সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০
শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
শোক দিবসে লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে দোয়া মাহফিল।
বি.কে বিচিত্র, চট্টগ্রাম।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের গণ যোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক উপ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন কায়সার।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে মধ্য আমিরাবাদ মাদরাসা নববিয়া আরাবিয়ায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী জাবেদ, মিজান,সাকিব,সাজ্জাদ তানজুল প্রমুখ।
বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০
লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
বি.কে বিচিত্র, চট্টগ্রাম।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা কারণে জনজীবন যখন স্থবির তখন নিজের একান্ত প্রচেষ্টায় গ্রামের আশপাশকে পরিচ্ছন্ন ও রোগ জীবানুমুক্ত রাখতে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে পরিস্কার রাখার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের গণ যোগাযোগ উন্নয়ন বিষয়ক উপ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন কায়সার লোহাগাড়া আমিরাবাদের বিভিন্ন সড়ক ও স্কুলের পাশে জীবাণু নাশক পাউডার প্রয়োগ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পালন করে
৫ই আগস্ট, বুধবার সকালে লোহাগাড়া আমিরাবাদের বিভিন্ন সড়ক ও স্কুলের পাশে জীবাণু নাশক পাউডার প্রয়োগ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা কায়সার বলেন, ‘‘পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন। আমরা নিজ উদ্যোগে আমাদের চারপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখলে পুরো বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে।’’
তিনি বলেন, কোনও কাজই ছোট নয়। প্রত্যেক পেশার প্রতি সম্মান জানাতে হবে। এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অত্র এলাকাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও নান্দনিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার কথা জানান তিনি।
ছাত্রলীগ নেতা আরও বলেন, আমাদের এলাকাকে পরিচ্ছন্ন করার মধ্য দিয়ে মডেল এলাকায় পরিণত করতে চাই। কারণ শিক্ষার্থীদের মনন বিকাশে পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০
রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০
পরিসংখ্যান ব্যুরোর, পরিসংখ্যান সহকারীর আবেদন প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা।
#Do_not_get_confused_please.
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক ১২ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরিসংখ্যান সহকারী, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী, ইনুমারেটর এবং এডিটিং অ্যান্ড কোডিং অ্যাসিসটেন্ট পদে অাবেদন করার যোগ্যতা কী হবে?
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিতসহ অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেনী বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।"
ব্যাখ্যাঃ পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিতে স্নাতক (সম্মান) এখানে বাধ্যতামূলক নয়। স্নাতক পর্যায়ে যে কোন বর্ষে এই তিনটি হতে কমপক্ষে একটি কোর্স থাকা বাধ্যতামূলক।
অর্থাৎ ইংরেজি বিভাগের সিলেবাসে কোন বর্ষে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিতের কোন কোর্স থাকে না বলে এই বিভাগের প্রার্থীগণ অাবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক সিলেবাসে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিত কোর্স থাকে বলে এই বিভাগের প্রার্থীগণ অাবেদন করতে পারবেন।
এখানে তিনটি বিভাগের কথা বলা হয়নি। বরং যেকোন বিভাগ কিন্তু উল্লিখিত তিনটির কমপক্ষে একটি কোর্সের কথা বলা হয়েছে। যারা স্নাতক (সম্মান) এর পরিবর্তে সমমানের কোন ডিগ্রি নিয়ে অাবেদন করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইভাবে বিবেচ্য হবে। তবে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেনী বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক/সমমমানের ডিগ্রি হতে হবে।
-----
মোহাম্মদ কামাল হোসেন
পরিসংখ্যান কর্মকর্তা
বিসিএস (পরিসংখ্যান)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক ১২ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরিসংখ্যান সহকারী, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী, ইনুমারেটর এবং এডিটিং অ্যান্ড কোডিং অ্যাসিসটেন্ট পদে অাবেদন করার যোগ্যতা কী হবে?
