বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১

পাপীকে নয়,পাপকে ঘৃণা কর।-সুমন মজুমদার।

 পাপীকে নয়,পাপকে ঘৃণা কর।

*****************************


এই নশ্বর পৃথিবীতে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়,তা জেনেও আমরা সবাই  যে যার ইচ্ছেমত দিনাতিপাত করছি। কেউ কুড়েঁঘরে,কেউ দালানকোটায় কেউ বা আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে। যাঁরা দালান কোটা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসবাস করে  তারাও মানুষ, যারা মাটির ঘর বা কুঁড়েঘরে বসবাস করে তারাও মানুষ পার্থক্য শুধু জীবনধারন বা বসবাসের ধরনে। এ পার্থক্যটুকু কেন হয়? একটু চিন্তা করলেই তা সকলের কাছে বোধগম্য হবে। পার্থক্য শুধুমাত্র আয়ের উৎসে। যারা দালান কোটা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসবাস করে তারা হয়তো অধিকাংশই প্রভাবশালী নেতা বা বড় ব্যবসায়ী। তাদের কাছে যারা নিম্নশ্রেণীর লোক এবং যারা  মাটির ঘর বা কুঁড়ে ঘরে বসবাস করে তাদের অস্তিত্ব নগণ্য। ফলে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়,  ঘৃণার জন্ম নেয় এবং সর্বোপরি পারস্পরিক সম্পর্ক ও সম্মানবোধ কমে যায়, নিম্নশ্রেণির ভালো মানুষ গুলোর দৃষ্টিভঙ্গিও বিগড়ে যায়, তারাও তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে চায়,ফলে তারা বিভিন্ন পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যায়, ফলে সমাজ তথা দেশে নেমে আসে অশান্তি,  বিরাজ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও অরাজকতা। কোন মানুষ জন্ম থেকেই পাপী হয়ে জন্মায় না,পরিবেশ  ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সে পাপ কাজ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু আমরা একবারের জন্যও ভাবিনা একটা পাপকাজ  হাজারো পাপকাজের জন্ম দেয়। আমরা সবসময় যে পথে সহজে অর্থ উপার্জন করা যায় সেই পথটাই বেছে নিই। যারা বৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে তাদের অভাব বেশি,আর যারা অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে তাদের অভাব নেই বললেই চলে এটাই বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপট। কথায় আছে,' পাপ বাপকেও ছাড়ে না'। এই চিরন্তন সত্য কথাটা আমরা বেমালুম ভুলে যায়।  আমরা একবারের জন্যও চিন্তা করি না যে পথে আমরা অর্থ উপার্জন করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছি সেটা কী ঠিক পথ নাকি ভুল পথ? লোভ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে। যেকোন মানুষ যদি  লোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে সমাজ তথা দেশে পাপ কাজ অনেকাংশেই কমে যাবে, সমাজে ফিরে আসবে শান্তি, কমে যাবে সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ড, সর্বোপরি দেশ পাবে একটা উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি। তাই দেশের করোনার এ ক্রান্তিলগ্নে সুন্দর সমাজ ও দেশ গঠনে ব্রতী  হয়ে সকলকে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।

সুমন মজুমদার।

রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা, সব শিশুদের অন্তরে।-সুমন মজুমদার।

 ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা,

 সব শিশুদের অন্তরে। 

********************************


আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ চিরসত্য সত্য বাণীটি সম্পর্কে আমরা সবাই ওয়াকিবহাল। একটা শিশু ভূমিষ্ঠ হবার আগ পর্যন্ত ১০ মাস ১০দিন তার মায়ের গর্ভে ধীরে ধীরে বড় হয়। চিকিৎসক তথা পুষ্টি বিজ্ঞানীরা গর্ভবতী মায়েদেরকে গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে পরামর্শ  দিয়ে থাকেন যাতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ স্থায়ীভাবে গঠিত হয়,সরকারও গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যত্নশীল হন শুধুমাত্র একজন মা ও শিশু যেন শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকে। একজন শিশু কোন কিছু তার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন শিখেনা বা শিখতে পারে না। সে যখন ভূমিষ্ট হয়ে  পৃথিবীর আলোর সংস্পর্শে আসে তখন তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কলেবর বৃদ্ধি পায়, সে ধীরে ধীরে কথা বলতে শিখে, হামাঁগুড়ি দিতে দিতে হাঁটতে শিখে,  মা,বাবা ডাকতে শিখে, খেলাচ্ছলে বিভিন্ন কিছু চিনতে শিখে,  এ সময়  মায়ের ভুমিকা  অপরিসীম। তার বয়স যখন পাঁচ বছর অতিক্রম করে তখন সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তির উপযোগীতা লাভ করে এবং তখন থেকে শুরু হয় তার শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপ। প্রত্যেক কোমলমতি শিশুদের মাঝে কিছু কিছু প্রতিভা সুপ্ত অবস্থায় থাকে যা বিকশিত করার জন্য মায়েদের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি স্থাপনের মাধ্যমে সরকার ও কাজ করে যাচ্ছেন। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কলেবর বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির মানোন্নয়ন তথা শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে শ্রেণিকে চিত্তাকর্ষক ও নান্দনিক করে তোলার জন্য প্রতি বছর বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করে থাকেন। নরম মাটিকে যেমন বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন ও চিত্তাকর্ষক বস্তুতে রুপান্তরিত করা যায় ঠিক তেমনি একজন কোমলমতি শিশুর সুপ্ত প্রতিভাকেও বিকশিত করা যায়। এই কাজে একজন মা তথা অভিভাবকের চেয়ে একজন শিক্ষকের ভুমিকা অপরিসীম। কিন্তু করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকের পক্ষে অধুনা সে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে,  এ অবস্থায় একজন শিশুর সার্বিক বিকাশ সাধনে একজন মা তথা অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত। 
লেখকঃ সুমন মজুমদার 
সহকারি শিক্ষক, উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম। মোবাইল ; ০১৩০৫৯৬১৪৩৬

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...