শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

কোটাধারী VS কোটা বিরোধী : মতামত


কোটাধারী  VS কোটা বিরোধী!!

প্রসঙ্গঃ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী কটূক্তি! ও
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

বি.কে বিচিত্র।
আপনাদের জেনে রাখা দরকার, মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের চেহারা দেখে চাকরি দেয় না সরকার তাদেরও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ  হতে হয়। শুধু ভাইভায় গেলে কোটা বিবেচনা করা হয়। এর আগ পর্যন্ত সাধারণ প্রার্থীর মতো বিসিএসসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক  পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। তাহলে কোটা নিয়ে আপনাদের মাথা ব্যথা কেন?  অশিক্ষিতরা এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। যতসব শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের মাথা ব্যথা।
কোটাধারী প্রার্থীদের  শুন্য পদ সাপেক্ষে মেধার ভিত্তিতে  নিয়োগ দিচ্ছে
সরকার। তখন তো আপনারা বলেন না আমরা শুন্য কোটায় চাকরি নেব না।

চাকরিতে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী একটি মহল আন্দোলন শুরু করে, অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আতেল যারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ বলে দাবি করে। তাদের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণে বিরত ছিল। মাত্র কয়েকজন আমলা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে দু’একজন ওঠে পড়ে লেগেছেন চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, সাবেক সচিব টেলিভিশনের পর্দায় ঝড় তুলেছেন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে।  ১৮ জুলাই ২০১৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা প্রথার পক্ষে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করায় ঐ আতেল গোষ্ঠী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ঐ গোষ্ঠী প্রতিদিন বেসরকারি টেলিভিশনে মধ্যরাতে টকশোতে অবিরাম বক্তৃতা দিয়ে চলেছে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে। শিক্ষিত অকৃতজ্ঞ সুবিধাবাদি শ্রেণি একবার ভেবে দেখেননি (তারা আবার মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা গ্রহণ করেছেন দুহাতে সব সিঁড়ি ভেঙেছেন কেউ কেউ জীবনের সর্বশেষ তলায় ওঠেছেন) মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন না হলে তাদের কী অবস্থা হতো?

 শিক্ষিত ও অকৃতজ্ঞ মানুষ সভ্য দেশে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছর পার হতে চললো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা না খেয়ে দেয়ে দিনাতিপাত করে সে দিকে কারো নজর নেই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির কোটা কেড়ে নিতে ওঠে পড়ে লেগেছেন। এই বুদ্ধিজীবী মহল হায় সেলুকাস!! অথচ যথানিয়মে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পরীক্ষা দিয়ে নিজ নিজ যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বলে বিনা পরীক্ষায় ও মেধা যাচাই না করে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা পূরণ না হওয়ায় অন্যদেরকে কোটার শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এক হাজার দুইশত পঁচিশ জনকে মুক্তিযোদ্ধার কোটার বিপরীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারপরও এই মহলের আপত্তি কেন তা সহজেই বোধগম্য। মূল কথা হল মেধা নয়, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী। আওয়ামী লীগ সরকারের উচিৎ হবে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা আইনি বৈধতা প্রদান করা।

 মুক্তিযোদ্ধারাইতো অসাংবিধানিক! তাদের কোটা অসাংবিধানিক হবে না তো কী হবে? গত ১০ জুলাই ২০১৬  টিভির পর্দায় ও পত্র পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সরকারি চাকরির ৩০% কোটা সম্পর্কে আলোচনার ঝড় তুলেছিল  দেশের বিজ্ঞ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা!! মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর সম্মানিত অধ্যাপক মহাশিক্ষিত পণ্ডিত ডক্টরদের বোধোদয় হয়েছে। ১৯৭১ সালে যারা সুমহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজেদেরকে খুব সতর্কভাবে যুদ্ধ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেছিলেন এদের মধ্যে সিংহভাগ পাকিস্তানি নাগরিকের পরিচয় দিয়ে স্কুল/কলেজে বই খাতা নিয়ে ক্লাসে যোগদান করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যোগদান না করে।

আবার কেউ নিরাপদ দূরে কোথাও অবস্থান করেছিলেন কখন মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি হবে এবং স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করবে আর ঐ সময়ে এদেশের সাধারণ গরিব মানুষের সন্তান অশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত প্রায় ৯০% (কৃষক, শ্রমিক, দিন মজুর) যুদ্ধের মাঠে দেশমাতৃকার বেদীমূলে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পাকিস্তানিরা বলেছিল এরা ভারতের অনুচর/ গুপ্তচর/ সন্ত্রাসী এবং এ ধরনের কার্যক্রম পাকিস্তানি সংবিধান পরিপন্থী। আজকে যারা মুক্তিযোদ্ধার চাকরির কোটার বিরোধিতা করছেন তাদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের সামান্যতম পার্থক্য নেই।

 হায় স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ! এই দেশের জন্য ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছিল, ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল, ২ লাখ ৬৯ হাজার মা বোন ইজ্জত দিয়েছিল, অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, প্রায় এক কোটি মানুষ প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছিল।

১৯৭১ সালে সু-মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী প্রায় ৯০% মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন গরিব সাধারণ মানুষের সন্তান। শিক্ষিত সচ্ছল পরিবারের সন্তান ও সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় ৯৫% খুব সতর্কভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণে বিরত ছিলেন। অপরদিকে সচ্ছল ও শিক্ষিতদের ১০% মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা যে কোনভাবে নিজেদের

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...