শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মহেশখালীতে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার!

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অাজ রাত দশটায় মহেশখালী পৌরসভার বলরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয় ৷ মহেশখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল মাদক উদ্ধার হয়। কয়েক বছরের মধ্যে এটি এ ধরণের বড় অভিযান ৷

মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বাঁশখালীর কুম্ভমেলা মাতাবেন জি বাংলার অদিতি মুন্সি


 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ৭ই জানুয়ারি  কুম্ভমেলায় গান পরিবেশন    করবেন কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী অদিতি  মুন্সি।পাড়ের পাদদেশে মন্দির। নাম ঋষিধাম। সুদৃশ্য বিশাল ফটক দিয়ে শত শত মানুষের আসা-যাওয়া চলছে। মন্দিরে চলছে পূজা-অর্চনা। মন্দিরের কিছু দূরে মঞ্চে একজন যোগবিদ শিশুদের যোগাসন শিক্ষা দিচ্ছেন। যোগাসনের মাধ্যমে রোগমুক্তির এই শিক্ষা দেখতে মঞ্চের সামনে ভিড় করেছেন শত শত নর-নারী। মন্দিরে ঢোকার মুখে পাশের মাঠে বসেছে মেলা। নাগরদোলায় দুলছে শিশুরা। মাঠের পাশে দুপুরের প্রসাদ আস্বাদনে ব্যস্ত ভক্তরা।
ওপরের বর্ণনা চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের কোকদণ্ডী গ্রামের ঋষিধামের ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলার। গত রোববার শুরু হয়েছে আট দিনব্যাপী ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা। মেলা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত ও সন্ন্যাসীরা ভিড় করেছেন। কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামেও উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে।
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী ভারতের চারটি স্থানে কুম্ভমেলা হয়। এগুলো হলো হরিদ্বার, প্রয়াগ, নাসিক ও উজ্জয়িনী। তিন বছর পর চক্রাকারে চারটি স্থানে কুম্ভমেলা বসে। সে হিসাবে একেকটি স্থানে ১২ বছর পরপর এই মেলা ঘুরে আসে। বাংলাদেশে একমাত্র ঋষিধামেই তিন বছর পরপর এই মেলার আয়োজন হয়।

কুম্ভমেলা ঘিরে শিশুদের যোগাসনের অনুশীলন। ছবিটি গতকাল সকালে তোলা l প্রথম আলো
শ্রীগুরু সংঘ, ঋষিধাম ও তুলসীধাম পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ বলেন, কুম্ভ মানে কলস। অমৃতের কলস। অমরত্ব লাভের আশায় একবার দেবতাদের সঙ্গে অসুরকুলের সমুদ্রমন্থন হয়েছিল। সমুদ্রমন্থনের ফলে উঠে এল বহু মূল্যবান সামগ্রী। উঠল একটি অমৃতের ভাণ্ড। অসুরদের এই অমৃতকুম্ভ না দেওয়ার জন্য দেবরাজ ইন্দ্রপুত্র জয়ন্ত একসময় সেটি নিয়ে পালালেন। পালানোর সময় অমৃত ভাণ্ড রাখা হয়েছিল চারটি স্থানে—হরিদ্বার, প্রয়াগ, ত্রিম্বকেশ্বর-নাসিক ও উজ্জয়িনীতে। এই চারটি স্থানে কলস থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত রস পড়েছিল বলে ধারণা। তাই এই চারটি স্থানে অমৃত সুধারস আস্বাদনের জন্য বসে কুম্ভমেলা। এগুলো তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত।
তুলসীধাম পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দেব বলেন, যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে ভারতের এই চারটি স্থানে গিয়ে তীর্থ করতে অক্ষম, তাঁদের কথা বিবেচনা করে বাঁশখালী ঋষিধামের প্রতিষ্ঠাতা মোহন্ত শ্রীমৎ অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ ১৯৫৭ সাল থেকে এখানে কুম্ভমেলার প্রবর্তন করেছিলেন। ভারতের চারটি স্থানের যেকোনো একটি মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার এক বছর পর বাংলা মাঘ মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে ঋষিধামে কুম্ভমেলা বসে।
ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ পালিত বলেন, প্রতিবারই ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সন্ন্যাসী আসেন। এটি এক মহা মিলনমেলা। মেলা উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে ইতিমধ্যে অন্তত ৫০ জন সন্ন্যাসী এসেছেন।
ভারত থেকে আসা শ্রীমৎ বিশ্বেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, ‘আমি ভারতের বিভিন্ন কুম্ভমেলায় গিয়েছি। এখানেও এসেছিলাম আগে। এবার আবার এলাম। এখানে এলে মন ভালো হয়।’
মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই চলছে নানা অনুষ্ঠান। গতকাল দ্বিতীয় দিনে ঋষি ধ্বজা উত্তোলন, বেদমন্ত্র পাঠ, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনই ধর্মীয় আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে সমৃদ্ধ এই মেলা। আজ মঙ্গলবার মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন জি বাংলার সারেগামাপা খ্যাত শিল্পী অদিতি মুন্সী।
মেলায় বাঁশ-বেতের জিনিসপত্র, দা-বঁটি, হাতপাখা, শিশুদের খেলনাসহ নানা পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। কুমিল্লা থেকে চশমা, ঘড়িসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে মেলায় আসেন দোকানি মোরশেদ।
গতকাল দুপুরে মেলায় ঘুরতে আসেন বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন ও তাঁর বন্ধুরা। শারমিন বলেন, মেলায় এলে কার না ভালো লাগে।