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিতসহ অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেনী বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।"
ব্যাখ্যাঃ পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিতে স্নাতক (সম্মান) এখানে বাধ্যতামূলক নয়। স্নাতক পর্যায়ে যে কোন বর্ষে এই তিনটি হতে কমপক্ষে একটি কোর্স থাকা বাধ্যতামূলক।
অর্থাৎ ইংরেজি বিভাগের সিলেবাসে কোন বর্ষে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিতের কোন কোর্স থাকে না বলে এই বিভাগের প্রার্থীগণ অাবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক সিলেবাসে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিত কোর্স থাকে বলে এই বিভাগের প্রার্থীগণ অাবেদন করতে পারবেন।
এখানে তিনটি বিভাগের কথা বলা হয়নি। বরং যেকোন বিভাগ কিন্তু উল্লিখিত তিনটির কমপক্ষে একটি কোর্সের কথা বলা হয়েছে। যারা স্নাতক (সম্মান) এর পরিবর্তে সমমানের কোন ডিগ্রি নিয়ে অাবেদন করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইভাবে বিবেচ্য হবে। তবে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেনী বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক/সমমমানের ডিগ্রি হতে হবে।
-----
মোহাম্মদ কামাল হোসেন
পরিসংখ্যান কর্মকর্তা
বিসিএস (পরিসংখ্যান)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০
শোক!!
আর্তনাদ!(শোক!)
(বর্ণক্রমিক ৪ শব্দ বিশিষ্ট)
আর্তনাদ অতীত আবির্ভাব অতিশয়!
! শোকার্ত শাণিত শত লয়!
স্মৃতিময় সহিত সহায় সলিল!
! অনন্ত অহির্নিশ অশেষ অনিল!
ভ্রাতৃঘাতী ভ্রমণ ভ্রম ভ্রুক্ষেপহীন!
! গন্তব্য গত গতি গহীন!
পরিবার পরিশেষ পরিবর্তন পণ!
! গগনে গতিময় গ্রহণ গণ!
মৃত্যু মিহির মম মন্দির!
! নিরিখে নিরোধ নির্ণয় নীর!(জল)
প্রবাহ প্রতিদান প্রহর প্রীতি!
নিরহ নির্দয় নিরীক্ষা নীতি!
দুঃখ দরিদ্র দরদ দ্রুতি!
(বর্ণক্রমিক ৪ শব্দ বিশিষ্ট)
আর্তনাদ অতীত আবির্ভাব অতিশয়!
! শোকার্ত শাণিত শত লয়!
স্মৃতিময় সহিত সহায় সলিল!
! অনন্ত অহির্নিশ অশেষ অনিল!
ভ্রাতৃঘাতী ভ্রমণ ভ্রম ভ্রুক্ষেপহীন!
! গন্তব্য গত গতি গহীন!
পরিবার পরিশেষ পরিবর্তন পণ!
! গগনে গতিময় গ্রহণ গণ!
মৃত্যু মিহির মম মন্দির!
! নিরিখে নিরোধ নির্ণয় নীর!(জল)
প্রবাহ প্রতিদান প্রহর প্রীতি!
নিরহ নির্দয় নিরীক্ষা নীতি!
দুঃখ দরিদ্র দরদ দ্রুতি!
সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
বিসিএস উন্মাদ!
আজ কিছুদিন ধরে লাগাতার জাতীয় দৈনিকে বিসিএস উন্মাদনার কিছু চিত্র তুলে ধরছি,
*স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ৩৮তম বিসিএসে প্রথম হয়েছেন রুহুল
*ফেরিওয়ালার মেয়ে বিসিএস ক্যাডার, বই কিনতে না পারা মেয়ে হলেন এসপি।
*বিদেশে সংসার সামলে বিসিএস ক্যাডার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
*
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও ভর্তি হতে না পারা ছেলেটি এখন বিসিএস ক্যাডার
*৩৮তম বিসিএস: স্বামী শিক্ষা ক্যাডারে ইতিহাসে প্রথম, স্ত্রী অষ্টম
*কখনো কোচিং করেননি বিসিএস প্রশাসনে প্রথম রুহুল
*হতে চাইলাম শিক্ষক, বানাইলেন ম্যাজিস্ট্রেট
*প্রাথমিকের শিক্ষিকার ছেলে এখন বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডার
*জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পঞ্চমবারের চেষ্টায় বিসিএসে সফল হলেন তৃপ্তি
‘আয়া’ মায়ের ‘হার না মানা’ জীবনযুদ্ধে ছেলে বিসিএস
*দুই বোন একসঙ্গে প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার
গত কয়েকদিনে দেশের সমস্ত প্রধান জাতীয় দৈনিকের আলোচিত সংবাদ বিসিএস সম্পর্কিত সংবাদগুলো পড়লে মনে হবে বিসিএস আলাদিনের চেরাগ। এই মহাবিশ্বে বিসিএসের চেয়ে উত্তম কিছু নেই। ট্র্যাম্পের নির্বাচনী প্রচারনা থেকে শুরু করে, ভারত চায়না সীমানা দ্বন্দ্ব সব হচ্ছে বিসিএস ক্যাডারের পদ নিয়ে।
ধীর ধীরে অবস্থা এমন দাঁড়াচ্ছে বিসিএস নাম নেয়ার আগে কবে যেন ওজু করবার নোটিশ জারি হয়, নামের আগে বলতে হবে মহান বিসিএস।
পঙ্গপালের মতো সবাই ছুটছি বিসিএসে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ হতে প্রস্তুতি চলে বিসিএসের।
কোথাও গবেষণা নেই, উদ্ভাবনী নেই, ব্যবসার বিকাশ নেই, উদ্যোক্তা নেই।
ইউজিসির এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দেশের ৬৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় না। গবেষণার বদলে চলে মুখস্থনির্ভর চাকরিকেন্দ্রিক পড়ালেখা!
৪১তম বিসিএসে আবেদনকারী ৪ লাখ ৭৫ হাজার
সবাই ক্যাডার হতে চায়, অথচ উদ্ভাবন ছাড়া, গবেষণা ছাড়া, উদ্যোক্তা ছাড়া, বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়া, ব্যবসা ছাড়া দেশটা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
দেশের চাকা চালাতে প্রতিটি পেশায় মেধাবীদের প্রয়োজন, যোগ্যদের প্রয়জন।
পঙ্গপালের মতো মেধাবীরা বিসিএসের পিছনে ছুটলে অযোগ্য ব্যাক্তিরা অতি সহজে নির্বিঘ্নে প্রয়োজনীয় পেশাগুলোর মার্কেট দখল করে ফেলবে।
এর পরিনাম হবে ভয়াবহ।
ভুল চিকিৎসায় বিসিএস ক্যডারের স্ত্রীর জীবন বিপন্ন হবে, বিসিএস ক্যাডারের সন্তানের শিক্ষার জন্য মেধাবী শিক্ষকের প্রয়োজন। শিক্ষক ভালো না হলে বিসিএস ক্যাডারের সন্তান তো পরবর্তীতে বিসিএস ক্যাডার হতে পারবেন না!
নষ্ট ব্যাক্তি ব্যাংক দখল করলে চাকুরী শেষে একজন বিসিএস ক্যাডারের সারা জীবনের সঞ্চয় লাপাত্তা হয়ে যাবে।
ব্যবসায় দুষ্ট লোকের আগমন হলে আমাদের সন্তান বিষাক্ত খাবার খেয়ে বড় হবার বদলে বনসাই হয়ে বেড়ে উঠবে।
বিসিএসের বিরোধী আমি নই, প্রচণ্ড পরিশ্রমী এই লম্বা পরীক্ষা মাধ্যমে যারা পাশ করছেন তাদের আমি সম্মান রেখেই বলছি, আমাদের এক্ষুনি আমাদের চাকুরী কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন করার সময় চলে এসেছে।
কেন এই উন্মাদনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, বুয়েট সবাই ছুটছে বিসিএসের পিছনে!
প্রধান কারন, নিরাপদ চাকুরী, বেতন ভালো, পাওয়ার!
এই যদি কারন হয় তবে এরচেয়ে ভয়াবহ দুঃসংবাদ এই দেশের জন্য আর হতে পারে না।
যে ছেলে আজ একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে চাইছে সে কেন নিজেকে অনিরাপদ মনে করছে, তার উত্তর জানা দরকারি।
প্রাইভেট জবে নিরাপত্তা কেন দিতে পারছে না, আজকে এই প্রশ্ন করতে হবে উচ্চকণ্ঠে।
দেশে কেন গবেষক তৈরি হয় না, আমাদের উদ্যোক্তারা কোথায়, তারা কি কি বাঁধার সম্মুখীন হয়, একজন উদ্যোক্তা একশো জনের চাকুরীর সুযোগ তৈরি করতে পারে অথচ আমাদের দেশে উদ্যোক্তাদের অবহেলা অপমান কেন, বারবার করে এর সমাধান বের করে নিয়ে আসতে হবে।
দেশকে বাঁচাতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া অতি জরুরী।
কেবল বিসিএসের পিছনে যদি আমাদের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা ছুটে তবে চাঁদের বুকে কোন বাংলাদেশী কোনদিন পা রাখার কল্পনাও করতে পারবে না।
গবেষণা, উদ্ভাবন, উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা ছাড়া বিদেশে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের নিয়েই সারাজীবন অহংকার করে যেতে হবে, টিকটক ভিডিও বানিয়ে যেতে হবে, একটা টিকটক অ্যাপ্লিকেশন বানানোর মতো ফান্ডিং, সাপোর্ট জোগাড় হবে না।
পাশের দেশের ছোট বাচ্চারা স্কুলেই যখন মহাশূন্যের বুকে হেঁটে বেড়াবার স্বপ্ন দেখবে আমাদের সন্তানরা তখন পত্রিকা পড়ে ভাববে - রুহুল ভাই আসলেই বস, বিসিএসে চান্স পাইছে। রুহুল ভাইয়ের ভালো বিয়া হবে!
#বিসিএস_বিরোধী_নই_সকল_পেশার_গুরুত্ব_অনুধাবন_করুন
©রাফিউজ্জামান সিফাত
*স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ৩৮তম বিসিএসে প্রথম হয়েছেন রুহুল
*ফেরিওয়ালার মেয়ে বিসিএস ক্যাডার, বই কিনতে না পারা মেয়ে হলেন এসপি।
*বিদেশে সংসার সামলে বিসিএস ক্যাডার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
*
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও ভর্তি হতে না পারা ছেলেটি এখন বিসিএস ক্যাডার
*৩৮তম বিসিএস: স্বামী শিক্ষা ক্যাডারে ইতিহাসে প্রথম, স্ত্রী অষ্টম
*কখনো কোচিং করেননি বিসিএস প্রশাসনে প্রথম রুহুল
*হতে চাইলাম শিক্ষক, বানাইলেন ম্যাজিস্ট্রেট
*প্রাথমিকের শিক্ষিকার ছেলে এখন বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডার
*জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পঞ্চমবারের চেষ্টায় বিসিএসে সফল হলেন তৃপ্তি
‘আয়া’ মায়ের ‘হার না মানা’ জীবনযুদ্ধে ছেলে বিসিএস
*দুই বোন একসঙ্গে প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার
গত কয়েকদিনে দেশের সমস্ত প্রধান জাতীয় দৈনিকের আলোচিত সংবাদ বিসিএস সম্পর্কিত সংবাদগুলো পড়লে মনে হবে বিসিএস আলাদিনের চেরাগ। এই মহাবিশ্বে বিসিএসের চেয়ে উত্তম কিছু নেই। ট্র্যাম্পের নির্বাচনী প্রচারনা থেকে শুরু করে, ভারত চায়না সীমানা দ্বন্দ্ব সব হচ্ছে বিসিএস ক্যাডারের পদ নিয়ে।
ধীর ধীরে অবস্থা এমন দাঁড়াচ্ছে বিসিএস নাম নেয়ার আগে কবে যেন ওজু করবার নোটিশ জারি হয়, নামের আগে বলতে হবে মহান বিসিএস।
পঙ্গপালের মতো সবাই ছুটছি বিসিএসে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ হতে প্রস্তুতি চলে বিসিএসের।
কোথাও গবেষণা নেই, উদ্ভাবনী নেই, ব্যবসার বিকাশ নেই, উদ্যোক্তা নেই।
ইউজিসির এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দেশের ৬৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় না। গবেষণার বদলে চলে মুখস্থনির্ভর চাকরিকেন্দ্রিক পড়ালেখা!
৪১তম বিসিএসে আবেদনকারী ৪ লাখ ৭৫ হাজার
সবাই ক্যাডার হতে চায়, অথচ উদ্ভাবন ছাড়া, গবেষণা ছাড়া, উদ্যোক্তা ছাড়া, বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়া, ব্যবসা ছাড়া দেশটা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
দেশের চাকা চালাতে প্রতিটি পেশায় মেধাবীদের প্রয়োজন, যোগ্যদের প্রয়জন।
পঙ্গপালের মতো মেধাবীরা বিসিএসের পিছনে ছুটলে অযোগ্য ব্যাক্তিরা অতি সহজে নির্বিঘ্নে প্রয়োজনীয় পেশাগুলোর মার্কেট দখল করে ফেলবে।
এর পরিনাম হবে ভয়াবহ।
ভুল চিকিৎসায় বিসিএস ক্যডারের স্ত্রীর জীবন বিপন্ন হবে, বিসিএস ক্যাডারের সন্তানের শিক্ষার জন্য মেধাবী শিক্ষকের প্রয়োজন। শিক্ষক ভালো না হলে বিসিএস ক্যাডারের সন্তান তো পরবর্তীতে বিসিএস ক্যাডার হতে পারবেন না!
নষ্ট ব্যাক্তি ব্যাংক দখল করলে চাকুরী শেষে একজন বিসিএস ক্যাডারের সারা জীবনের সঞ্চয় লাপাত্তা হয়ে যাবে।
ব্যবসায় দুষ্ট লোকের আগমন হলে আমাদের সন্তান বিষাক্ত খাবার খেয়ে বড় হবার বদলে বনসাই হয়ে বেড়ে উঠবে।
বিসিএসের বিরোধী আমি নই, প্রচণ্ড পরিশ্রমী এই লম্বা পরীক্ষা মাধ্যমে যারা পাশ করছেন তাদের আমি সম্মান রেখেই বলছি, আমাদের এক্ষুনি আমাদের চাকুরী কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন করার সময় চলে এসেছে।
কেন এই উন্মাদনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, বুয়েট সবাই ছুটছে বিসিএসের পিছনে!
প্রধান কারন, নিরাপদ চাকুরী, বেতন ভালো, পাওয়ার!
এই যদি কারন হয় তবে এরচেয়ে ভয়াবহ দুঃসংবাদ এই দেশের জন্য আর হতে পারে না।
যে ছেলে আজ একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে চাইছে সে কেন নিজেকে অনিরাপদ মনে করছে, তার উত্তর জানা দরকারি।
প্রাইভেট জবে নিরাপত্তা কেন দিতে পারছে না, আজকে এই প্রশ্ন করতে হবে উচ্চকণ্ঠে।
দেশে কেন গবেষক তৈরি হয় না, আমাদের উদ্যোক্তারা কোথায়, তারা কি কি বাঁধার সম্মুখীন হয়, একজন উদ্যোক্তা একশো জনের চাকুরীর সুযোগ তৈরি করতে পারে অথচ আমাদের দেশে উদ্যোক্তাদের অবহেলা অপমান কেন, বারবার করে এর সমাধান বের করে নিয়ে আসতে হবে।
দেশকে বাঁচাতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া অতি জরুরী।
কেবল বিসিএসের পিছনে যদি আমাদের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা ছুটে তবে চাঁদের বুকে কোন বাংলাদেশী কোনদিন পা রাখার কল্পনাও করতে পারবে না।
গবেষণা, উদ্ভাবন, উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা ছাড়া বিদেশে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের নিয়েই সারাজীবন অহংকার করে যেতে হবে, টিকটক ভিডিও বানিয়ে যেতে হবে, একটা টিকটক অ্যাপ্লিকেশন বানানোর মতো ফান্ডিং, সাপোর্ট জোগাড় হবে না।
পাশের দেশের ছোট বাচ্চারা স্কুলেই যখন মহাশূন্যের বুকে হেঁটে বেড়াবার স্বপ্ন দেখবে আমাদের সন্তানরা তখন পত্রিকা পড়ে ভাববে - রুহুল ভাই আসলেই বস, বিসিএসে চান্স পাইছে। রুহুল ভাইয়ের ভালো বিয়া হবে!
#বিসিএস_বিরোধী_নই_সকল_পেশার_গুরুত্ব_অনুধাবন_করুন
©রাফিউজ্জামান সিফাত
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...
-
লোহাগাড়ার রত্নাগর্ভা শিক্ষক দম্পতির ৩ সন্তানই এমবিবিএস পাশ ডাক্তার। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলাধীন আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ এমবি উ...
-
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...
-
Articles, By, B.K Bichitro, Positive Thinking & Attitude can be considered as a special quality for any human being. Can lead hi...