মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭

মানব চরিত্র ও আমাদের সমাজ বাস্তবতা


মানব চরিত্র ও আমাদের সমাজ বাস্তবতা

প্রতেকটা গোষ্ঠী বা কমিউনিটির কিছু গোষ্ঠীগত ভালো মন্দ দিক আছে। সমাজসেবার ক্ষেত্রে যেমন রয়েছে ভালো তেমনি আছে খারাপ মানুষের অভাব নাই। প্রত্যেকের একটি আলাদা বৈশিষ্ঠ বিদ্যমান আছে। যেমন শিক্ষকের রয়েছে শ্রেণিগত ভাল-মন্দ বৈশিষ্ট্য। শিক্ষার্থীদেরও তেমনি রয়েছে কিছু নিজস্ব ধরনের ভাল-মন্দ বৈশিষ্ট্য। নারীপক্ষের রয়েছে কিছু বিশেষ নারীসুলভ সদগুণ বা বৈশিষ্ট্য। আবার রয়েছে কিছু নারীসুলভ সাধারণ সমস্যা। এর পাশাপাশি পুরুষদেরও রয়েছে তাদের নিজেদের মতো করে কিছু ভালমন্দ বৈশিষ্ট্য। স্বামীদেরও আছে কিছু ভাল দিক। তেমনি কিছু খারাপ দিক বৈকি। স্ত্রীদেরও আছে নিজস্ব ধরনের কিছু ভাল ও মন্দ। শাসকের তরফে আছে অনস্বীকার্য কিছু কল্যাণকর দিক। তেমনি রয়েছে তাদের সাধারণ কতগুলো অপকর্ম-প্রবণতা। শাসিত বা জনগণের রয়েছে কিছু ভাল গুণ। আবার রয়েছে কিছু খারাপ চরিত্র।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সময় ও ভূগোল নিরপেক্ষভাবে সামগ্রিকভাবে দুনিয়ার প্রত্যেকটা সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। অপরাপর শ্রেণী বা গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই কমন কমিউনিটি বিহেভিয়ার বা টেনডেনসির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য ইতিবাচক তথা কল্যাণজনক এবং কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য নেতিবাচক তথা ক্ষতিকর হিসাবে ফুটে উঠে। এক পক্ষের কাছে যা নিতান্ত স্বাভাবিক ও যুক্তি সংগত, অপর পক্ষের কাছে, গঠনগত ভিন্নতার কারণে তা একেবারেই অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হিসাবে মনে হতে পারে। অথচ, একই সমাজের সদস্য হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী বা গোষ্ঠীর সবাইকে অন্য সবার সাথে মিলেমিশে জীবনযাপন করতে হয়।
সে হিসাবে প্রত্যেকের উচিত স্বীয় গোষ্ঠীগত ত্রুটি সম্পর্কে সচেতন থেকে ঐ ধরনের মন্দ বৈশিষ্ট্যসমূহ হতে গা বাঁচিয়ে চলা। নিজেকে ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার এটাই পদ্ধতি। নিজের শ্রেণীগত ত্রুটির বিষ-বাষ্প হতে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। ডাক্তার-রোগী, বাড়ীওয়ালা-ভাড়াটিয়া, শিক্ষক-ছাত্র, নারী-পুরুষ, স্বামী-স্ত্রী এ রকমের নানাবিধ দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের যূথবদ্ধতার মাধ্যমেই সমাজ গড়ে উঠে, টিকে থাকে, পুষ্ট হয়।
আদর্শ সমাজ হলো সেইটা যেখানে প্রত্যেকে নিজের শ্রেণীগত ভাল-মন্দ সম্বন্ধে সচেতন থাকে। সম্ভাবনা ও সদগুণকে বিকশিত করার চেষ্টা করে এবং বিপরীত বৈশিষ্ট্য তথা স্বীয় গোষ্ঠীগত মন্দ বৈশিষ্ট্যকে যথসম্ভব দমন করে।
বিশেষ করে, নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এইটা খেয়াল রাখা জরুরী। নারীরা যদি নিজেদের শেষ পর্যন্ত নারীই ভাবেন, আর পুরুষেরা নিজেদেরকে আলটিমেইটলি পুরুষই মনে করেন, তাহলে মানবতার কী অবস্থা দাঁড়াবে? পুরুষও নয়, নারীও নয়, এমন কোনো মানুষ তো নাই। হিজড়ারা কোনো লিঙ্গ-পক্ষ নয়। সেটি তাদের গঠনগত ত্রুটি।
নারীদের ভাবতে হবে, তারা আগে মানুষ, এরপর নারী। পুরুষদেরও ভাবতে হবে, তারা প্রথমত: মানুষ। এরপর তারা পুরুষ। এভাবে ভাবলেই মানুষ হিসাবে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আমরা সচেতন হতে পারবো। সমাজটা সুস্থভাবে গড়ে উঠবে। এগিয়ে যাবে।
মোটেরওপরে নানা সামাজিক প্যারামিটারে কম-বেশি নির্যাতিত শ্রেনী হিসাবে নারীরা, বিশেষ করে স্ত্রী হিসাবে নারীরা নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে যতটা সোচ্চার ও সচেতন, নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে ততটাই অসচেতন ও সুবিধাপন্থী। যে কোনো অধিকার-বঞ্চিত শ্রেণী বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। ব্যতিক্রমীরা আবার প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠবেন না যেন।
দায়িত্বের সাথে অধিকারের সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবে সমানুপাতমূলক ও অবিচ্ছেদ্য। অর্থাৎ দায়িত্বপালন যত বেশি হবে অধিকার লাভের সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। এই আপাত: সত্যের বিপরীত সত্য হলো, কেউ কারো অধিকার এমনিতেই দিয়ে দেয় না। বিশেষ করে, পিছিয়ে পড়া, অনগ্রর বা দুর্বল শ্রেণীকে নিজ নিজ ন্যায্য অধিকার সংগ্রাম করেই আদায় করতে হয়। এ কাজে সর্বাগ্রে নিজ দায়িত্ব পালনে স্বতঃই এগিয়ে যাওয়া ও নিজ অধিকারের সীমা সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরী। অর্থাৎ, ন্যায্য অধিকার দাবীর বিপরীতে অপরিহার্য দায়িত্বও যথাসম্ভব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, একতরফা give কিংবা take-এর কোনোটাই বাস্তবসম্মত নয়। চাওয়া-পাওয়ার ন্যূনতম সমন্বয় ছাড়া কোনো সামাজিক সম্পর্ক সুস্থ ও সুষ্ঠুভাবে টিকে থাকতে পারে না।
ওই যে শ্রেণী চরিত্রের কথা বললাম। মানুষ সাধারণত নিজের দুর্বলতাটা দেখে না। এর বিপরীতে, অপরপক্ষের দুর্বলতাগুলোই শুধু মানুষের বেশি নজরে পড়ে। এ' অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সুবিধাবাদিতার আশ্রয় নেয়। বেছে বেছে শুধু নিজের অধিকারের কথাগুলোকেই ফোকাস করে নিজেকে ভিকটিম হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি হলো, কোনো দায়িত্ব পালন না করে অধিকার দাবী করা। সবচেয়ে ভালো হইলো নিজ দায়িত্ব সর্বোচ্চ পালন করে অধিকার দাবী করা। এই দুই প্রান্তিকতার মধ্যবর্তী অবস্থান হলো মিনিমাম লেভেলে নিজ দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার পাশাপাশি নিজের ন্যূনতম অধিকা

