রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

বিকাশ আলফ্রেড'র কবিতা- মীরজাফর!!

 মীরজাফর
          বিকাশ আলফ্রেড
 
মীরজাফর তুমি পলাশীর প্রান্তর
বাঙালির বুকে ক্লাইভের খঞ্জর।
 তুমি একাত্তরের অত্যাচারী পাকিস্তানি  হানাদার বর্বর।
 তুমি মহা পাপী সন্তান রাজাকার একাত্তরে প্রমাণ।
 তুমি করেছো শত্রুর হাতে বাঙালি ভাই-বোনদের প্রদান।
 তুমি মাথার উকুন মাথায় বাস করে মাথা কে কর   খুন।
 তুমি কুকুরের কামড়ে মিশে থাকা জলাতঙ্কের গুন।
 তুমি আলোর সৃষ্টি আলেয়া মানুষের সৃষ্টি ছায়া
 তুমি বাংলায় জন্মগ্রহণ করেও ভুলে গেছো বাংলার মায়া।
 তুমি পানের মধ্যে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত চুন।
 তুমি ভাইয়ের হাতে  ভাইকে করাও খুন।
 তুমি বন্ধুর কাছে বন্ধুর মারাত্মক বিশ্বাসঘাতকতা
 মানুষের জন্য এক জঘন্য প্রতীক হৃদয়হীন নিষ্ঠুরতা।
 তুমি ফলের মাঝে লুকিয়ে থাকা গোপন পোকা
 তুমি পৃথিবীতে যুগে যুগে মানুষকে এখনো দিয়ে যাচ্ছ ধোঁকা।
 তুমি কেড়ে নিতে পারো এক নিমিষেই অনাহারীর মুখে খাবার
 তুমি মুহূর্তের ব্যবধানে ভেঙ্গে দাও সাজানো সুখের সংসার।
 তুমি কাঁচা বাঁশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অকল্পনীয় ঘুন।
 এডিসের শরীরে মিশে থাকা ডেঙ্গুজ্বরের গুণ।
 তুমি মানুষকে মৃত্যুর পথে আমন্ত্রণকারী এডিসের কামর
 তুমি মানুষরূপী ঘৃণ্য নরপশুদের সাথে মিশে থাকা আড্ডার আাসর।
 তুমি প্রতিটি সমাজে বসবাসকারী ঘৃণিত এক লোক 
তুমি মানুষের রক্ত চুষে খাওয়া খুবই পরিচিত সাধারণত জোঁক।
তুমি গাছের মাঝে বসবাসকারী অকৃতজ্ঞ পরগাছা।
 তুমি স্বীকার করো না যে তার জন্য তোমার জীবন বাচাঁ।
 তুমি নিরীহ মানুষের উপর মিথ্যে নির্মমতার সাজা
 তুমি সমাজ ধ্বংস কারী নেশা নাম যার গাঁজা।
->চয়নকাল

 ২০০১ সাল।


বুধবার, ২৬ মে, ২০২১

বিশেষ বার্তাঃকরোনাকালে নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় আরো সচেতন হওয়া উচিত।-- সুমন মজুমদার।

 বিশেষ বার্তাঃকরোনাকালে নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় আরো সচেতন হওয়া উচিত। 
*********************************



সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে। বিশ্বের ন্যায় আমাদের দেশও   করোনা ভাইরাসের কবলে।প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে  ফি-হাজার মানুষ। টিভি-চ্যানেল, পত্রিকার পাতা খুললেই প্রথমেই দৃষ্টিগোচর হয় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে দেশে ধাপে ধাপে চলছে লকডাউন,নেওয়া হচ্ছে সীমাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ, বিশেষ করে নিজেদেরকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার প্রয়াসে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশনা,  চলছে বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচি। স্বাস্থ্যবিধি 'র মধ্যে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা অন্যতম বলে মনে করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে নাক' হলো প্রাণিদেহের  অন্যতম ইন্দ্রিয় যার মাধ্যমে এরা শ্বাস -প্রশ্বাস নেয় এবং যা সরাসরি ফুসফুসের সাথে সংযুক্ত তাই করোনা ভাইরাস খুব সহজেই শ্বাস -প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে বাসা বেঁধে নিতে পারে, তাই হয়তো সরকার মাস্ক পরার উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছেন, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ঘরের বাইরে গেলে আমরা মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখায়, হাট-বাজার, দোকান-পাট,  বিপনি-বিতানে সর্বত্রই আমরা মুখে মাস্কবিহীন অবাধে চলাচল করি, সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাসের ভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে, যা খুবই ভয়াবহ বলে ধারনা করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা, অধুনা আমাদের দেশে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস নামক নতুন এক  ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া গেছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ধারনা মতে করোনা ভাইরাসের পরবর্তী সংক্রমণ নাকি এ ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস সংক্রমণ যা টিকা গ্রহণের পরেও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সকলের আরো সচেতন হওয়া উচিত। 
লেখক ঃ সুমন মজুমদার 
সহকারি শিক্ষক 

উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন কায়সারের উদ্যোগে রমজান উপলক্ষে মাদ্রাসায় কোরান উপহার।

 লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন কায়সারের উদ্যোগে  রমজান উপলক্ষে মাদ্রাসায় কোরান উপহার।



লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন কায়সার উদ্যোগে মধ্য আমিরাবাদ তালিমুল কোরান হেফাজখানা ও এতিমখানা শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরান উপহার দেওয়া হয়।

২৭শে এপ্রিল,২০২১ইং,মধ্য  আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই কর্মসূচী পালিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ মোঃ  ইউছুফ উদ্দিন আমিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা আলফাজ উদ্দিন.. রিফাত হোসেন,  প্রমূখ

রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন কায়সারের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ।

 লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন কায়সারের উদ্যোগে  মাস্ক বিতরণ।

লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ


লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন কায়সার উদ্যোগে  আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাদ্রাসায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় মাস্ক বিতরণ করা হয়।।

৪ঠা, এপ্রিল,২০২১ইং,(রবিবার)বিকালে  আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই কর্মসূচী পালিত হয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে, মিনহজ উদ্দিন, বলেন,মহামারি কোভিড-১৯, দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশে, এর মোকাবেলার জন্য জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যেব এই কর্মসূচী পালন করা হয়।ভবিষ্যতেও তা চলমান থাকবে।

বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

২৫ মার্চ কালো রাতে শহীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।

 ২৫ মার্চ কালো রাতে শহীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।
লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ



আজ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। উদ্দেশ্য ছিল, বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়া। এভাবে রাতের আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত কোনও বাহিনীর আক্রমণের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
দিনটি উপলক্ষে প্রতিবছর ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবারসব কর্মসূচি  সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।




গণহত্যা দিবস উপলক্ষে লোহাগাড়ার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিনহজ উদ্দিন কায়সারের উদ্যোগে ২৫ শে মার্চ রাতে লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও 
সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইউনুছ" উদ্যোগে শহীদে'র স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।



এতে উপস্থিত ছিলেন,  আমিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা অভয়, জয়, বিপ্লব, প্রান্ত,পিপলু,রিমন,রকি,পায়েল প্রমুখ।

বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১

লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন কায়সারের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত।

 লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন কায়সারের উদ্যোগে  বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে  বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত।
লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ


লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন কায়সার উদ্যোগে  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে  বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৭ই মার্চ, ২০২১ইং,(বুধবার) সকালে আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই কর্মসূচী পালিত হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, মিনহজ উদ্দিন, বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, রাজনীতির কবি, বাংলার রাখাল রাজা, অবিসংবাদিত নেতা, বঙ্গবন্ধুর ১০১ জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সহায়তায়,  ও স্বউদ্যোগে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।


 এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
 আলফাজ,রাকিব,মিজান,শাহেদ,কামাল,মাঈনুদ্দীন, রিফাত, হ্নদয়,ফোরকান,উৎস ধর,জয় দাশ,মান্না দাশ,রাকিব দাশ,রিমন দাশ,নয়ন দাশ,সাগর দাশ,মুন্না দাশ,প্রমুখ।

রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের বিভিন্ন দিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব।

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের বিভিন্ন দিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি দিন। এ দিনে বাঙলির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের সেরা ভাষণের মধ্যে অন্যতম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন রেসকোর্স ময়দানের বিশাল সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে চিরবঞ্চিত বাঙালিকে পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে ডাক দিয়েছিলেন সে ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ সাড়ে সাত কোটি মানুষকে জাতীয় চেতনায় উদ্বেলিত ও ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের তিনি নিয়ে এসেছিলেন মুক্তির র্বাতা। সে দিনের সে ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমেই বর্বর সামরিক শক্তির মুখোমুখি হয়ে নতুন বাংলাদেশকে আগামীর পথে অগ্রসর হওয়ার শক্তি যুগিয়েছিলেন। তাই এ ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর সেই ভাষণটি ক্যালেন্ডারের একটি তারিখকে মহাকালের দেয়ালে অনন্তকালের জন্য ভাস্বর করে দিল । ২৩ বছর ধরে তিল তিল করে রচিত সংগ্রামর পথ বেয়ে মহাজাগরণের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। যাতে সবচেয়ে ধারাবাহিক, সবচেয়ে দূরদর্শি এবং সবচেয়ে সাহসী নেতৃত্ব এসেছে একেবারে দেশজ, বাঙালির প্রাণের গভীর থেকে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা তুলনামূলকভাবে বয়সে তরুণ বিপ্লবী এক নেতা।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণ ইতিহাসের ম্যাগনাকাটার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, সে ভাষণটি পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম ভাষণ হিসেবে বিশ্বের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। সংগত কারণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম ও ইতিহাসের ছাত্রদের জন্য আরো বিশ্লেষণের প্রয়োজন মনে করেই এ নিয়ে আজকের আলোচনার সূত্রপাত। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে অনেক লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিক ও গবেষক অনেক আলোচনা ও বিশ্লেষণ করেছেন। তারপরও এ ভাষণটি আরো বেশি বিশ্লেষণের দাবি রাখে। আমি বঙ্গবন্ধুকে যতটুকু পড়েছি এবং পড়ার মাধ্যমে তাঁকে জেনেছি, সে হিসেবে এ ঐতিহাসিক ভাষণটি নিয়ে আরও বিশ্লেষণের দরকার। তাহলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব বিশেষত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আরও অধিক জানতে পারবে মানুষ। এখানে একটি কথা বলে রাখি, আমার মতো একজন নগণ্য মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো মহীরূহের এমন একটি ঐতিহাসিক ভাষণের বিশ্লেষণ করতে যাওয়া শুধু সাহস নয় দুঃসাহসের কাজ। যদিও আমি “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ও জীবনধারা” নামক প্রায় সাত শত পৃষ্ঠার একটি গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছি এবং সে বইটি ২০১৩ সালে অমর একুশের গ্রন্থমেলায় ‘জনতা পাবলিকেশনস’ থেকে প্রকাশিত এবং বিক্রির তালিকায় মোটামুটি ভাল অবস্থানে, তবু সবার প্রতি বিনয় মিনতি জানিয়ে বলছি এ আলোচনায় যাবতীয় ভুলত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি। যাক ভূমিকা না বাড়িয়ে আলোচনার গভীরে যাওয়া যাক-
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের র্টানিং পয়েন্ট। এ দিন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেসকোর্স ময়দানে পূর্ব নির্ধারিত জনসভায় যোগদানের জন্য দেশের বিভিন্নস্থান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জলোচ্ছ্বাসের গর্জনে বাস, লঞ্চ, ষ্টিমার, নৌকা ও পায়ে হেটে বিপুলবিক্রমে রাজধানী ঢাকার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। বাঁধভাঙা মানুষের স্রোতে দুপুর হ’তে না হ’তেই ভরে ওঠে রেসকোর্সের ময়দান। বাতাসে উড়ছে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল সূর্যের পতাকা। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন আর সাথে সাথে দুলে উঠছে বাঙালিদের সংগ্রামের প্রতীক লক্ষ লক্ষ বাঁশের লাঠি। মঞ্চ থেকে মাঝে মাঝেই স্লোগান তুলছেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা ‘জয় বাংলা’। ‘আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম,সংগ্রাম।’ ‘আমার দেশ তোমার দেশ-বাংলাদেশ বাংলাদেশ।’ পরিষদ না রাজপথ-রাজপথ, রাজপথ।’ ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর-বাংলদেশ স্বাধীন করো।’ ‘ঘরে ঘরে দুর্ঘ গড়-বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’
জনসভার কাজ শুরু হ’তে তখনও অনেক সময় বাকি। কিন্তু রেসকোর্স বৃহত্তর পরিসর ময়দান পেরিয়ে জনস্রোত ক্রমেই বিস্তৃত হতে থাকে কয়েক বর্গমাইল এলাকা জুড়ে। এদিকে বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্সের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার না করার প্রতিবাদে বেতারে কর্মরত বাঙালি কর্মচারীরা তাৎক্ষণিক ধর্মঘট শুরু করায় বিকেল থেকে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। সংগৃহিত। চলবে.....

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...