বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

আকাশের খুব কাছে নীলগিরি।

নীলাদ্রি শেখর । বান্দরবান প্রতিনিধি।♦♦আকাশ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছা পূরণ করতে চাইলে যেতে হবে নীলগিরি।নীলগিরি পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে আকাশ নিজে এসে ধরা দেবে আপনার হাতে। মাথার উপর নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা খেলা করে নীলগিরি পাহাড়ে। অপরূপ সৌন্দর্য্যের এক নীলাভূমি এই নীলগিরি। নীলগিরির কারণে বান্দরবানকে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলা হয়।শীতকাল এবং বর্ষাকাল দুই ঋতুতেই এইখানে ভ্রমণে অনেক বেশি আনন্দ। তবে বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশী মজা পাওয়া যায়। কারণ এই সময়ে মেঘের অপরূপ নৃত্য দেখতে দেখতেই দিন বয়ে যায়।

জেলা সদর থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের চূড়ায় নীলগিরির অবস্থান। অল্প সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত পর্যটন স্পট নীলগিরি সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা পথে বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়ি কিংবা জীপ-মাইক্রো বাসে নীলগিরিতে যাওয়া যায়।

দুর্গম পাহাড়ে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে আকাশ নীলা, মেঘদূত, নীলাতানা নামে পর্যটকদের জন্য সকল সুবিধা সম্বলিত তিনটি কটেজ। কটেজগুলো রাত্রি যাপনের জন্য ভাড়া পাওয়া যায় এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক একটি রেস্টুরেন্টও। পাহাড়ি পথ পেরিয়ে নীলগিরিতে পৌঁছেই রেস্টুরেন্টে পেট পুরে খাওয়া যায়।

নীলগিরি যেন প্রকৃতির এক অনন্য দান। নীলগিরির চূড়া থেকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় কেওক্রাডং, প্রাকৃতিক আশ্চর্য বগালেক, কক্সবাজারের সমুদ্র, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের আলো-আঁধারি বাতি এবং চোখ জুড়ানো পাহাড়ের সারিও দেখতে পাওয়া যায়।

নীলগিরির কাছাকাছি রয়েছে বেশ কয়েকটি ম্রো উপজাতীয় গ্রাম। নীলগিরির একদম কাছে কাপ্রু পাড়া, আপনি সহজেই পরিদর্শন করে ম্রো আদিবাসী সম্পর্কে জানতে পারবেন। নীলগিরিতে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প। ফলে এখানে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। আপনার যে কোন প্রয়োজনে সেনা সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।

নীলগিরির রাতের সৌন্দর্য আরো হতবাক করে। চারিদিকের হরিণ, শিয়ালসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর ডাক আর পাহাড়গুলোর আলো-আঁধারির খেলা দেখে আপনার জীবনকেই যেন রহস্যময় বলে মনে হবে। যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্য রাতের নীলগিরি হতে পারে উৎকৃষ্ট স্থান। নীলগিরি যাওয়ার পথে আপনি দেখে যেতে পারেন বান্দরবানের অপার সৌন্দর্যময় শৈলপ্রপাত। এখানে আদিবাসী বম তরুণীরা আপনাকে স্বাগত জানাবে। এখান থেকে কিনে নিতে পারেন আদিবাসীদের হাতের তৈরি নানা পণ্য। এর পরই চোখে পড়বে স্বপ্নচূড়া। স্বপ্নচূড়া থেকেও বান্দরবানের অবাক করা সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

স্বপ্নচূড়ার পরই বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুকে পৌঁছে যাবেন আপনি। চিম্বুকের সুনাম সারা দেশব্যাপী। এখানে রয়েছে টি এন্ড টির বিশাল টাওয়ার, উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করেছে সকল সুবিধা সম্বলিত রেস্ট হাউজ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পুরনো একটি রেস্ট হাউজও রয়েছে এখানে।
চিম্বুকে পৌঁছেই স্থানীয় আদিবাসীদের হাতের তৈরি এক কাপ চা খেয়ে নিজেকে চাঙ্গা করে রওয়ানা দিতে পারেন নীলগিরির দিকে। অথবা এর একটু দূরেই সেনাবাহিনী পরিচালিত ক্যান্টিন রয়েছে। এখানে আপনি সেরে নিতে পারেন দুপুরের খাবার অথবা হালকা খাবার।
নীলগিরির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এখান থেকে চোখে পড়ে বান্দরবানের উপর দিয়ে বয়ে চলা সর্পিল সাঙ্গু নদী। এখান থেকে মনে হবে সাঙ্গু নদী আপনার খুব কাছে। সাঙ্গু নদীর অপরূপ সৌন্দর্য এখান থেকে উপভোগ করা যায়। সাঙ্গুর বুক চিরে বয়ে চলা ছোট ছোট নৌকাগুলোকে দেখলে দূর থেকে মনে হবে স্বপ্নের কোন ডিঙি বয়ে চলছে সাঙ্গু নদী দিয়ে।
ভিআইপিদের সরাসরি অবতরণের জন্য এখানে নির্মাণ করা হয়েছে হেলিপ্যাডও। তবে সাধারণ দর্শনার্থীদের হেলিপ্যাডে প্রবেশ করা নিষেধ। নীলগিরিতে সৃষ্টি করা হয়েছে ফুলের বাগান,পাহাড়ের উপরে সুন্দর এই ফুলের বাগানও অবাক করার মত।

নীলগিরিতে যাওয়ার জন্য বান্দরবান হিলবার্ড এর সামনেই রয়েছে নানা ধরনের গাড়ি। আপনার পছন্দের গাড়িটি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন নীলগিরিতে। তবে কটেজ বুকিং এর জন্য আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে

মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

বান্দরবানে বাবার প্রহারে কন্যার মৃত্যু।





সিটিজি২৪বিডি ডেক্স::বান্দরবানে বাবার মারধরে মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নাম না আসাকে কেন্দ্র করে সজল কান্তি দাশ ও রুপালী রানী দাসের বড় মেয়ে মুন্না রানী দাশ (১২) কে পিতা সজল কান্তি দাশ মারধর করে। ২৬ ই ডিসেম্বর তার মা তাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে রেজাল্ট দেখতে যান। এসময় হঠাৎ সে রাস্তায় পড়ে যায় তারপর কয়েক জন মুন্নাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে চট্রগ্রাম নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পরে তাকে চট্রগ্রাম নেওয়া হলে রাত প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে তাকে মৃত ঘোষনা। রাতে শহরের কেন্দ্রিয় শ্বসানে তার দাহ সম্পর্ণ করা হয়।
আরো জানা গেছে, মুন্না রাণী দাশ বান্দরবান শহরের ডনবস্কো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থকে এবার ৫ম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। গত ২৪ তারিখ অনুষ্ঠিত বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর উর্ত্তিণ ভর্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেন।
তবে এদিকে মুন্না রাণী দাশের পিতা সজল কান্তি দাশ দাবী করেন, মুন্না রাণী দাশ রাতে তার নিজ বাসার সিঁড়ি থেকে নামার পথে পা মছকে পড়ে গুরুত্ব আহত হয়।
এদিকে মুন্না রাণী দাশ এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বান্দরবান শহরের ডনবস্কো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার স্ট্যাটাসে লিখেন, শিশুটিকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে, আমি অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি।


প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি রায়হানের জীবন।

♦♦রায়হান একজন উজ্জিবক।চকরিয়ার ছেলে।জন্মের সময় সবার মত ওরও দুটো বলিষ্ঠ হাত ছিল।মার্বেল খেলতো।মাকে এটা ওটা বাড়িয়ে দিত।বই হাতে নিয়ে স্কুলে যেত।অনেক অভাব ছিল সংসারে,বাবা নেই।মা একাই চালাই তবুও মনে সুখ ছিল।একদিন হঠাৎ নেমে এলো বিভীষিকা। প্রচন্ড বৃষ্টি  হলো।বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হলো।রাস্তায় ভেঙ্গে পড়লো বড় একটা গাছ।রায়হান তখন কিশোর।বৃষ্টি থেমে যাবার পর সে দেখলো ভাঙ্গা গাছের ভিতরে আটকে আছে একটি মুরগী।তার খুব মায়া হলো সে ধীরে ধীরে এগুলো মুরগীটাকে উদ্ধার করতে।উদ্ধার  করা প্রায় শেষ তখনি ঘটলো অঘটন একটি কারেন্টের ছিড়া তার পরেছিল,সেই তারে রায়হানের হাত পেচিয়ে গেল।সেই এক্সিডেন্টের কারণে রায়হান তার হাত দুটো হারিয়েছে তবে সে জীবনের কাছে হার মানেনি।সব সময় হাস্যোজ্জল।সে ঐ কবজি হাতে লেখে।কি সুন্দর  হাতের লেখা।সেই হাতের কারনে কখনো পড়ালেখা বন্ধ করেনি। দমাতে পারেনি তার আত্মশক্তির  অনুভূতি।  এভাবে সে এসএসসি পাস করল। পাস করার পর যখন কলেজে উঠল,  তখন ব্রিটিশ কাউন্সিল  পরিচালিত এ্যাকটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং থেকে  ট্রেনিং নিয়ে একজন এ্যাকটিভ সিটিজেনস সদস্য হয়। সেখানে ট্রেইনারা তাকে আবিষ্কার করল একজন উজ্জীবক  হিসেবে। তার মেধা, শ্রম   প্রচেষ্টা  আত্মশক্তির দ্বারা নিজেকে তুলে এনেছে।সাফল্যের সাথে এইচ এস সি পাস করেন এই বছর।তিনি একজন ব্লগার। ব্লগ লিখেন ব্লগবিডি.বিডিনিউজ২৪.কম এ। প্রতিষ্ঠাতা ও ডেভলপার হিসেবে কাজ করছেন kemnejabo.com ওয়েবসাইটের।  ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। সম্প্রতি তিনি বান্দরবানে আসেন একজন ট্রেইনার হিসেবে ট্রেইন দিতে  ""এ্যাকটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ" কর্মশালায়।  কথা হয় তার সাথে তিনি বলেন, প্রচেষ্টা, প্রত্যাশা,  ইচ্ছা থাকলে প্রতিবন্ধকতা বাঁধা হতে পারে না। আমি সকলের ভালবাসা চাই। নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। রায়হানের জীবন থেকে অনেক কিছু শিখার আছে।

নিধি(টাকা)
                              বিকাশ আলফ্রেড
               
নিধি তোমাকে পাঠিয়েছে মনে হয় বিধি
পৃথিবীর সকল প্রান্তে দেখি তোমাকে নিরবধি
নিধি পৃথিবীর যতকিছু যত আছে জাতি
সবারি সাথে দেখি তোমারি সম্প্রীতি ।
নিধি তোমার জন্য পরায় মালা অক্কা
রক্ত দেব তবু তোমাকে করব রক্ষা।
নিধি তোমার জন্য উঠি বসি তোমার জন্য হাসি
তোমার জন্য বিনা দোষে হয় অনেকের ফাঁসি । নিধি তুমি ধর্ম,তুমি কর্ম,  তুমি মহানীতি
তুমি বিহীন ঠিক  জীবনের পায়না খুঁজে গতি।
তুমি দেশের অবকাঠামো তুমি দেশের রাজনীতি
তুমি নাকি জীবন মরণ তুমি সকলের সাথী ।
নিধি তুমি নাকি চাকুরি ক্ষেত্রে আসল সার্টিফিকেট
তুমি বিহীন সিনেমার হলে দেয়না তো টিকেট। তুমি বেতনের অতিরিক্ত,তুমি আসল জিনিস
তুমিবিহীন দেশটাকে আর করবে কেবা ফিনিস
?
তুমি চোখে আদরের পানি,তুমি আন জিহ্বায় পানি।
তুমি বিহীন খাওয়ার পরে হোটেল মালিক কানটা দেয় টানি।
তোমার দ্বারা করছে তারা আয়ত্ত্ব এই দেশ
তোমার জন্য করছে  বর্জন লাজলজ্জা হেৃষ।
তোমার জন্য মানুষ তথা চলে যে সমাজ
তোমার জন্যই করে বসে অধর্মীয় কাজ।
তোমার জন্য চালায় চুরি,চালায় যে গুলি
তোমার জন্য শূন্যে উঠে অনেকের মাথার খুলি তোমার জন্য করছে পাপ, করছে সর্বনাশ
তোমার জন্য ধরে চলে আধার জীবনের পাশ।
তোমার জন্য মারামারি,কাটাকাটি,খুনাখুনি হয়
তুমিবিহীন এসব কিছু হয় না নিশ্চয়  ।
তুমি ছাড়া পদে পদে জীবনের ব্যর্থতা
তুমি ছাড়া জীবনের নেইতো সার্থকতা।
তোমার জন্য বিদ্যার্জন, সুনাম অর্জন হয়
এজন্য তোমায় ধন্যবাদ দেয় যে নিশ্চয় ।
তুমি আলো, তুমি আধাঁর, তুমি সুখ দুঃখ
তোমার অভাবে অনেক জীবন দেখছে মৃত্যুমূখ।
তুমি আনন্দ,তুমি বেদনা তুমি আশার আলো
তুমি ছাড়া নিমিষেই  জীবন  হয়ে য়ায় কালো।
তুমি ছাড়া জীবনে যে নেমে আসে অন্ধকার
তাই জীবনে সবচেয়ে বেশী তোমাকে দরকার।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...