এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের অপব্যবহার।
******************************
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিশন হলো তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বহিঃবিশ্বে খুব সহজেই পৌঁছানো যায় যা সকলের কাছে জ্ঞাত। শিক্ষা,আন্তঃযোগাযোগ ও অম্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। আর এ তথ্য প্রযুক্তির অন্যতম উপাদান হল মোবাইল ফোন। বর্তমানে প্রাচীন মোবাইল ফোনের চেয়ে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের চাহিদা ও ব্যবহার বেশি,দেশে করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে একদিকে যেমন আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে সুদৃঢ় হচ্ছে অন্যদিকে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে হেলে পড়ছে।কেননা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীদেরকে ল্যাপটপ বা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেখাপড়ার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তারা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের সদ্ব্যবহার করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী অপব্যবহার করে। কেননা গ্রাম তথা দেশের পথে প্রান্তরে দেখা যায় ১৮'র কম বয়সী ছেলে মেয়েরা পড়াশোনার চেয়ে মোবাইলে গেইমস নিয়ে ব্যস্ত থাকে বেশি ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায় বলে মন্তব্য করছেন সুশীল সমাজ। আমরা সবাই অবগত আছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চতর শিক্ষা সবক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে রুটিন মাফিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যা সর্বজন প্রশংসনীয় এবং একটা নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করে কিন্তু পরবর্তীতে তারা অভিভাবকদের অগোচরে মোবাইল ফোন নিয়ে নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে যুক্ত করার সুযোগ পায়।ফলে তাদের মধ্যে পড়ালেখার প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং ক্রমাগত তারা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের প্রতি অাসক্ত হয়ে পড়ে যা মাদকের চেয়েও ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে আশংকা করছেন সুশীল সমাজ তথা সর্বমহল। দিন -দিন, পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, সমাজ তথা দেশে একে অপরের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে, তাই একটা নিদিষ্ট সময় অনলাইন ক্লাস শেষে ১৮'র কম বয়সী ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে অভিভাবকরা সংরক্ষণ করলে এ পরিস্থিতি অনেকাংশেই কমে যাবে বলে ধারনা করছেন সুশীল সমাজ। তাই করোনা কালে যুবসমাজকে ধ্বংসের কাছ থেকে বাঁচানোর জন্য প্রত্যেক অভিভাবককে এগিয়ে আসা উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন