।আধুনিক গণমাধ্যমের আধুনিক সংবাদ মাধ্যম অনলাইন নিউজপোর্টাল। এর বদৌলতে গড়ে উঠেছে অফিসবিহীন অনলাইন নিউজপত্রের প্রতিষ্ঠান । চটকাদার বিজ্ঞাপনে প্রতিনিধি নিয়োগের নামে অনলাইন লেখকদের "সাংবাদিক" পাবলিসিটি বাড়লেও, তাদেরকে কোন রুপ আর্থিক বা সম্মানি দেয় না অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।যার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রেস কার্ড নির্ভর রমরমা প্রতিষ্ঠানের । আর অনলাইন সাংবাদিক নামধারীরাও তাদের মেধা ও যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন নয়।
শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭
।আধুনিক গণমাধ্যমের আধুনিক সংবাদ মাধ্যম অনলাইন নিউজপোর্টাল। এর বদৌলতে গড়ে উঠেছে অফিসবিহীন অনলাইন নিউজপত্রের প্রতিষ্ঠান । চটকাদার বিজ্ঞাপনে প্রতিনিধি নিয়োগের নামে অনলাইন লেখকদের "সাংবাদিক" পাবলিসিটি বাড়লেও, তাদেরকে কোন রুপ আর্থিক বা সম্মানি দেয় না অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।যার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রেস কার্ড নির্ভর রমরমা প্রতিষ্ঠানের । আর অনলাইন সাংবাদিক নামধারীরাও তাদের মেধা ও যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন নয়।
শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭
কালচক্র!♦♦
(বর্ণক্রমিক তিন শব্দে রচিত)
বি.কে
নগরে নগণ্য নাগরিক,
সমস্যা সমাধান সাময়িক।
চলমান চর্চিত চালচিত্র,
মানব মহীয়ান মাত্র।
লোকে লোকারণ্য লোকালয়,
নির্ধারণ নির্মিত নির্ণয়।
সভ্যতা সংস্কৃতি সমাজ,
কল্পিত কলরব কাজ।
রাষ্ট্রে রচিত রম্য,
কাঙ্ক্ষিত কল্পনা কাম্য।
যথার্থ যথাযথ যতন,
মহত্ত্ব মহানুভব মতন।
রাজকূট রাজেন্দ্র রাজ্য,
নীতি নৈতিকতা নৈরাজ্য।
আদর্শ আজন্ম আদান,
পরীক্ষিত পরিকল্পনা প্রদান।
হত্যা হরণ হতাহত,
অন্যায় অনবরত অবিরত।
ক্ষমতা ক্ষণিক ক্ষত,
গর্জন গহীনে গত।
শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
ডার্ক ওয়েব'' থেকে ব্লু হোয়েল" গেম ": পেছনের গল্প!
"ডার্ক ওয়েব'' থেকে ব্লু হোয়েল" গেম ": পেছনের গল্প!
ডার্ক ওয়েব, যেটার মাধ্যমে, সময়ের আলোচিত ব্লু হোয়েল গেম খেলা হয়। এটা এক প্রকার সাইবার ক্রাইম।
। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেটের এমন একটি অংশ, যেখানে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অথবা ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এর জন্যে লাগে বিশেষ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন। যেমন টর এবং অনিয়ন। তবে সেসবের ডিটেইলসে আর যাচ্ছি না। বাংলাতেই অনেক ভালো ভালো আর্টিকেল আছে, খুঁজে পড়ে নিয়েন।
কী থাকে ডার্ক ওয়েবে?
প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত, কী থাকে না ডার্ক ওয়েবে! জাল পাসপোর্ট চান? পেয়ে যাবেন। পেশাদার খুনী চান? পেয়ে যাবেন। পাইরেটেড বই, সিডি লাগবে? কোনো ব্যাপারই না! আর দুর্ধর্ষ সব হ্যাকিং টুল তো খুবই সহজলভ্য! যেকোন ধরণের ড্রাগস, চলবে? আছে! খুন, টর্চার, রেপ, এনিমেল কিলিং, জ্বী সবই আছে তাতে।
এসব তো ছেলেখেলা। আরো গভীরে ঢোকা যাক। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, অস্ত্র বেচাকেনা, এসবও কিন্তু ডার্ক ওয়েবে আছে। তবে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার এসবের হদিস পায় না, আপনি যদি মনে করেন যে ডার্ক ওয়েবে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াবেন, কেউ কিছুই টের পাবে না, বড় ভুল করবেন। বিশাল বিপদে পড়ে যাবেন। এই তো কিছুদিন আগেই ডার্ক ওয়েবের কুখ্যাত চোরাই বাজার সিল্ক রুট বন্ধ হয়ে গেলো। এ পর্যন্ত পড়ে হয়তো আপনি খুব এক্সাইটেড হয়ে গেছেন। ভাবছেন, যাই ঢুকে দেখি ব্যাপারটা কী! একেবারে ধুন্ধুমার লাগিয়ে দিই! আসলে ব্যাপারটা সেরকম না।
ডার্ক ওয়েব অনেক স্লো একটি নেটওয়ার্ক। এখানে একটি সাধারণ মানের ভিডিও বাফার হতেও অনেক সময় লেগে যায় মাঝে মধ্যে। আর নিষিদ্ধ জিনিসের সমাহার আছে বলেই যে তা একদম তাকে সাজিয়ে রাখা আছে এমনটাও না ব্যাপারটা। ডার্ক ওয়েব নিয়ে প্রচলিত আছে নানারকম মিথ। এগুলোর কিছু সত্য, কিছু অর্ধ সত্য, কিছু মিথ্যা। এগুলো নিয়ে ব্লগে, ফোরামে নানারকম আলোচনা চলে, কিন্তু সত্যিকারের সত্যিটা কিছুটা অস্পষ্টই এখনও।
আসুন জেনে নেই এমন কিছু মিথের কথা।
রেড রুম–
রেড রুম হলো ডার্ক ওয়েবের কিছু গোপন আস্তানা। এখানে মানুষকে টর্চার, খুন, রেপ ইত্যাদির লাইভ স্ট্রিমিং হয়। কাউকে কাউকে ধরে আনা হয়, এবং কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় নিজেকে রেড রুমে সঁপে দেয় অতিশয় দারিদ্রের কারণে, পরিবারকে বাঁচাতে। এসব লাইভ স্ট্রিমিং নাকি মানুষ পয়সা দিয়ে দেখে। এ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে। কিন্তু এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর যিনি নিজের চোখে এসব দেখেছেন। সবাই অমুক তমুকের বরাত দিয়ে বলে। আর ডার্ক ওয়েব নেটওয়ার্কের যে গতি, তাতে রেডরুম চালানো অবাস্তব কল্পনা বলেই মনে হয়।
মারিয়ানাস ওয়েব–
কথিত আছে মারিয়ানা ওয়েব হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের গভীরতম জায়গা। সেখানে অতিশয় এক্সপার্ট হ্যাকাররা ছাড়া কেউ যেতে পারে না। খুব কম লোকই এর সন্ধান জানে, ইত্যাদি। এই মারিয়ানাস ওয়েব নাকি ইলুমিনাতিদের দ্বারা প্রচলিত, এখানে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন সত্যগুলি লিপিবদ্ধ আছে, এটি নিউরাল নেটওয়ার্ক দ্বারা তৈরি, ইত্যাদি। বেশ চমকপ্রদ একটি গল্প, তবে এর কোনো সত্যতা নেই তা নিশ্চিত হয়েই বলা যায়।
বিশালত্ব-
বলা হয়ে থাকে, আমরা সাধারণভাবে যে ওয়েব দেখি, তা ইন্টারনেটের মোট আকারের মাত্র দশ শতাংশ, বাকিটুকু হলো ডার্ক ওয়েব। এটা একদমই ভুল কথা। ডার্ক ওয়েব আদতে ইন্টারনেটের ক্ষুদ্র একটি অংশ।
আর সবচেয়ে বড় কথা, এখন যা বলবো তা পড়ার পর আপনি এতক্ষণ যা পড়েছেন তা মিথ্যে মনে হতে পারে! ডার্ক ওয়েব মানেই নৃশংস খুনী, বর্বর ক্রিমিনাল আর ড্রাগসের আস্তানা নয়। এখানে আপনি রেডিও শুনতে পারেন, ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনি টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সবখানেই ঢুকতে পারবেন। ফেসবুক থেকে ইউটিউব সব!
মুষড়ে পড়েছেন? এবার তবে শুনুন হতভাগী ডেইজির গল্প। এই একটি ঘটনা স্তম্ভিত করে দিয়েছে মানুষকে। বুঝিয়েছে ডার্ক ওয়েবের অন্ধকারের ঘনত্ব, যেখানে বাস করে শয়তানের ঘনিষ্ঠতম দোসরেরা।
এটি একটি ভিডিও। এর একটি বাহারি নামও আছে। ডেইজিস ডেস্ট্রাকশন। কী এই ডেইজিস ডেস্ট্রাকশন? নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কারণ কেউ বলে এটি একটি সিঙ্গেল ভিডিও, কেউ বলে ভিডিও সিরিজ, যেখানে কিছু নাবালিকাকে অবর্ণনীয় অত্যাচার এবং যৌন নীপিড়ন করা হয়। তাদের বয়স হলো ১৮ মাস, ১০ এবং ১১।
আপনি যদি ডেইজিস ডিস্ট্রাকশন দেখে থাকেন, আপনি আইন ভেঙেছেন। জ্বী, এটা দেখা নিষিদ্ধ।"ডার্ক ওয়েব'' থেকে ব্লু হোয়েল" গেম ": পেছনের গল্প!
ডার্ক ওয়েব, যেটার মাধ্যমে, সময়ের আলোচিত ব্লু হোয়েল গেম খেলা হয়। এটা এক প্রকার সাইবার ক্রাইম।
। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেটের এমন একটি অংশ, যেখানে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অথবা ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এর জন্যে লাগে বিশেষ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন। যেমন টর এবং অনিয়ন। তবে সেসবের ডিটেইলসে আর যাচ্ছি না। বাংলাতেই অনেক ভালো ভালো আর্টিকেল আছে, খুঁজে পড়ে নিয়েন।
কী থাকে ডার্ক ওয়েবে?
প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত,
শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭
Tunemytour.com নিয়ে এলো অনলাইনভিত্তিক ট্যুর গাইড ও হোটেল বুকিং ব্যবস্থা
Tunemytour.com নিয়ে এলো অনলাইনভিত্তিক ট্যুর গাইড ও হোটেল বুকিং ব্যবস্থা।
বিশেষ প্রতিনিধি সাজ্জাদ: ভ্রমনপিপাসুদের জন্য দারুণ সু-খবর। Tunemytour.com নিয়ে এলো ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য অনলাইনভিত্তিক ট্যুর গাইড এবং বুকিং ব্যবস্থা।Tunemytour.com পরিচালিত হয় একটি সুদক্ষ টিমেরমাধ্যমে।মূলত ভ্রমণপিপাসুদের জন্য Tour, Hotel, Car Bookingইত্যাদি সার্ভিস নিয়ে কাজ করে থাকে ।
Tunemytour.com প্রতিষ্ঠানটি গত ১৬-ই ডিসেম্বর ২০১৫ ইং হতে যাত্রা শুরু করে ।
আমাদের দেশটা যে কতো সুন্দর তা বুঝতে হলে ঘুরতে হবে। দেশের পথে ঘুরতে গিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের নান সমস্যা সৃষ্টি হয় । তা হল যে স্থানে যাবে তার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু যানে না, কোথায় থাকবে,কি খাবে,কিভাবে যাবে, কোথায় বেড়াবে ইত্যাদি । ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা না ভেবেই তাঁরা অজানা পথে পারি দেয়। তাই ‘Tunemytour.com’ সেই সব ভ্রমন পিপাসু মানুষের জন্য নিয়ে এসেছেঅনলাইনভিত্তিক ট্যুরইজম সম্পর্কে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের তথ্য, হোটেল বুকিং, পর্যটন স্থান সমুহের তথ্য ও বুকিং করার ব্যবস্থা ।
‘Tunemytour.com’ভ্রমনপিপাসু মানুষদের কম খরচে বেড়ানোর সুযোগ করে দিতে চায়। ‘tunemytour.com’-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে‘খরচ হোক কম, ভ্রমণ হোক বেশি’। তারা চায়‘টাকা যেন কারও ভ্রমণে বাধা না হয়’ খরচ যত কমানো যায় সে চেষ্টা করে থাকে ।
নিরাপত্তার প্রসঙ্গে বললেন, ‘tunemytour.com’-প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন।
Tunemytour.com এর বর্তমান অফিস হল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম এর ৪ নং গেটের দক্ষিণ পাশে, কিংশুক বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলা।
আপনাদের সুবিদার জন্য Google play store থেকে Tunemytour.com এর Apps রয়েছে।
এখান Click করুন ডাউনলোড ।
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭
শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭
ভিত্তিক রাষ্ট্র কাদের সৃষ্টি। কাদের সংস্কার প্রয়োজন
ভিত্তিক রাষ্ট্র কাদের সৃষ্টি। কাদের সংস্কার প্রয়োজন
লিখেছেন:বি.কে বিচিত্র

কেবল উপমহাদেশের কথাই যদি বলি, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্থান, শ্রীলংকা, ভূটান, মালদ্বীপ, নেপাল…। এই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চারটি রাষ্ট্র নিজেকে ‘মুসলিম’ বলে পরিচয় দেয়। বাংলাদেশ মালদ্বীপ পাকিস্তান আফগানিস্থান- এখানে আফগানিস্থান বাদে শরীয়া শাসন বা ইসলামী খেলাফত বলতে যা বুঝায় তা চালু না থাকলেও পুরোপুরি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র বললে অত্যুক্তি হবে না। আফগানিস্থানের শাসন ব্যবস্থার নাম ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র’। শতভাগ মুসলমান দেশ আফগানিস্থানে পাথরের বুদ্ধ মূর্তিগুলো পর্যন্ত তালেবানদের আক্রশ থেকে রেহাই পায়নি। মালদ্বীপের কথাই যদি বলি, এই দেশটিও নিজেকে ‘ইসলামী দেশ’ বলে দাবী করে। মালদ্বীপে অন্য কোন ধর্ম চর্চা করা নিষিদ্ধ। কোন মুসলিম মালদ্বীপে থেকে ধর্মান্তরিত হতেও পারবে না। অপূর্ব সুন্দর এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি কতখানি ধর্মীয় অসহিষ্ণু এ থেকে বুঝায় যায়। পাকিস্তান বাংলাদেশের ইতিহাস প্রায় একই রকম। পাকিস্তানে ৯৫ ভাগই মুসলমান। বাকী ধর্মীয় উল্লেখযোগ্য সম্প্রদায় ১.৫ খ্রিস্টান এবং এক পার্সেন্ট হিন্দু। খ্রিস্টান ও হিন্দু সম্পত্তি বেহাত করার জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্র মুসলিমদের উশকানি দিয়ে রেখেছে তাদের ইসলামী আইনে। জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানের মুসলমানদের শরীয়া আইনের আওতায় নিয়ে আসে। এই শরীয়া আইন খ্রিস্টান এবং হিন্দুদের উপরও কথিত নবী অবমাননায় প্রয়োগ হয়। পাকিস্তান থেকে খ্রিস্টান হিন্দুদের সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশের সরকারী পরিচয় গণপ্রজাতন্ত্র হলেও এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সেই ৭২ সালেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে নিজেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘মুসলিম রাষ্ট্র’ বলে ঘোষণা করেছে। পাকিস্তান আমলে এখানে এনিমি পোপার্টি আইন চালু করে হিন্দু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিলো। স্বাধীন বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকার সেই আইনকে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ নাম দিয়ে বহাল রেখে দিয়েছে যাতে পাকিস্তান আমলের মত একইভাবে হিন্দু সম্পত্তি বেহাত হতে পারে। এদেশের হিন্দুরা যাতে সম্পত্তি করতে ভয় পায়, নিজেদের ভিত্তি দুর্বল ও অনিশ্চিত মনে করতে পারে তার সব চেষ্টাই দেশ স্বাধীন হবার পর করা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের বলা হয় দ্রুত বিলুপ্ত প্রায় এক সম্প্রদায়। এখানে তাদের ধর্মীয় উপসনালে হামলা করা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। মূলত ‘বাঙালী মুসলমান’ জাতীয়তাবাদই এখানে চলে আসছে। এই জাতীয়তাদে এদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠিগুলোও নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে। এটাই কারণ যে বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মুসলিম বসতি।