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

পজিটিভ থিংকিং!

বি.কে বিচিত্র।

ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বা দৃষ্টিভঙ্গী (Positive Thinking & Attitude) যে কোনো মানুষের জন্য একটি বিশেষ গুন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাকে পৌঁছে দিতে পারে সাফল্যের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। আসুন জেনে নেই কী করে আমরা সেই দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে পারি।

জীবনে চলার পথে আমাদের প্রতিদিনই কিছু না কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জীবিকার প্রয়োজনে কর্মক্ষেত্রে যেমন ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় তেমনি তার বাইরেও আছে আমাদের ব্যক্তিগত একটা জীবন। সেই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু সিদ্ধান্ত যেমন গ্রহণ করতে হয় তেমনই বর্জনও করতে হয়। তবে আমাদের চলার পথটা সবসময় মসৃণ নাও হতে পারে।

জীবনে চলার ক্ষেত্রে অমসৃণ পথ দেখে আমরা অনেক সময় ঘাবড়ে যাই, হীনমন্যতায় ভুগি এবং কাজটা করার আগেই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই, “ নাহ্‌, এই কাজটা আমাকে দিয়ে হবে না”, কিংবা “ আমি পারবো না”। অনেকেই কম বেশি এই ধরণের অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি জীবনের কোনো না কোনো সময় এবং নেতিবাচক চিন্তা বা ইচ্ছাশক্তির অভাবে হয়তো হারিয়েও ফেলেছি কোনো সুবর্ণ সুযোগ। তাই সাহস না হারিয়ে কঠিন কোনো বিষয়ের সম্মুখীন হলেও সেটা সম্পূর্ণ করার মানসিকতা আমরা চাইলেই একটু চেষ্টা এবং অভ্যাসের মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারি।

প্রথমেই আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা আসলে কী করতে চাই, কোন পথে আগালে সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো এবং সেটা যত কঠিনই হোক “ আমাকে সেটা পারতে হবে” অর্থাৎ একটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে নেয়া। চলুন এবার ইতিবাচক কিছু চিন্তাভাবনার ব্যাপারে আলোকপাত করা যাক।

নেতিবাচক ভাবনা এবং বাড়িয়ে ভাবার চিন্তা পরিহার করা


আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা যে কোনো কাজ করার আগে শুরুতেই ভাবেন এই কাজটা তাকে দিয়ে হবে না। আর সেই কাজ কেন তাকে দিয়ে হবে না এমন সম্ভাব্য অনেক কাল্পনিক কারণ খুঁজে বের করেন, যা আদৌ ঠিক নয়। তাকে চিন্তা করতে হবে যে সে পারবে কাজটা এবং তাকে দিয়েই হবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় – এক,  এক মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ  বা শারীরিক ভঙ্গী এক নয়। কেউ হয়তো মোটা বা কেউ খুব চিকন বা মাঝারি স্বাস্থ্যের অধিকারী। কিন্তু কেউ যদি ভেবেই নেন আমি অনেক মোটা, আমি কখনো পারবো না সুন্দর এবং আকর্ষণীয় স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে কিংবা আমি বেশি খাই, খাওয়াদাওয়া কমাতে পারবো না – এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এর বদলে আমরা এভাবে যদি চিন্তা করে দেখি, আমি আজ থেকেই নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে চলবো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো , ডায়েট (Diet) কন্ট্রোল করবো, তাহলে সেটা হবে ইতিবাচক ধারণা। কেননা এতে ইতিবাচক চিন্তার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইতিবাচক ভাবনারও বিকাশ হয়।


বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বিভাগীয় বিশেষ জজ।নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনিয়ম!

 অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের কার্যালয়, চট্টগ্রাম,   বিভাগীয় বিশেষ জজ, আদালত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সরকারি বিধি অ...