 


বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

চকরিয়ার খোজাখালিতে যুব কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

নরোত্তম দাশ,চকরিয়া;
চকরিয়ার খোজাখালীতে ০২ ফেব্রুয়ারি,   জলদাশপাড়ায় শ্রী শ্রী স্বরস্বতী যুব কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত বাণী অর্চনা ২০১৭ উপলক্ষে শ্রীযুক্ত সকল বহদ্দার কর্তৃক উক্ত পাড়ার ১৮৫জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরোত্তম দাশ, তিনি বলেন, শিক্ষায় পারে মানুষের অজ্ঞতা দূর করতে। শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা ও ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিশেষ করে জলদাশ সম্প্রদায় এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।  যার কারণে ভাল অবস্থান তৈরি করতে পারছে না আমাদের সম্প্রদায়। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাছি।

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

চাকরি পাচ্ছেন সেই ভ্যান চালক


জাতীয়:চাকরি
পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী কিশোর ভ্যানচালক ইমাম শেখ। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে তাকে বিমান বাহিনীতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া এলাকার নির্বাচনী প্রতিনিধি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন লিডার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল ইমাম শেখের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী সরাদার পাড়ার বাড়ি পরিদর্শন করে।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে ইমাম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে বাংলানিউজকে বলে, ‘খুব ভালো লাগতাছে। চাকরি হওয়ার বিষয়টি আমি বিশ্বাসই করতে পারতেছি না| আমি খুব খুশি, সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হইতাছে।’

মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার রাতে যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ইমাম শেখকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে| সেই লক্ষ্যে তাদের একটি দল রোববার ইমামের বাড়িতে আসতে চায়| এজন্য সকালে ইমামকে টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাসায় ডেকে আনেন আব্দুল্লাহ। রোববার সকালে ইমামের সঙ্গে সাক্ষ‍ৎ হয় বিমান বাহিনীর ওই দলটির সঙ্গে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তাফাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে সবাই মিলে ইমাম শেখের বাড়ি যান এবং ইমামের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

রোববার বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে ভ্যানগাড়ি এবং ইমাম শেখ নিয়ে প্রতিনিধি দলটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির উদ্দেশে রওয়ানা হয়। খুব শিগগিরই ইমাম তার নতুন চাকরিতে যোগদান করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন☆☆☆☆☆
জা

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

বাসিরন খাতুনের পর দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হলেন চকরিয়ার  ৪৫ বছরের রেজিয়া বেগম

শহিদুর রহমান,  চকরিয়া:ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব তা আবার  প্রমাণ করলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার রেজিয়া বেগম। আমার (প্রতিবেদকের)ঠিক ডানপাশে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম রেজিয়া বেগম, বয়স ৪৫ বছর।সে দ্বিতীয় শ্রেনীতে ভর্তি  হয়েছে পূর্ব বড় ভেওলা  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,রোল ১৪১।তাহার স্বামী আব্দুল কাদের স্থানীয় চা দোকানদার।রেজিয়া বেগমের ছেলেমেয়ে ৭জন।তার বড় মেয়ে জিসান চকোরিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, জিহান, G N A মিশনারী হাই স্কুলে ৯ম শ্রেনীতে,জিফান একই স্কুলে ৬ষ্ঠ শেনীতে,  ফারজানা, পূর্ব বড় ভেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীতে,এবং ছেলে জিসাদ ৩য় শ্রেনী পর্যন্ত,কারিফ ৪র্থ শ্রেণি  পর্যন্ত,জিহাদ ৫ম  শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছে। রেজিয়া বেগমের হাতে বিদ্যালয়ের টিচারদের সাথে বই তুলে দিচ্ছেন  দিগন্ত পাবলিকেশনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি শহিদুর রহমান। দেশবাসীকে  রেজিয়া বলেন, জানার কোন বয়স নেই। ইচ্ছা থাকলে যেকোন বয়সে লেখাপড়া করা যায়। আমিও পড়ালেখা করে একজন শিক্ষিত নাগরিক হতে চাই। আমি যেন  লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারি,সবাই দোয়া করবেন।