এবার আসেন উপমহাদেশর অমুসলিম অধ্যষিত দেশগুলোর কথা। নেপালের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়। এরপরই আছে বৌদ্ধরা প্রায় ১৫ শতাংশ। ৭ শতাংশ মুসলিমও নেপালে বসবাস করে। তবু নেপালের সংবিধান ‘ধর্মনিরপেক্ষ’! নেপালে কোন হিন্দু আইনে রাষ্ট্র শাসিত হয় না। নেপাল থেকে সংখ্যালঘু মুসলমান বা বৌদ্ধদের দেশান্তরিত হবার কোন রেকর্ড নেই। শ্রীলংকা সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের দেশ। তবু শ্রীলংকা নিজে ‘বৌদ্ধ দেশ’ বলে নিজেকে পরিচয় দেয় না। শ্রীলংকা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত হয়। ধর্মীয় পরিচয়ে এখান থেকেও কোন নাগরিকের পার্শ্ববর্তী দেশে পালানোর কোন ইতিহাস নেই। নেই কোন রাষ্ট্রধর্ম। একইভাবে ভূটানের কোন রাষ্ট্রধর্ম নেই। এখানে ৯০ ভাগই বৌদ্ধদের বাস। ভূটান থেকে সাম্প্রদায়িক হামলা মামলায় কোন অবৌদ্ধ দেশে ছেড়ে গেছে এমন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনাও নেই। সর্বশেষ ভারত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বসবাসকারী দেশ। ভারতে হিন্দুরাই সংখ্যাগরিষ্ট। পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মের মানুষই এখানে পাওয়া যায়। প্যালেস্টাই থেকে মুসলমানদের তাড়ানো ইহুদীদেরও ঠাই এখানে হয়েছিলো। ভারতের স্বাধীনতার এতগুলো বছরেও কোন সংখ্যালঘুর নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়ার কোন নজির নেই। আশেপাশে ‘ইসলামী দেশ’ থাকার পরও ভারতীয় মুসলমানদের সেসব ইসলামী দেশে অভিবাসী হবার নজির নেই। ভারতের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ। ভারত কোন হিন্দু আইনেও পরিচালিত হয় না। ভারতের শাসনব্যবস্থান গণতান্ত্রিক। উপমহাদেশের মুসলিম দেশগুলো যেমন বাংলাদেশ পাকিস্তান বরাবর ভারতে মুসলিম নির্যাতনের দাবী করে আসলেও ভারত থেকে এইসব দেশে কোন মাইগ্রেসনের ইতিহাস নেই। কিন্তু উক্ত দুই ধর্মীয় দেশ থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের দেশছাড়ার গ্রাফটা লজ্জাজনক।
শুধুমাত্র উপমহাদেশের উদাহরণ দিয়েই “ধর্মীয় রাষ্ট্র’ কারা চালায় তা প্রমাণ করা যায়। সারা বিশ্বের তুলনা দিলেও একই চিত্র মিলবে। মাধ্যপাচ্যের ইসলামী দেশগুলোর মাঝে একমাত্র ‘ইহুদী রাষ্ট্র’ ইজরাইল। এই দেশে মুসলিমদের বসবাস নিশ্চিত হয়েছে। মুসলমানরা সেখানে মসজিদ থেকে মাইকে আজান দেয়। যে ৭ শতাংশ মুসলিম ইজরাইলে বসবাস করে তারা রাতদিন ইহুদীদের ধ্বংস কামনা করলেও একজনকেও দেশ ছাড়তে হয় না। অন্যদিকে সৌদি আরবে অমুসলিমদ
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...
-
লোহাগাড়ার রত্নাগর্ভা শিক্ষক দম্পতির ৩ সন্তানই এমবিবিএস পাশ ডাক্তার। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলাধীন আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ এমবি উ...
-
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...
-
Articles, By, B.K Bichitro, Positive Thinking & Attitude can be considered as a special quality for any human being. Can lead hi...