের সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশের সরকারী পরিচয় গণপ্রজাতন্ত্র হলেও এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সেই ৭২ সালেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে নিজেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘মুসলিম রাষ্ট্র’ বলে ঘোষণা করেছে। পাকিস্তান আমলে এখানে এনিমি পোপার্টি আইন চালু করে হিন্দু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিলো। স্বাধীন বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকার সেই আইনকে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ নাম দিয়ে বহাল রেখে দিয়েছে যাতে পাকিস্তান আমলের মত একইভাবে হিন্দু সম্পত্তি বেহাত হতে পারে। এদেশের হিন্দুরা যাতে সম্পত্তি করতে ভয় পায়, নিজেদের ভিত্তি দুর্বল ও অনিশ্চিত মনে করতে পারে তার সব চেষ্টাই দেশ স্বাধীন হবার পর করা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের বলা হয় দ্রুত বিলুপ্ত প্রায় এক সম্প্রদায়। এখানে তাদের ধর্মীয় উপসনালে হামলা করা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। মূলত ‘বাঙালী মুসলমান’ জাতীয়তাবাদই এখানে চলে আসছে। এই জাতীয়তাদে এদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠিগুলোও নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে। এটাই কারণ যে বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মুসলিম বসতি।

এবার আসেন উপমহাদেশর অমুসলিম অধ্যষিত দেশগুলোর কথা। নেপালের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়। এরপরই আছে বৌদ্ধরা প্রায় ১৫ শতাংশ। ৭ শতাংশ মুসলিমও নেপালে বসবাস করে। তবু নেপালের সংবিধান ‘ধর্মনিরপেক্ষ’! নেপালে কোন হিন্দু আইনে রাষ্ট্র শাসিত হয় না। নেপাল থেকে সংখ্যালঘু মুসলমান বা বৌদ্ধদের দেশান্তরিত হবার কোন রেকর্ড নেই। শ্রীলংকা সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের দেশ। তবু শ্রীলংকা নিজে ‘বৌদ্ধ দেশ’ বলে নিজেকে পরিচয় দেয় না। শ্রীলংকা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত হয়। ধর্মীয় পরিচয়ে এখান থেকেও কোন নাগরিকের পার্শ্ববর্তী দেশে পালানোর কোন ইতিহাস নেই। নেই কোন রাষ্ট্রধর্ম। একইভাবে ভূটানের কোন রাষ্ট্রধর্ম নেই। এখানে ৯০ ভাগই বৌদ্ধদের বাস। ভূটান থেকে সাম্প্রদায়িক হামলা মামলায় কোন অবৌদ্ধ দেশে ছেড়ে গেছে এমন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনাও নেই। সর্বশেষ ভারত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বসবাসকারী দেশ। ভারতে হিন্দুরাই সংখ্যাগরিষ্ট। পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মের মানুষই এখানে পাওয়া যায়। প্যালেস্টাই থেকে মুসলমানদের তাড়ানো ইহুদীদেরও ঠাই এখানে হয়েছিলো। ভারতের স্বাধীনতার এতগুলো বছরেও কোন সংখ্যালঘুর নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়ার কোন নজির নেই। আশেপাশে ‘ইসলামী দেশ’ থাকার পরও ভারতীয় মুসলমানদের সেসব ইসলামী দেশে অভিবাসী হবার নজির নেই। ভারতের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ। ভারত কোন হিন্দু আইনেও পরিচালিত হয় না। ভারতের শাসনব্যবস্থান গণতান্ত্রিক। উপমহাদেশের মুসলিম দেশগুলো যেমন বাংলাদেশ পাকিস্তান বরাবর ভারতে মুসলিম নির্যাতনের দাবী করে আসলেও ভারত থেকে এইসব দেশে কোন মাইগ্রেসনের ইতিহাস নেই। কিন্তু উক্ত দুই ধর্মীয় দেশ থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের দেশছাড়ার গ্রাফটা লজ্জাজনক।

শুধুমাত্র উপমহাদেশের উদাহরণ দিয়েই “ধর্মীয় রাষ্ট্র’ কারা চালায় তা প্রমাণ করা যায়। সারা বিশ্বের তুলনা দিলেও একই চিত্র মিলবে। মাধ্যপাচ্যের ইসলামী দেশগুলোর মাঝে একমাত্র ‘ইহুদী রাষ্ট্র’ ইজরাইল। এই দেশে মুসলিমদের বসবাস নিশ্চিত হয়েছে। মুসলমানরা সেখানে মসজিদ থেকে মাইকে আজান দেয়। যে ৭ শতাংশ মুসলিম ইজরাইলে বসবাস করে তারা রাতদিন ইহুদীদের ধ্বংস কামনা করলেও একজনকেও দেশ ছাড়তে হয় না। অন্যদিকে সৌদি আরবে অমুসলিমদ

মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭

মানব চরিত্র ও আমাদের সমাজ বাস্তবতা


মানব চরিত্র ও আমাদের সমাজ বাস্তবতা

প্রতেকটা গোষ্ঠী বা কমিউনিটির কিছু গোষ্ঠীগত ভালো মন্দ দিক আছে। সমাজসেবার ক্ষেত্রে যেমন রয়েছে ভালো তেমনি আছে খারাপ মানুষের অভাব নাই। প্রত্যেকের একটি আলাদা বৈশিষ্ঠ বিদ্যমান আছে। যেমন শিক্ষকের রয়েছে শ্রেণিগত ভাল-মন্দ বৈশিষ্ট্য। শিক্ষার্থীদেরও তেমনি রয়েছে কিছু নিজস্ব ধরনের ভাল-মন্দ বৈশিষ্ট্য। নারীপক্ষের রয়েছে কিছু বিশেষ নারীসুলভ সদগুণ বা বৈশিষ্ট্য। আবার রয়েছে কিছু নারীসুলভ সাধারণ সমস্যা। এর পাশাপাশি পুরুষদেরও রয়েছে তাদের নিজেদের মতো করে কিছু ভালমন্দ বৈশিষ্ট্য। স্বামীদেরও আছে কিছু ভাল দিক। তেমনি কিছু খারাপ দিক বৈকি। স্ত্রীদেরও আছে নিজস্ব ধরনের কিছু ভাল ও মন্দ। শাসকের তরফে আছে অনস্বীকার্য কিছু কল্যাণকর দিক। তেমনি রয়েছে তাদের সাধারণ কতগুলো অপকর্ম-প্রবণতা। শাসিত বা জনগণের রয়েছে কিছু ভাল গুণ। আবার রয়েছে কিছু খারাপ চরিত্র।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সময় ও ভূগোল নিরপেক্ষভাবে সামগ্রিকভাবে দুনিয়ার প্রত্যেকটা সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। অপরাপর শ্রেণী বা গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই কমন কমিউনিটি বিহেভিয়ার বা টেনডেনসির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য ইতিবাচক তথা কল্যাণজনক এবং কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য নেতিবাচক তথা ক্ষতিকর হিসাবে ফুটে উঠে। এক পক্ষের কাছে যা নিতান্ত স্বাভাবিক ও যুক্তি সংগত, অপর পক্ষের কাছে, গঠনগত ভিন্নতার কারণে তা একেবারেই অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হিসাবে মনে হতে পারে। অথচ, একই সমাজের সদস্য হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী বা গোষ্ঠীর সবাইকে অন্য সবার সাথে মিলেমিশে জীবনযাপন করতে হয়।
সে হিসাবে প্রত্যেকের উচিত স্বীয় গোষ্ঠীগত ত্রুটি সম্পর্কে সচেতন থেকে ঐ ধরনের মন্দ বৈশিষ্ট্যসমূহ হতে গা বাঁচিয়ে চলা। নিজেকে ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার এটাই পদ্ধতি। নিজের শ্রেণীগত ত্রুটির বিষ-বাষ্প হতে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। ডাক্তার-রোগী, বাড়ীওয়ালা-ভাড়াটিয়া, শিক্ষক-ছাত্র, নারী-পুরুষ, স্বামী-স্ত্রী এ রকমের নানাবিধ দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের যূথবদ্ধতার মাধ্যমেই সমাজ গড়ে উঠে, টিকে থাকে, পুষ্ট হয়।
আদর্শ সমাজ হলো সেইটা যেখানে প্রত্যেকে নিজের শ্রেণীগত ভাল-মন্দ সম্বন্ধে সচেতন থাকে। সম্ভাবনা ও সদগুণকে বিকশিত করার চেষ্টা করে এবং বিপরীত বৈশিষ্ট্য তথা স্বীয় গোষ্ঠীগত মন্দ বৈশিষ্ট্যকে যথসম্ভব দমন করে।
বিশেষ করে, নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এইটা খেয়াল রাখা জরুরী। নারীরা যদি নিজেদের শেষ পর্যন্ত নারীই ভাবেন, আর পুরুষেরা নিজেদেরকে আলটিমেইটলি পুরুষই মনে করেন, তাহলে মানবতার কী অবস্থা দাঁড়াবে? পুরুষও নয়, নারীও নয়, এমন কোনো মানুষ তো নাই। হিজড়ারা কোনো লিঙ্গ-পক্ষ নয়। সেটি তাদের গঠনগত ত্রুটি।
নারীদের ভাবতে হবে, তারা আগে মানুষ, এরপর নারী। পুরুষদেরও ভাবতে হবে, তারা প্রথমত: মানুষ। এরপর তারা পুরুষ। এভাবে ভাবলেই মানুষ হিসাবে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আমরা সচেতন হতে পারবো। সমাজটা সুস্থভাবে গড়ে উঠবে। এগিয়ে যাবে।
মোটেরওপরে নানা সামাজিক প্যারামিটারে কম-বেশি নির্যাতিত শ্রেনী হিসাবে নারীরা, বিশেষ করে স্ত্রী হিসাবে নারীরা নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে যতটা সোচ্চার ও সচেতন, নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে ততটাই অসচেতন ও সুবিধাপন্থী। যে কোনো অধিকার-বঞ্চিত শ্রেণী বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। ব্যতিক্রমীরা আবার প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠবেন না যেন।
দায়িত্বের সাথে অধিকারের সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবে সমানুপাতমূলক ও অবিচ্ছেদ্য। অর্থাৎ দায়িত্বপালন যত বেশি হবে অধিকার লাভের সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। এই আপাত: সত্যের বিপরীত সত্য হলো, কেউ কারো অধিকার এমনিতেই দিয়ে দেয় না। বিশেষ করে, পিছিয়ে পড়া, অনগ্রর বা দুর্বল শ্রেণীকে নিজ নিজ ন্যায্য অধিকার সংগ্রাম করেই আদায় করতে হয়। এ কাজে সর্বাগ্রে নিজ দায়িত্ব পালনে স্বতঃই এগিয়ে যাওয়া ও নিজ অধিকারের সীমা সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরী। অর্থাৎ, ন্যায্য অধিকার দাবীর বিপরীতে অপরিহার্য দায়িত্বও যথাসম্ভব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, একতরফা give কিংবা take-এর কোনোটাই বাস্তবসম্মত নয়। চাওয়া-পাওয়ার ন্যূনতম সমন্বয় ছাড়া কোনো সামাজিক সম্পর্ক সুস্থ ও সুষ্ঠুভাবে টিকে থাকতে পারে না।
ওই যে শ্রেণী চরিত্রের কথা বললাম। মানুষ সাধারণত নিজের দুর্বলতাটা দেখে না। এর বিপরীতে, অপরপক্ষের দুর্বলতাগুলোই শুধু মানুষের বেশি নজরে পড়ে। এ' অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সুবিধাবাদিতার আশ্রয় নেয়। বেছে বেছে শুধু নিজের অধিকারের কথাগুলোকেই ফোকাস করে নিজেকে ভিকটিম হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি হলো, কোনো দায়িত্ব পালন না করে অধিকার দাবী করা। সবচেয়ে ভালো হইলো নিজ দায়িত্ব সর্বোচ্চ পালন করে অধিকার দাবী করা। এই দুই প্রান্তিকতার মধ্যবর্তী অবস্থান হলো মিনিমাম লেভেলে নিজ দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার পাশাপাশি নিজের ন্যূনতম অধিকা

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

পজিটিভ থিংকিং!

বি.কে বিচিত্র।

ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বা দৃষ্টিভঙ্গী (Positive Thinking & Attitude) যে কোনো মানুষের জন্য একটি বিশেষ গুন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাকে পৌঁছে দিতে পারে সাফল্যের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। আসুন জেনে নেই কী করে আমরা সেই দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে পারি।

জীবনে চলার পথে আমাদের প্রতিদিনই কিছু না কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জীবিকার প্রয়োজনে কর্মক্ষেত্রে যেমন ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় তেমনি তার বাইরেও আছে আমাদের ব্যক্তিগত একটা জীবন। সেই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু সিদ্ধান্ত যেমন গ্রহণ করতে হয় তেমনই বর্জনও করতে হয়। তবে আমাদের চলার পথটা সবসময় মসৃণ নাও হতে পারে।

জীবনে চলার ক্ষেত্রে অমসৃণ পথ দেখে আমরা অনেক সময় ঘাবড়ে যাই, হীনমন্যতায় ভুগি এবং কাজটা করার আগেই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই, “ নাহ্‌, এই কাজটা আমাকে দিয়ে হবে না”, কিংবা “ আমি পারবো না”। অনেকেই কম বেশি এই ধরণের অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি জীবনের কোনো না কোনো সময় এবং নেতিবাচক চিন্তা বা ইচ্ছাশক্তির অভাবে হয়তো হারিয়েও ফেলেছি কোনো সুবর্ণ সুযোগ। তাই সাহস না হারিয়ে কঠিন কোনো বিষয়ের সম্মুখীন হলেও সেটা সম্পূর্ণ করার মানসিকতা আমরা চাইলেই একটু চেষ্টা এবং অভ্যাসের মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারি।

প্রথমেই আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা আসলে কী করতে চাই, কোন পথে আগালে সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো এবং সেটা যত কঠিনই হোক “ আমাকে সেটা পারতে হবে” অর্থাৎ একটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে নেয়া। চলুন এবার ইতিবাচক কিছু চিন্তাভাবনার ব্যাপারে আলোকপাত করা যাক।