নূর হোসেনের অজানা কাহিনী

Posted by B.K
নিউজ ২৪ ডেস্ক:নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতের কলকাতার স্ট্রিটে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ বছর পালিয়ে ছিলেন। দেশটিতে থাকার সময় ‘গোপাল’ নাম ধারণ করে রাধা নামে এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই সংসারে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

আলোচিত ৭ খুনের ঘটনার পরই উঠে আসে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের উচ্ছৃঙ্খল জীবনের যত চিত্র। তার বেপরোয়া জীবনের চিত্র তুলে ধরে সাবেক বান্ধবী ও সাবেক মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছেন।

যদিও নীলা বরাবরই দাবি করে আসছেন, তার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও নূর হোসেন তাকে বিয়ে করেছিলেন। একপর্যায়ে নূরকে ভালও বেসেছিলেন নীলা।

নূর হোসেনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, নূর হোসেন ট্রাক হেলপার থেকে অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি টাকার মালিক বনে যান। নারীদের প্রতি আলাদা নেশা ছিল তার। সুন্দরী নারী দেখা মাত্রই তার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দখলে নেওয়ার একটা নেশা ছিল তার। তার জীবনের অনেক নারী এলেও কেবল ৫ জনকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন নূর হোসেন।

এর মধ্যে প্রথম স্ত্রী লিলির বাড়ি ঢাকার মিলব্যারাক এলাকায়। তিনি এখন নূরের সংসারে নেই। দ্বিতীয় স্ত্রী লিপির বাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে। তার সংসারে বিপ্লব নামে এক ছেলে ছিল। কলেজপড়ুয়া এ ছেলে বাপের বসানো মদের দোকান থেকে মদ পান করতে করতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়েও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মদ সেবন করতে করতে নির্মমভাবে তার মৃত্যু হয়।

তৃতীয় স্ত্রী পারুলের বাড়ি ডেমরার সারুলিয়ায়। তিনিও এখন নূরের সংসারে নেই। আর চতুর্থ স্ত্রী কাঁচপুরের রুমা। তার সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। রুমার সঙ্গেই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বসবাস করতেন নূর হোসেন। তার এই স্ত্রীর নামে অনেক সম্পদ গড়ে তোলেন।

এছাড়া পঞ্চম স্ত্রী রাধার বাড়ি ভারতের কলকাতার সদর স্ট্রিটে ২০০১ থেকে প্রায় ৬ বছর ভারতে পালিয়ে থাকার সময় ‘গোপাল’ নাম ধারণ করে রাধাকে বিয়ে করেন নূর হোসেন। তখন ভারতের সবাই নূর হোসেনকে গোপাল বলেই জানতেন।

তার ঘনিষ্ঠ সূত্র আরও জানায়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের দিন ১ অক্টোবর রাতে নূর হোসেন পালিয়ে যান ভারতে। তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপুলে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়।

ভারতে ছয় বছরের মতো থেকে নূর হোসেন। সেখানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে ‘গোপাল’ নাম পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান হয়। শেষপর্যন্ত ওই নারীকে সেখানে রেখেই দেশে ফিরেন নূর হোসেন।

মূলত বিএনপি-জামায়াত সরকারের ক্ষমতা শেষে ২০০৭ সালে তত্ত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে নূর হোসেন দেশে চলে আসেন। এরপর ফিরে যান তার আগের সাম্রাজ্যে। শুরু হয় তার সেই আগের রাজত্ব।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের লেখা ‘অতি জরুরি’ উল্লেখ করা একটি চিঠি পাল্টে দেয় নূর হোসেনের জীবন। চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে মেয়র মর্যাদায় পৌরসভার প্রশাসক পদে বসাতে এলজিআরডিমন্ত্রীকে তিনি এ চিঠি দেন।

২০০৯ সালের ৮ জুন লেখা এ চিঠির জোরে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্ট থেকে নূর হোসেনের নামকাটা হয়। চিঠিতে এইচ টি ইমাম নবগঠিত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভায় নূর হোসেনকে প্রশাসক পদে নিয়োগ দিতে এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানান।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ হওয়ার পরই পাল্টে যায় পরিবেশ। অপহৃতদের স্বজনরা ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেন একসময়ের সন্ত্রাসীর গডফাদার নূর হোসেনকে।

২০১৪ সালের ১৪ জুন দুই সহযোগীসহ কলকাতায় গ্রেফতার হন নূর হোসেন। শেষ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাকে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠান।

২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার নূর হোস্সেহ ৩৫ আসামির বিচার শুরু হয়। এর ১১ মাসের মাথায় রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন, তাতে নূর হোসেনসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় আসে।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...