নেতিবাচক ভাবনা এবং বাড়িয়ে ভাবার চিন্তা পরিহার করা


আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা যে কোনো কাজ করার আগে শুরুতেই ভাবেন এই কাজটা তাকে দিয়ে হবে না। আর সেই কাজ কেন তাকে দিয়ে হবে না এমন সম্ভাব্য অনেক কাল্পনিক কারণ খুঁজে বের করেন, যা আদৌ ঠিক নয়। তাকে চিন্তা করতে হবে যে সে পারবে কাজটা এবং তাকে দিয়েই হবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় – এক,  এক মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ  বা শারীরিক ভঙ্গী এক নয়। কেউ হয়তো মোটা বা কেউ খুব চিকন বা মাঝারি স্বাস্থ্যের অধিকারী। কিন্তু কেউ যদি ভেবেই নেন আমি অনেক মোটা, আমি কখনো পারবো না সুন্দর এবং আকর্ষণীয় স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে কিংবা আমি বেশি খাই, খাওয়াদাওয়া কমাতে পারবো না – এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এর বদলে আমরা এভাবে যদি চিন্তা করে দেখি, আমি আজ থেকেই নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে চলবো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো , ডায়েট (Diet) কন্ট্রোল করবো, তাহলে সেটা হবে ইতিবাচক ধারণা। কেননা এতে ইতিবাচক চিন্তার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইতিবাচক ভাবনারও বিকাশ হয়।


শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

কোটাধারী VS কোটা বিরোধী : মতামত


কোটাধারী  VS কোটা বিরোধী!!

প্রসঙ্গঃ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী কটূক্তি! ও
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

বি.কে বিচিত্র।
আপনাদের জেনে রাখা দরকার, মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের চেহারা দেখে চাকরি দেয় না সরকার তাদেরও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ  হতে হয়। শুধু ভাইভায় গেলে কোটা বিবেচনা করা হয়। এর আগ পর্যন্ত সাধারণ প্রার্থীর মতো বিসিএসসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক  পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। তাহলে কোটা নিয়ে আপনাদের মাথা ব্যথা কেন?  অশিক্ষিতরা এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। যতসব শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের মাথা ব্যথা।
কোটাধারী প্রার্থীদের  শুন্য পদ সাপেক্ষে মেধার ভিত্তিতে  নিয়োগ দিচ্ছে
সরকার। তখন তো আপনারা বলেন না আমরা শুন্য কোটায় চাকরি নেব না।

চাকরিতে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী একটি মহল আন্দোলন শুরু করে, অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আতেল যারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ বলে দাবি করে। তাদের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণে বিরত ছিল। মাত্র কয়েকজন আমলা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে দু’একজন ওঠে পড়ে লেগেছেন চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, সাবেক সচিব টেলিভিশনের পর্দায় ঝড় তুলেছেন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে।  ১৮ জুলাই ২০১৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা প্রথার পক্ষে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করায় ঐ আতেল গোষ্ঠী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ঐ গোষ্ঠী প্রতিদিন বেসরকারি টেলিভিশনে মধ্যরাতে টকশোতে অবিরাম বক্তৃতা দিয়ে চলেছে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে। শিক্ষিত অকৃতজ্ঞ সুবিধাবাদি শ্রেণি একবার ভেবে দেখেননি (তারা আবার মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা গ্রহণ করেছেন দুহাতে সব সিঁড়ি ভেঙেছেন কেউ কেউ জীবনের সর্বশেষ তলায় ওঠেছেন) মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন না হলে তাদের কী অবস্থা হতো?

 শিক্ষিত ও অকৃতজ্ঞ মানুষ সভ্য দেশে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছর পার হতে চললো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা না খেয়ে দেয়ে দিনাতিপাত করে সে দিকে কারো নজর নেই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির কোটা কেড়ে নিতে ওঠে পড়ে লেগেছেন। এই বুদ্ধিজীবী মহল হায় সেলুকাস!! অথচ যথানিয়মে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পরীক্ষা দিয়ে নিজ নিজ যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বলে বিনা পরীক্ষায় ও মেধা যাচাই না করে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা পূরণ না হওয়ায় অন্যদেরকে কোটার শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এক হাজার দুইশত পঁচিশ জনকে মুক্তিযোদ্ধার কোটার বিপরীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারপরও এই মহলের আপত্তি কেন তা সহজেই বোধগম্য। মূল কথা হল মেধা নয়, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী। আওয়ামী লীগ সরকারের উচিৎ হবে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা আইনি বৈধতা প্রদান করা।

 মুক্তিযোদ্ধারাইতো অসাংবিধানিক! তাদের কোটা অসাংবিধানিক হবে না তো কী হবে? গত ১০ জুলাই ২০১৬  টিভির পর্দায় ও পত্র পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সরকারি চাকরির ৩০% কোটা সম্পর্কে আলোচনার ঝড় তুলেছিল  দেশের বিজ্ঞ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা!! মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর সম্মানিত অধ্যাপক মহাশিক্ষিত পণ্ডিত ডক্টরদের বোধোদয় হয়েছে। ১৯৭১ সালে যারা সুমহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজেদেরকে খুব সতর্কভাবে যুদ্ধ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেছিলেন এদের মধ্যে সিংহভাগ পাকিস্তানি নাগরিকের পরিচয় দিয়ে স্কুল/কলেজে বই খাতা নিয়ে ক্লাসে যোগদান করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যোগদান না করে।

আবার কেউ নিরাপদ দূরে কোথাও অবস্থান করেছিলেন কখন মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি হবে এবং স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করবে আর ঐ সময়ে এদেশের সাধারণ গরিব মানুষের সন্তান অশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত প্রায় ৯০% (কৃষক, শ্রমিক, দিন মজুর) যুদ্ধের মাঠে দেশমাতৃকার বেদীমূলে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পাকিস্তানিরা বলেছিল এরা ভারতের অনুচর/ গুপ্তচর/ সন্ত্রাসী এবং এ ধরনের কার্যক্রম পাকিস্তানি সংবিধান পরিপন্থী। আজকে যারা মুক্তিযোদ্ধার চাকরির কোটার বিরোধিতা করছেন তাদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের সামান্যতম পার্থক্য নেই।

 হায় স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ! এই দেশের জন্য ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছিল, ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল, ২ লাখ ৬৯ হাজার মা বোন ইজ্জত দিয়েছিল, অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, প্রায় এক কোটি মানুষ প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছিল।

১৯৭১ সালে সু-মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী প্রায় ৯০% মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন গরিব সাধারণ মানুষের সন্তান। শিক্ষিত সচ্ছল পরিবারের সন্তান ও সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় ৯৫% খুব সতর্কভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণে বিরত ছিলেন। অপরদিকে সচ্ছল ও শিক্ষিতদের ১০% মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা যে কোনভাবে নিজেদের

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭

শিশুর মানসিক বিকাশ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ


শিশুর মানসিক বিকাশ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ।


বি.কে  বিচিত্র।
অমিত সম্ভাবনার আলো নিয়ে পৃথিবীতে আসে একটি শিশু। এ সম্ভাবনার বিকাশ কতটুকু ঘটবে তা নির্ভর করে তাকে কীভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিশুর পরিবার, পিতা-মাতা এবং পারিপার্শ্বিক আবহের ওপরেই নির্ভর করে তার বিকাশ। শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, নৈতিক এবং মননে সমৃদ্ধ নাগরিকই আমাদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম।
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ একে অপরের পরিপূরক হলেও আমরা এতদিন শিশুর শারীরিক বিকাশকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছি। শারীরিক ও মানসিক বিকাশ দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়া। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ছাড়া শিশু তথা মানুষের পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়। সমপ্র্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের যে অঙ্গ মানসিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে, সেই অঙ্গ অর্থাত্ মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও বিকাশ সবচেয়ে দ্রুত হয় মাতৃগর্ভে, যা প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ। এ দেশে পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ১৮.৩৫ শতাংশ মানসিক রোগে আক্রান্ত।
জন্মলগ্নেই শিশুর মস্তিষ্কে কোটি কোটি কোষ বিদ্যমান থাকে। শিশুর পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে মস্তিষ্কের ৮০-৯০ শতাংশ কোষের সংযোগ ঘটে। তবে এর বেশিরভাগ সংযোগই ঘটে প্রথম তিন বছর বয়সের মধ্যে। শিশুর সঙ্গে ভাববিনিময় ও পারস্পরিক ক্রিয়াদি যত বেশি হয়, শিশুর শিখন ও মস্তিষ্কের বিকাশ তত দ্রুত হয়। এর জন্য শিশুর সুস্থ ও সঠিক মানসিক বিকাশের সঙ্গে শিশুর পারিপার্শ্বিক আবহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পারিবারিক আবহ, সামাজিক আবহ, সর্বোপরি পরিবেশগত আবহ অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট প্রভাব রাখে শিশুর মানসিক বিকাশের পর্যায়ে। জন্মের পর থেকেই শিশু শিখতে শুরু করে। প্রতিটি মুহূর্ত তার শেখার সময়, প্রতিটি ক্ষেত্রই তার পাঠশালা। তাই, এ সময় শিশুর যত্নে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া দরকার। শিশুকে প্রতি মুহূর্তে দিতে হবে মধুর অভিজ্ঞতা, সুন্দর সাজানো সময়। ছোট শিশুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজ হচ্ছে কথা বলতে শেখা ও ভাষা বোঝা। শিশুকে গান শুনিয়ে, কথা বলে, ছড়া শুনিয়ে যা বলা হয়, তার মাধ্যমে শিশু সবচেয়ে ভালো শেখে। মনে রাখা দরকার, কথা বলতে পারার অনেক আগেই শিশু ভাষা বোঝার ক্ষমতা অর্জন করে। তাই শিশুকে অনবরত ধ্বনি, শব্দ, কথা, গান, ছবি দেখিয়ে ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে ভাবিয়ে রাখুন। ফলে শিশু শুনে, অনুকরণ করে এবং ধীরে ধীরে তার নিজস্ব ধ্বনিগুলোকে বোঝার মতো শব্দে পরিণত করে কথা বলতে শিখবে।
শিশুকে প্রচুর খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে। খেলার মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাড়ে। শিশুদের আচার-আচরণ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশে বড়দের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। বড়রা যদি শিশুদের প্রতি দয়া, সুবিবেচনা ও ভাব দেখায় তবে শিশুরাও এসব দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে। এতে তার মানসিকতা ইতিবাচক দিকে প্রবাহিত হতে থাকবে। তবে এর বিপরীত আচরণের ক্ষেত্রে শিশুরা ক্রোধ, অন্যের কথা না মানা, সহিংস আচরণ রপ্ত করতে থাকবে। শিশুর আবেগ অনুভূতি বা আচরণ অনেক সময় বড়দের কাছে অযৌক্তিক বা বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে, কিন্তু শিশুর জন্য এটা স্বাভাবিক ও বাস্তব। তাই এ ব্যাপারে পিতামাতা ও বড়দের যথেষ্ট সহানুভূতিশীল হতে হবে।
শিশু নতুন কিছু শিখলে, তা যতই সামান্য হোক, তার সামনে সম্মতি, উত্সাহ ও আনন্দ প্রকাশ করা উচিত। সুস্বাস্থ্য, সুশিক্ষা, নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও ভালোবাসার দাবি পূরণ করে প্রতিটি শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকশিত করে তোলা সম্ভব। প্রত্যেক পিতামাতাই তার শিশুকে হাসি-খুশি, স্বাস্থ্যবান, বুদ্ধিদীপ্ত ও পূর্ণ বিকাশমান দেখতে চায়। আমরা যদি প্রতিটি শিশুকে একইরূপে দেখার চেষ্টা করি এবং সেভাবে গড়ে তুলতে আন্তরিক হই তবেই ভবিষ্যতে একটি সুন্দর সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ও জাতি পাব।
 লেখক : বি.কে  বিচিত্র,  বিএসএস (অনার্স),  এমএসএস,  রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি।
bichitronu@gmail.com

শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেওয়ারিশ পঙ্গু রোগীদের মানবিক জীবন পর্ব -১


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেওয়ারিশ পঙ্গু রোগীদের মানবিক জীবন পর্ব -১
================================
আলাউদ্দিন ,লোহাগাড়া :

ভাবছিলাম অনেক দিন ধরে লেখব কিন্তু মা'র অপারেশনের পর থেকে কিছু   পারিবারিক টেনশন থাকায়  লেখা হয়নি । রমজানে শুরুর এক সাপ্তাহের মাঝামাঝি মা অসাবধানবসত বাড়িতে  পড়ে পায়ের  হাঁড়  ভেঙ্গে ফেলে। ।

স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্‍সা দিয়ে মা কে নিয়ে চলে গেলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । জীবনে প্রথম বার কোন রোগীকে নিয়ে  চমেকে । ২৬ নং মহিলা ওয়ার্ডে মাকে ভর্তি দিল । সিড়ি দিয়ে উঠার সময় ২৬ নং ওয়ার্ডের নিচ তালায় বারান্দায়  কয়েজন পঙ্গু রোগী দেখতে পায় । তাদের পাশে কেউ নেই । একা বসে যেন তারা কিছু ভাবতেছে । জরুরী কাজে প্রায় সময় নিচে উপরে আসা যাওয়া সময় দেখতাম তাদের । তাদের দেখে খুব চিন্তা লাগত। ভাবলাম তাদের নিয়ে একটা ফিচার লেখা যেতে পারে ।

পরদিন সকালে ফেসবুক বন্ধু আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে সাথে নিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করলাম তাদের সাথে ।কথা হল এক বৃদ্ধার সাথে বয়স প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি মুখে সাদা দাড়ি আছে ।

 নামটা ঠিক মনে নাই । বাড়ি নাকি হাটাজারিতে । জানতে চায়লাম দূর্ঘটনা কিভাবে হল ।বৃদ্ধটি জানান ৫/৬ মাসের বেশী আগে হাটাজারিতে রাস্তা পারাপারের সময় বাস সাথে দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন । এরপর কে বা কাহারা তাকে হাসপাতলে নিয়ে এসে ভর্তি করে দিয়ে চলে যায় । দুর্ঘটনায় তার একটি পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় । পুরো পা'টি সাদা ভেন্ডিজে ঢাকা । কাছে গিয়ে জানতে চায়লাম পরিবারের কেউ আছে কিনা  । বৃদ্ধাটি জানান তার কেউ নেই । তিনি শুধু একা।

গায়ে পরনে  একটা লুঙ্গী ছাড়া আর কিছু নেই । যে বেডে শুয়ে আছে তাও তালিজোড়া । হাসপাতালে কতৃর্ক  যা দেয়  তা খেয়ে কোন রকম বেচেঁ আছে । তখন  তীব্র গরম পড়েছিল । ওয়ার্ডে রোগী বেশী এবং অভিভাবক    না থাকায়  তাদের  স্থান বারান্দায়  হয়েছে  ।
(চলবে)

বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা : গণতন্ত্র ও শাসন!


আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাঃ গণতন্ত্র ও শাসন। -
বি.কে বিচিত্র
বিএসএস(অনার্স),এমএসএস,(প্রথম শ্রেণি), রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

গণতন্ত্র’ শব্দটির ব্যুত্পত্তিগত অর্থ জনগণের ক্ষমতা। অর্থাত্ সরকার বা শাসন ব্যবস্থা যখন জন অভিমত দ্বারা পরিচালিত হয় তখন তাকে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার মানে সরকার পরিচালনায় যখন জনগণের অভিমত প্রতিফলিত হয় তখন উক্ত শাসন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক সরকার বা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বলা হয়। আমেরিকার তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন তাঁর গেটিসবার্গ এড্রেস-এ বলেছিলেন, গণতন্ত্র জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা গঠিত সরকার এবং জনগণের জন্য সরকার। গণতন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন জন বিভিন্ন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্ব আজ গণতন্ত্রের প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে গণতন্ত্র বা জনগণের শাসন বলে কিছু নেই।
তাদের মতে, ‘গণতন্ত্র’ একটি মুখরোচক শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীর কোথাও জনগণের শাসন আছে বলে তারা মনে করেন না। আসলে জনগণের নামে গুটিকয়েক ব্যক্তিই রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকেন বলে তাঁরা মনে করেন। জনগণের অধিকার শুধু ভোট দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ভোটের পরে শাসনকার্য পরিচালনায় জনগণের কোনো ভূমিকা আছে বলে তারা মনে করেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গণতন্ত্র এমন একটি সরকার যেখানে প্রত্যেক সদস্যের অংশগ্রহণ রয়েছে। এ অংশগ্রহণ কথাটিও বিতর্কিত হয়ে পড়েছে।
এখন দেখা যাক, গণতান্ত্রিক সরকার বা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কিভাবে জনগণ সরকার পরিচালনায় বা শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে। আজ থেকে হাজার হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন গ্রিস এবং রোমের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্রগুলোতে (City State) অতিমাত্রায় ক্ষুদ্র আয়তন এবং স্বল্প জনসংখ্যার কারণে সভা-সমিতির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সরাসরি জনগণের মতামত নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এটাকে প্রত্যক্ষ বা বিশুদ্ধ গণতন্ত্র বলা হয়। কালের পরিক্রমায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রাচীন যুগের নগর রাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘটেছে। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক ম্যাকিয়াভেলি ষোড়শ শতাব্দীতে আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের (National State) গোড়াপত্তন করেন। এ জাতীয় রাষ্ট্রের বিশাল আয়তন এবং বিপুল জনসংখ্যাহেতু প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র সম্ভব নয়। তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রীয় শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরই জন অভিমত বা জনগণের কণ্ঠস্বর বলে মনে করা হয়। তারা নির্বাচিত হয়ে জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা করা হয়। এটাকে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র বলা হয়। এ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ভিত্তি।
তবে অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসি রাষ্ট্র-দার্শনিক রুশো পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক সরকার বলতে নারাজ। কারণ, তিনি মনে করেন, জন প্রতিনিধিরা মূলত জনস্বার্থে কাজ না করে তাদের আত্মস্বার্থ রক্ষার্থে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তাই তিনি প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমর্থন দিয়েছেন। যে ব্যবস্থায় জনস্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটলের শিক্ষাগুরু প্লেটো গণতান্ত্রিক সরকার বা শাসন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে অযোগ্যের শাসন বা সরকার ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর মতে, যেহেতু গণতন্ত্র বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা, সেহেতু গণতন্ত্র কখনো উন্নতমানের শাসন ব্যবস্থা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কারণ, প্রত্যেক রাষ্ট্রেই বিদ্বান, সুপণ্ডিত এবং যোগ্য লোকের তুলনায় অযোগ্য, অশিক্ষিত এবং অজ্ঞ লোকের সংখ্যাই বেশি। সুতরাং বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীর শাসন মানেই প্রকারান্তরে অযোগ্যের শাসন। যেখানে মুড়ি-মিশ্রি একদামে বিক্রি হয়। মাথা গণনার দ্বারা সবকিছু নির্ধারিত হয়। তাঁর মতে, গণতন্ত্র সংখ্যায় বিশ্বাসী, গুণে নয়। তাই গণতন্ত্র কখনো উন্নতমানের শাসন ব্যবস্থা হতে পারে না।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটলও গণতন্ত্রকে স্বাগত জানাতে পারেননি। শুধু তাই নয়, তিনি গণতন্ত্রের বিকৃত রূপ জনতাতন্ত্রের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন। আমরা জানি, ১৬৮৮ সালের গৌরবোজ্জ্বল বিপ্লবের পটভূমিতে ব্রিটেনে সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার গোড়াপত্তন হয়। ১৬৮৮ সালের পূর্বে ব্রিটেনে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র (Absolute Monarchy) বা অসীম ক্ষমতাধর রাজতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। প্রশাসন অর্থ রাজা, আইন অর্থ রাজা, বিচার অর্থ রাজা, একব্যক্তির খেয়ালিপনার ভিত্তিতে কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হতো। পার্লামেন্টকে রাজা হাতের খেলনা হিসেবে ব্যবহার করতেন। সে সময়ের লং পার্লামেন্টের অবাঞ্ছিত স্মৃতি আজও ব্রিটেনবাসীর স্মৃতিতে নিষ্ঠুরভাবে গ্রথিত রয়েছে। যাই হোক, রাজার এ স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শুরু হয়ে গেল রাজার সঙ্গে পার্লামেন্টের প্রভাবশাল

শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭

চট্টগ্রামে ধর্ম কটূক্তিকারী তুহিনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন


বি.কে বিচিত্র,স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফেসবুক পোস্টে হিন্দু  ধর্মকে নিয়ে বাজে,ভিত্তিহীন কটুক্তি করায় তুহিনের শাস্তির দাবিতে মানবববন্ধন করেছে চট্টগ্রামে হিন্দু মহাজোট ও সহযোগী সংগঠন। এতে উপস্থিত ছিলেন,



 জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রী শৈবাল দাশ সুমন, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সকল নেত্ববৃন্দ   শেখর,জুয়েল,অভি,রাসেল,পার্থ সহ সকল সারথীদের এবং সনাতন বির্দ্যার্থী সংসদের সন্জয় ,পার্থ   সারথী,মিঠু, শারদান্জলী ফোরামের পিয়াল,অভি,জাগো হিন্দু সহ অংশগ্রহনকারী সকল নেত্ববৃন্দদের আন্তরিক ধন্যবাদ এভাবে নির্ভীক হয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসার জন্য।  আহ্বান জানান, সমন্বয়ক, রাজেশ্বর চৌধুরী, তিনি বলেন,
 'আমরাই ঐক্য,থাকবে না কোন মতনৈক্য'
  তুহিন রাজাকারের ফাসিঁ চাই'

মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭

পটিয়া পিটিঅাই এর বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত


Posted by B.K
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটিয়ার পিটিঅাই এর বর্ণিল সাজে সজ্জিত মাঠে ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় গত ৬ই মার্চ। প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মাহাবুবুর রহমান বিল্লাহ। স্বাধীনতা মাস উপলক্ষে ৬ই মার্চ অায়োজিত প্রশিক্ষণার্থীদের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সকালে জাতীয় পতাকা,পিটিঅাই প্রতিষ্ঠানের পতাকা ও ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি-উপ-পরিচালক মাহাবুবুর রহমান বিল্লাহ। পরে মশাল প্রজ্জ্বলন ও প্রশিক্ষণার্থীদের মার্চফাস্ট প্রদর্শনের মাধ্যমেই অনুষ্ঠানের শুভসূচনা  হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বস্তা দৌড়,ভারসাম্য দৌড়,গুপ্তধন উদ্ধার এর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং অাগে দীর্ঘলাফ,গোলক নিক্ষেপ,৪০০ মিঃ দৌড়,রিলে দৌড়,ম্যাজিক্যাল চেয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতাগুলোর ১ম,২য় ও ৩য় স্থান নির্ধারণ সম্পন্ন করা হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন- শিক্ষকরা স্ব স্ব বিদ্যালয়ে এমন অনুষ্ঠানের অায়োজন করে কোমলমতি শিশুদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার ও অানন্দের খোরাক যোগাতে সমর্থ হবেন অার শিশুদের বুদ্ধিবিকাশে সক্ষম হবে।
সভাপতি তার বক্তব্যে প্রশিক্ষণার্থীদের সুশৃংখল সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে অাখ্যায়িত করেন এবং অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। পরে বিজয়ী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার প্রতিকৃতি তুলে ধরতে দারুণ এক ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ।ইন্সট্রাক্টর সন্তোষ কুমার দে এর সঞ্চালনায়,পিটিঅাই এর সুপারিন্টেনডেন্ট (অঃদাঃ) সুব্রতা গুহের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলার এইউইও, ইউইও,পিটিঅাই এর রিসোর্স পার্সনবৃন্দসহ সকল ইন্সট্রাক্টরবৃন্দ।

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

চকরিয়ার সাহারবিলে গীতা শিক্ষালয়ের উদ্বোধন




নরোত্তম দাশ,চকরিয়াঃ

চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ উপজেলা শাখার উদ্যোগে শাহাপুরা জলদাশ পাড়ায় ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে গীতা শিক্ষালয়ের শুভ উদ্বোধন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন শ্রীযুক্ত নরোত্তম জলদাশ-সভাপতি, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলা শাখা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহসিন বাবুল-সাধারণ সম্পাদক মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান শাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাবু তপন কান্তি দাশ-সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চকরিয়া উপজেলা শাখা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবু বাবলা দেবনাথ-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চকরিয়া উপজেলা শাখা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মাষ্টার মিলন কান্তি দে-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি-চকরিয়া উপজেলা শাখা, সুধাংশু বিমল সুশীল-সদস্য, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, তপন কান্তি সুশীল- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, দীপক চৌধুরী-সাধারণ সম্পাদক, অদ্বৈত অচ্যুত মিশন, চকরিয়া উপজেলা শাখা, লিটন দাশ-সভাপতি, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, রূপন দাশ-এমইউপি, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ, বিশ্বজিৎ বৈষ্ণব-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, শ্রীনন্দ দাশ-সাধারণ সম্পাদক, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, মনোরঞ্জন দে গণেশ-প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ, তপন কান্তি দাশ-সদস্য, পৌরসভা পূজা উদ্যাপন পরিষদ, চকরিয়া পৌরসভা শাখা, অনীল দাশ-সাধারণ সম্পাদক, তরছঘাট দুর্গাবাড়ী মন্দির উন্নয়ন কমিটি, রাজীব দাশ-সমাজ সেবক, বাটাখালী জলদাস পাড়া, সুমন দাশ-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ, চকরিয়া উপজেলা শাখা । সভাপতিত্ব করেন শ্রীযুক্ত বাবু কালী দাশ-সমাজ সেবক , শাহপুরা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রীযুক্ত প্রণব চক্রবর্তী-সদস্য, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, শাহারবিল ইউনিয়ন শাখা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কুশেল দাশ, সভাপতি- জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, শাহারবিল ইউনিয়ন শাখা। সহযোগীতায়: উৎপল দাশ ও রগুনাথ দাশ এবং লিমন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-সুবোধ দাশ সাংগঠনিক সম্পাদক, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, রোকেল দাশ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, প্রিয়াংকা দাশ- মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলা শাখা। সজিব দাশ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলা শাখা, রাজীব দাশ-সভাপতি, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন শাখা, মনিভদ্র দাশ- সভাপতি,জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন শাখা, সুব্রত দাশ-সাধারণ সম্পাদক,জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ,ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন শাখা, জনি দাশ-সাধারণ সম্পাদক, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন শাখা, বাপ্পা দাশ-সদস্য- জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন শাখা, মুন্নি দাশ-সদস্য, জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন শাখা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। সভায় জাগরণ সমাজ সেবক সংঘ, চকরিয়া উপজেলার শাখার সভাপতি শ্রীযুক্ত নরোত্তম জলদাশ, প্রান্তিক জলদাশ সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য উক্ত সংগঠনে সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। #

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ন্যাপের পরিচালকের পটিয়ার পিটিঅাই পরিদর্শন




নিজস্ব প্রতিবেদকঃহঠাৎ পটিয়ার পিটিঅাই পরিদর্শনে অাসেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব ও ন্যাপের পরিচালক মোঃ শাহ অালম ও ন্যাপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা   নাজমুল হাসান।

গতকাল সকাল বেলা ১০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রামস্থ পটিয়ার পিটিঅাই এ তারা উপস্থিত হলে পুষ্পস্তবক দিয়ে তাদের স্বাগত জানানো হয়।পরে পিটিঅাই এর হলরুমে এক মতবিনিময় সভার অায়োজন করা হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির অাসন অলংকৃত করেন ন্যাপের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোঃ শাহ অালম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাপের কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান, অত্র পিটিঅাই এর চারু ও কারুকলার সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সবুজ কান্তি অাচার্য্য,উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য ইন্সট্রাক্টর,রিসোর্স পার্সনসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে অাগত ২০০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ।



অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ হতে লোহাগাড়া উপজেলার শিক্ষক বাবলু কান্তি হাজারী ও চন্দনাইশ উপজেলার শিক্ষিকা শাহীনুর অাক্তার তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন দাবী দাওয়া তুলে ধরেন। তারা প্রশিক্ষণ ভাতা বৃদ্ধি,স্কুল সময় কমানো,অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি দাবী তুলে ধরলে প্রধানঅতিথি তাদেরকে এসবের সুব্যবস্থা গ্রহণের অাশ্বাস দেন এবং ভাতা ১৫০০ থেকে২৫০০/৩০০০ করার অাশ্বাস প্রদান করেন।

পরে পিটিঅাই এর অতিরিক্ত দায়িত্বপাললকারী সুপারিন্টেনডেন্ট সুব্রতা গুহ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে সবাইকে ধন্যবাদ প্রদানের মাধ্যমে উক্ত অালোচনার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মহেশখালীতে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার!

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অাজ রাত দশটায় মহেশখালী পৌরসভার বলরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয় ৷ মহেশখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল মাদক উদ্ধার হয়। কয়েক বছরের মধ্যে এটি এ ধরণের বড় অভিযান ৷

মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বাঁশখালীর কুম্ভমেলা মাতাবেন জি বাংলার অদিতি মুন্সি


 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ৭ই জানুয়ারি  কুম্ভমেলায় গান পরিবেশন    করবেন কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী অদিতি  মুন্সি।পাড়ের পাদদেশে মন্দির। নাম ঋষিধাম। সুদৃশ্য বিশাল ফটক দিয়ে শত শত মানুষের আসা-যাওয়া চলছে। মন্দিরে চলছে পূজা-অর্চনা। মন্দিরের কিছু দূরে মঞ্চে একজন যোগবিদ শিশুদের যোগাসন শিক্ষা দিচ্ছেন। যোগাসনের মাধ্যমে রোগমুক্তির এই শিক্ষা দেখতে মঞ্চের সামনে ভিড় করেছেন শত শত নর-নারী। মন্দিরে ঢোকার মুখে পাশের মাঠে বসেছে মেলা। নাগরদোলায় দুলছে শিশুরা। মাঠের পাশে দুপুরের প্রসাদ আস্বাদনে ব্যস্ত ভক্তরা।
ওপরের বর্ণনা চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের কোকদণ্ডী গ্রামের ঋষিধামের ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলার। গত রোববার শুরু হয়েছে আট দিনব্যাপী ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা। মেলা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত ও সন্ন্যাসীরা ভিড় করেছেন। কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামেও উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে।
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী ভারতের চারটি স্থানে কুম্ভমেলা হয়। এগুলো হলো হরিদ্বার, প্রয়াগ, নাসিক ও উজ্জয়িনী। তিন বছর পর চক্রাকারে চারটি স্থানে কুম্ভমেলা বসে। সে হিসাবে একেকটি স্থানে ১২ বছর পরপর এই মেলা ঘুরে আসে। বাংলাদেশে একমাত্র ঋষিধামেই তিন বছর পরপর এই মেলার আয়োজন হয়।

কুম্ভমেলা ঘিরে শিশুদের যোগাসনের অনুশীলন। ছবিটি গতকাল সকালে তোলা l প্রথম আলো
শ্রীগুরু সংঘ, ঋষিধাম ও তুলসীধাম পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ বলেন, কুম্ভ মানে কলস। অমৃতের কলস। অমরত্ব লাভের আশায় একবার দেবতাদের সঙ্গে অসুরকুলের সমুদ্রমন্থন হয়েছিল। সমুদ্রমন্থনের ফলে উঠে এল বহু মূল্যবান সামগ্রী। উঠল একটি অমৃতের ভাণ্ড। অসুরদের এই অমৃতকুম্ভ না দেওয়ার জন্য দেবরাজ ইন্দ্রপুত্র জয়ন্ত একসময় সেটি নিয়ে পালালেন। পালানোর সময় অমৃত ভাণ্ড রাখা হয়েছিল চারটি স্থানে—হরিদ্বার, প্রয়াগ, ত্রিম্বকেশ্বর-নাসিক ও উজ্জয়িনীতে। এই চারটি স্থানে কলস থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত রস পড়েছিল বলে ধারণা। তাই এই চারটি স্থানে অমৃত সুধারস আস্বাদনের জন্য বসে কুম্ভমেলা। এগুলো তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত।
তুলসীধাম পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দেব বলেন, যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে ভারতের এই চারটি স্থানে গিয়ে তীর্থ করতে অক্ষম, তাঁদের কথা বিবেচনা করে বাঁশখালী ঋষিধামের প্রতিষ্ঠাতা মোহন্ত শ্রীমৎ অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ ১৯৫৭ সাল থেকে এখানে কুম্ভমেলার প্রবর্তন করেছিলেন। ভারতের চারটি স্থানের যেকোনো একটি মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার এক বছর পর বাংলা মাঘ মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে ঋষিধামে কুম্ভমেলা বসে।
ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ পালিত বলেন, প্রতিবারই ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সন্ন্যাসী আসেন। এটি এক মহা মিলনমেলা। মেলা উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে ইতিমধ্যে অন্তত ৫০ জন সন্ন্যাসী এসেছেন।
ভারত থেকে আসা শ্রীমৎ বিশ্বেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, ‘আমি ভারতের বিভিন্ন কুম্ভমেলায় গিয়েছি। এখানেও এসেছিলাম আগে। এবার আবার এলাম। এখানে এলে মন ভালো হয়।’
মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই চলছে নানা অনুষ্ঠান। গতকাল দ্বিতীয় দিনে ঋষি ধ্বজা উত্তোলন, বেদমন্ত্র পাঠ, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনই ধর্মীয় আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে সমৃদ্ধ এই মেলা। আজ মঙ্গলবার মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন জি বাংলার সারেগামাপা খ্যাত শিল্পী অদিতি মুন্সী।
মেলায় বাঁশ-বেতের জিনিসপত্র, দা-বঁটি, হাতপাখা, শিশুদের খেলনাসহ নানা পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। কুমিল্লা থেকে চশমা, ঘড়িসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে মেলায় আসেন দোকানি মোরশেদ।
গতকাল দুপুরে মেলায় ঘুরতে আসেন বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন ও তাঁর বন্ধুরা। শারমিন বলেন, মেলায় এলে কার না ভালো লাগে।


 


বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

চকরিয়ার খোজাখালিতে যুব কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

নরোত্তম দাশ,চকরিয়া;
চকরিয়ার খোজাখালীতে ০২ ফেব্রুয়ারি,   জলদাশপাড়ায় শ্রী শ্রী স্বরস্বতী যুব কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত বাণী অর্চনা ২০১৭ উপলক্ষে শ্রীযুক্ত সকল বহদ্দার কর্তৃক উক্ত পাড়ার ১৮৫জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরোত্তম দাশ, তিনি বলেন, শিক্ষায় পারে মানুষের অজ্ঞতা দূর করতে। শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা ও ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিশেষ করে জলদাশ সম্প্রদায় এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।  যার কারণে ভাল অবস্থান তৈরি করতে পারছে না আমাদের সম্প্রদায়। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাছি।

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

চাকরি পাচ্ছেন সেই ভ্যান চালক


জাতীয়:চাকরি
পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী কিশোর ভ্যানচালক ইমাম শেখ। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে তাকে বিমান বাহিনীতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া এলাকার নির্বাচনী প্রতিনিধি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন লিডার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল ইমাম শেখের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী সরাদার পাড়ার বাড়ি পরিদর্শন করে।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে ইমাম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে বাংলানিউজকে বলে, ‘খুব ভালো লাগতাছে। চাকরি হওয়ার বিষয়টি আমি বিশ্বাসই করতে পারতেছি না| আমি খুব খুশি, সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হইতাছে।’

মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার রাতে যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ইমাম শেখকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে| সেই লক্ষ্যে তাদের একটি দল রোববার ইমামের বাড়িতে আসতে চায়| এজন্য সকালে ইমামকে টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাসায় ডেকে আনেন আব্দুল্লাহ। রোববার সকালে ইমামের সঙ্গে সাক্ষ‍ৎ হয় বিমান বাহিনীর ওই দলটির সঙ্গে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তাফাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে সবাই মিলে ইমাম শেখের বাড়ি যান এবং ইমামের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

রোববার বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে ভ্যানগাড়ি এবং ইমাম শেখ নিয়ে প্রতিনিধি দলটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির উদ্দেশে রওয়ানা হয়। খুব শিগগিরই ইমাম তার নতুন চাকরিতে যোগদান করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন☆☆☆☆☆
জা

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

বাসিরন খাতুনের পর দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হলেন চকরিয়ার  ৪৫ বছরের রেজিয়া বেগম

শহিদুর রহমান,  চকরিয়া:ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব তা আবার  প্রমাণ করলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার রেজিয়া বেগম। আমার (প্রতিবেদকের)ঠিক ডানপাশে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম রেজিয়া বেগম, বয়স ৪৫ বছর।সে দ্বিতীয় শ্রেনীতে ভর্তি  হয়েছে পূর্ব বড় ভেওলা  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,রোল ১৪১।তাহার স্বামী আব্দুল কাদের স্থানীয় চা দোকানদার।রেজিয়া বেগমের ছেলেমেয়ে ৭জন।তার বড় মেয়ে জিসান চকোরিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, জিহান, G N A মিশনারী হাই স্কুলে ৯ম শ্রেনীতে,জিফান একই স্কুলে ৬ষ্ঠ শেনীতে,  ফারজানা, পূর্ব বড় ভেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীতে,এবং ছেলে জিসাদ ৩য় শ্রেনী পর্যন্ত,কারিফ ৪র্থ শ্রেণি  পর্যন্ত,জিহাদ ৫ম  শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছে। রেজিয়া বেগমের হাতে বিদ্যালয়ের টিচারদের সাথে বই তুলে দিচ্ছেন  দিগন্ত পাবলিকেশনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি শহিদুর রহমান। দেশবাসীকে  রেজিয়া বলেন, জানার কোন বয়স নেই। ইচ্ছা থাকলে যেকোন বয়সে লেখাপড়া করা যায়। আমিও পড়ালেখা করে একজন শিক্ষিত নাগরিক হতে চাই। আমি যেন  লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারি,সবাই দোয়া করবেন।

নূর হোসেনের অজানা কাহিনী

Posted by B.K
নিউজ ২৪ ডেস্ক:নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতের কলকাতার স্ট্রিটে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ বছর পালিয়ে ছিলেন। দেশটিতে থাকার সময় ‘গোপাল’ নাম ধারণ করে রাধা নামে এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই সংসারে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

আলোচিত ৭ খুনের ঘটনার পরই উঠে আসে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের উচ্ছৃঙ্খল জীবনের যত চিত্র। তার বেপরোয়া জীবনের চিত্র তুলে ধরে সাবেক বান্ধবী ও সাবেক মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছেন।

যদিও নীলা বরাবরই দাবি করে আসছেন, তার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও নূর হোসেন তাকে বিয়ে করেছিলেন। একপর্যায়ে নূরকে ভালও বেসেছিলেন নীলা।

নূর হোসেনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, নূর হোসেন ট্রাক হেলপার থেকে অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি টাকার মালিক বনে যান। নারীদের প্রতি আলাদা নেশা ছিল তার। সুন্দরী নারী দেখা মাত্রই তার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দখলে নেওয়ার একটা নেশা ছিল তার। তার জীবনের অনেক নারী এলেও কেবল ৫ জনকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন নূর হোসেন।

এর মধ্যে প্রথম স্ত্রী লিলির বাড়ি ঢাকার মিলব্যারাক এলাকায়। তিনি এখন নূরের সংসারে নেই। দ্বিতীয় স্ত্রী লিপির বাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে। তার সংসারে বিপ্লব নামে এক ছেলে ছিল। কলেজপড়ুয়া এ ছেলে বাপের বসানো মদের দোকান থেকে মদ পান করতে করতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়েও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মদ সেবন করতে করতে নির্মমভাবে তার মৃত্যু হয়।

তৃতীয় স্ত্রী পারুলের বাড়ি ডেমরার সারুলিয়ায়। তিনিও এখন নূরের সংসারে নেই। আর চতুর্থ স্ত্রী কাঁচপুরের রুমা। তার সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। রুমার সঙ্গেই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বসবাস করতেন নূর হোসেন। তার এই স্ত্রীর নামে অনেক সম্পদ গড়ে তোলেন।

এছাড়া পঞ্চম স্ত্রী রাধার বাড়ি ভারতের কলকাতার সদর স্ট্রিটে ২০০১ থেকে প্রায় ৬ বছর ভারতে পালিয়ে থাকার সময় ‘গোপাল’ নাম ধারণ করে রাধাকে বিয়ে করেন নূর হোসেন। তখন ভারতের সবাই নূর হোসেনকে গোপাল বলেই জানতেন।

তার ঘনিষ্ঠ সূত্র আরও জানায়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের দিন ১ অক্টোবর রাতে নূর হোসেন পালিয়ে যান ভারতে। তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপুলে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়।

ভারতে ছয় বছরের মতো থেকে নূর হোসেন। সেখানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে ‘গোপাল’ নাম পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান হয়। শেষপর্যন্ত ওই নারীকে সেখানে রেখেই দেশে ফিরেন নূর হোসেন।

মূলত বিএনপি-জামায়াত সরকারের ক্ষমতা শেষে ২০০৭ সালে তত্ত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে নূর হোসেন দেশে চলে আসেন। এরপর ফিরে যান তার আগের সাম্রাজ্যে। শুরু হয় তার সেই আগের রাজত্ব।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের লেখা ‘অতি জরুরি’ উল্লেখ করা একটি চিঠি পাল্টে দেয় নূর হোসেনের জীবন। চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে মেয়র মর্যাদায় পৌরসভার প্রশাসক পদে বসাতে এলজিআরডিমন্ত্রীকে তিনি এ চিঠি দেন।

২০০৯ সালের ৮ জুন লেখা এ চিঠির জোরে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্ট থেকে নূর হোসেনের নামকাটা হয়। চিঠিতে এইচ টি ইমাম নবগঠিত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভায় নূর হোসেনকে প্রশাসক পদে নিয়োগ দিতে এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানান।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ হওয়ার পরই পাল্টে যায় পরিবেশ। অপহৃতদের স্বজনরা ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেন একসময়ের সন্ত্রাসীর গডফাদার নূর হোসেনকে।

২০১৪ সালের ১৪ জুন দুই সহযোগীসহ কলকাতায় গ্রেফতার হন নূর হোসেন। শেষ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাকে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠান।

২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার নূর হোস্সেহ ৩৫ আসামির বিচার শুরু হয়। এর ১১ মাসের মাথায় রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন, তাতে নূর হোসেনসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় আসে।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...